মিরাজ-আফিফ ঝলকে টাইগারদের অবিশ্বাস্য জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন

মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের স্কোর ২১৫। এ আর এমন কি স্কোর! টি-টোয়েন্টিতেও দুইশ ছোঁয়া ইনিংস আছে ভুরিভুরি। ২১৬ করলেই তো জিতবে বাংলাদেশ। এ আর এমন কি ব্যাপার? ওয়ানডে বলে কথা। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এটা তো কোনো ব্যাপারই না। আফগানদের অল্পে গুটিয়ে দিয়ে যেন আত্মতৃপ্তিতেই ভুগছিল বাংলাদেশ। তাতেই সবুজাভ উইকেটে হতবাক করা যে চিত্রনাট্য মঞ্চস্থ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন জাদু ব্যাটিং উপহার দিয়ে সেটা আর হতে দেননি। দুজনের দুর্বার জুটিতে ৭ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের অবাক করা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ।

সপ্তম উইকেটে মিরাজ ও আফিফ ১৭৪* রানের (২২৫ বলে) হার না মানা রেকর্ড গড়া জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। সপ্তম উইকেটে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে এমনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর কীর্তি যে আর কখনোই লেখা হয়নি বাংলাদেশের।লক্ষ্য তাড়ায় বা দ্বিতীয় ইনিংসে সপ্তম উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপের মালিক এখন মিরাজ-আফিফ। দুজনের বীরত্ব গাঁথাতেই লেখা হলো সেই রূপকথার গল্প। চট্টগ্রামের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

দুরন্ত এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ৯ জয় আর ৫ হারে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে পুরুষদের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের চেয়ে এখন টাইগাররা মাত্র ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে।

তবে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল যাচ্ছে তাই বাজে। ফজলহক ফারুকীর বোলিং ঝড়ের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে তারকা এ আফগান পেসার এবার আলো ছড়ান জাতীয় দলের জার্সিতে। ফারুকী শুরুতে একাই চার উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামিয়ে দেন। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে দলীয় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ধুঁকতে থাকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

তবে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল যাচ্ছে তাই বাজে। ফজলহক ফারুকীর বোলিং ঝড়ের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে বিপিএলে আলো ছড়িয়ে তারকা এ আফগান পেসার এবার নজর কাড়লেন জাতীয় দলের জার্সিতে। ফারুকী শুরুতে একাই চার উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামিয়ে দেন। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে দলীয় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ধুঁকতে থাকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

১১.২ ওভারের মধ্যে বিদায় নেয়া ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে সাকিব আল হাসান কেবল দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। তাও আবার তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১০ রান। বাকিদের সিঙ্গেল ডিজিটে হতবাক করেন আফগান বোলাররা। তামিম ইকবাল (৮), লিটন দাস (১), মুশফিকুর রহিম (৩), ইয়াসির আলী (০) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮)।

শেষ দিকে এসে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