এক মৌসুম শেষেই চেলসি ছাড়লেন পচেত্তিনো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের ঘরের ছেলে ফ্রাঙ্ক ল্যাপার্ডকে বরখাস্তের পর গত মৌসুমে ২০২৩ সালের ১ জুলাই মরিসিও পচেত্তিনোকে কোচ করে আনে চেলসি। চুক্তিটা ছিল দুই বছরের। সঙ্গে ছিল আরও এক বছর চুক্তি নবায়নের সুযোগ। তবে সব ছাপিয়ে এক মৌসুম পরই শেষ হতে চলেছে পচেত্তিনোর চেলসি অধ্যায়। 

ক্লাব ও পচেত্তিনো, দুই পক্ষের পারস্পারিক সমঝোতায় চেলসি ছাড়ছেন এই ৫২ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ। 

গত মৌসুমে ব্লুজদের অবস্থান ছিল আরও বাজে। পয়েন্ট তালিকার ১২তম অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল তারা। চলতি মৌসুমের শুরুর অর্ধেও অবস্থাটা ঠিক তেমনই ছিল। এতে তখন থেকেই শুরু হয় পচেত্তিনো ছাঁটাইয়ের আলোচনা। শেষ পর্যন্ত এবার দুই পক্ষের আলোচনায় এলো সিদ্ধান্ত। 

মৌসুমের শেষ দিকে অবশ্য ভালোভাবেই ফিরেছে চেলসি। টানা পাঁচ ম্যাচে জিতে তালিকার ছয়ে থেকে মৌসুম শেষ করে তারা। এতে পরের মৌসুমে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ব্লুজরা। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া এই মৌসুমে এফএ কাপের সেমিফাইনাল ও কারাবাও কাপের ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। 

নিজের বিদায় নিশ্চিতের পর পচেত্তিনো বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য চেলসির মালিকপক্ষ ও ক্রীড়া পরিচালকদের ধন্যবাদ। সামনের মৌসুমগুলোতে ক্লাবটি প্রিমিয়ার লিগ ও ইউরোপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

২০১৬-১৭ মৌসুমে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা চেলসি গত ছয় মৌসুমে পচেত্তিনোসহ মোট পাঁচজনের হাতে দিয়েছিল দায়িত্ব। আরও একবার তাই দলের ছন্দ ফেরাতে কোচ খুঁজতে নামবে তারা। এতে ইপসউইচের কোচ কিয়েরান ম্যাককেনা, স্পোর্টিংয়ের রুবেন আমোরিম এবং বার্নলির ভিনসেন্ট কোম্পানির দিকে নজর চেলসির। 

   

এখনো অনিশ্চিত প্রোটিয়াদের সেমিফাইনাল

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আছে যে তিন দল, তাদের মধ্যে একটা দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটা এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই স্নায়ুক্ষয়ী সব ম্যাচে জিতে এসেছে সুপার এইটে। এই পর্বেও দুটো ম্যাচই দলটা জিতেছে স্নায়ুর চরম পরীক্ষা দিয়ে। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই শেষ চারে নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। 

ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরও দলটার শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়নি। এমনকি বিদায়ের শঙ্কাও ভর করেছে দলটাতে।

কেন, কীভাবে সেমিফাইনালের আগেই বাদ পড়ে যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা? দলটা সুপার এইটে দুই ম্যাচই জিতেছে ছোট ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছে ১৮ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের হারিয়েছে ৭ রানে। সব মিলিয়ে দলটার নেট রান রেট ধনাত্মক অবশ্যই, তবে তা খুব বেশি নয়। 

এবার ইংল্যান্ডের হিসেবটা দেখি। প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ বল হাতে রেখে পাওয়া জয় নেট রান রেটে এগিয়ে দিয়েছে দলটাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে হারটাও খুব বেশি বড় ব্যবধানে নয়, ৭ রানে হেরেছে দলটা।

দুই ম্যাচ শেষে ইংলিশদের নেট রান রেট +০.৪১২। আর সমান ম্যাচ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট +০.৬২৫। মূলত এই নেট রান রেটই শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের এনে দাঁড়িয়েছে নকআউট পরিস্থিতিতে। 

শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে দলটা জিতলে কোনো হিসেব ছাড়াই চলে যাবে সেমিফাইনালে। তবে হেরে বসলেই তাকাতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তাহলেই তারা যাবে সেমিতে। আর ইংল্যান্ড যদি ১০ রানের ব্যবধানেও জিতে যায়, তাহলেই বাধবে সমস্যাটা। তখন ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যাবে সেমিফাইনালে।

তলানীতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সুযোগটাও শেষ হয়ে যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিলেন, নিজেরা ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিলেই কেল্লাফতে। তবে শেষ এই দুই ম্যাচে যাই হোক না কেন, তার আগে গ্রুপের লড়াইটা ভালোভাবেই জমে গেছে।

;

কেমন হবে বাংলাদেশ একাদশ?

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিত শর্মা এবারের বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসারদের বলে ক’বার আউট হয়েছেন জানেন? ৩ বার! বাংলাদেশ স্কোয়াডে এই প্রোফাইলটা আছে দু’জনের। মুস্তাফিজুর রহমান একাদশেই আছেন। শরিফুল ইসলামও হয়তো একাদশেই থাকতেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের আগে এই ভারতের বিপক্ষেই পাওয়া চোট তাকে ছিটকে দিয়েছিল। এরপর তানজিম সাকিব এসে যেমন পারফর্ম করেছেন, তাতে শরিফুল সুস্থ হওয়ার পরেও দলে জায়গাটা ফিরে পেলেন না। 

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও শরিফুলকে নিয়ে ভাবনাটা আসতে পারত। চার পেসার নিয়েই আক্রমণে নেমে যাবে কি না বাংলাদেশ, তা নিয়ে কথা হতে পারত। কিন্তু তা হচ্ছে না। কেন জানেন? উত্তরটা লুকিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। 

টপ অর্ডার থেকে রান আসছে না। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি তো রানখরায় আছেন দীর্ঘদিন। এবারের বিশ্বকাপে এক বারও দুই অঙ্কে যেতে পারেনি কোনো ওপেনিং জুটিই। সেটা সামলে তিনের ব্যাটাররাও যে নিয়মিত রান এনে দিচ্ছেন, তাও হচ্ছে না। তানজিদ তামিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তদের তিনজনকে নিয়ে গড়া হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তবে সেখান থেকে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে একটা ফিফটিও আসেনি!

ফর্ম সবারই কম-বেশি খারাপ যাচ্ছে। তবে এবার নজরে তানজিদ তামিমের ফর্মটা। তার জায়গায় সৌম্য সরকার ফিরে আসতে পারেন একাদশে, যদিও ফর্মহীনতার কারণেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া তার দলে অন্তর্ভুক্তি অধিনায়ক শান্তর হাতে একটা বাড়তি পেস বোলিং অপশনও নিয়ে আসে। বাংলাদেশ দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা এই একটা জায়গাতেই। 

ওদিকে ভারত তাদের একাদশে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশের স্পিন ভীতি মাথায় রেখে তিন স্পিনারকে নিয়ে মাঠে নামতে পারে দলটা। যার ফলে বেঞ্চে থাকতে পারেন মোহাম্মদ সিরাজ।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আরশদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরাহ

;

দাপটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে দলটা। যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়েছে ৯ উইকেটে। তাতে শেষ চারের আশা ভালোভাবেই জিইয়ে রাখলেন স্বাগতিকরা। 

শুক্রবার রাতে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ চারে এক পা দিয়েই ফেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিশ্চয়ই উল্টোটাই চাইছিল। সেটা হলে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট কাটা হয়ে যেত তাদের। কিন্তু তা হয়নি। তাই ম্যাচটা জেতার পাশাপাশি নেট রান রেটের দিকেও নজর রাখতে হতো দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের।

সেটা তারা করেছেও। যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু হারায়ইনি, ৯.১ ওভার হাতে রেখে জিতে নেট রান রেটটাকেও তুলে ফেলেছে রীতিমতো আকাশে। ১.৮১৪ নেট রান রেট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন গ্রুপের সবচেয়ে ভালো, ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকারও যে নেট রান রেট মোটে ০.৬২৫!

উইন্ডিজের কাজটা সেরে দিয়েছিলেন বোলাররাই। দ্বিতীয় ওভারে স্টিভেন টেলরের উইকেট তুলে নিলেও আন্দ্রিস গাউস আর নিতিশ কুমার মিলে রান তুলছিলেন সাবলীলভাবে। পাওয়ারপ্লে শেষে ৪৮ রানও তুলে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে পাওয়ারপ্লের পরই ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। গুদাকেশ মোতি নিতিশ কুমারকে ফেরানোর পর থেকে আর কোনো জুটিই গড়তে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে। ১৬ বলে ২৯ রান করা আন্দ্রিস গাউস ফেরেন পরের ওভারেই। তার ফেরার পর থেকে আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। মিলিন্দ কুমার ১৯, শ্যাডলি ফন শকউইক ১৮, আর শেষ দিকে আলী খান করেন ১৪ রান। 

যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে নাড়িয়ে দেওয়া আন্দ্রে রাসেল পেয়েছেন ইনিংস সর্বোচ্চ তিন উইকেট। রস্টন চেসও পেয়েছেন তিনটি উইকেট। আলজারি জোসেফ ২ আর মোতি ১ উইকেট শিকার করেন।

নেট রান রেটের হিসেবটা উইন্ডিজের ভাবনায় যে ছিল, তা ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন শেই হোপ। পাওয়ারপ্লেতেই দলটা তুলে ফেলেছিল ৫৮ রান। ওপাশে জনসন চার্লস একটু খোলসে ঢুকে ছিলেন। ১৪ বলে করেছেন ১৫। পাওয়ারপ্লের পর ফিরে গেলেন তিনি হারমিত সিংয়ের শিকার হয়ে। 

উইন্ডিজের পরের পথটা বেশ অনায়াসেই পার করে দেন হোপ আর পুরান মিলে। ২৬ বলে ফিফটি করে হোপ শেষমেশ অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বলে ৮২ রান করে। ৪টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা। ওপাশে পুরানও কম যাননি। ১ চার আর তিন ছক্কায় ১২ বলে করেন ২৭ রান। উইন্ডিজ যে ৫৫ বল হাতে রেখে জিতল, তা তো তাদের কল্যাণেই! 

;

গোলশূন্য ড্রয়ে অপেক্ষায় রইল ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডস



Apon tariq
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে গত রাতে ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সে ম্যাচে জিতল না কেউ। এবারের ইউরোর প্রথম গোলহীন ড্রয়ে দুই দলেরই শেষ ষোলোর অপেক্ষা বেড়ে গেল আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। 

সুযোগ সবচেয়ে বেশি তৈরি করেছে ফ্রান্সই। কিলিয়ান এমবাপে চোটের কারণে ছিলেন না। আঁতোয়ান গ্রিজমান তার ফাঁকা জায়গাটা পূরণ করতে পারলেন না। একের পর এক মিসের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। ওদিকে  নেদারল্যান্ডস একবার ফরাসিদের জালে বল জড়িয়েও গোলের দেখা পায়নি।

গত রাতে লাইপজিগ স্টেডিয়ামে ফরাসিরাই ছড়ি ঘুরিয়েছে ডাচদের ওপর। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেছিল কম করে হলেও ৩টি। গ্রিজমান একবার ফাঁকা জালেও বল জড়াতে পারেননি। একাধিকবার ডাচ গোলরক্ষক বার্ট ভেরব্রুখেনও দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধেও চলেছে একই দৃশ্য।

তবে এ অর্ধে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। জাভি সিমন্স বল জড়ান জালে। কিন্তু তাদের পথ আগলে দাঁড়ায় লাইন্সম্যানের পতাকা। ডিপাইয়ের শটের সময় জাভি ছিলেন অফসাইডে। ভিএআর দেখেও সিদ্ধান্তটা রইল একই। ফলে ড্রই হয় ম্যাচের নিয়তি।

গোলশূন্য এই ড্রয়ের পর ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ডস দুই দলই রইল অপেক্ষায়। আগামী মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে দুই দল। 

;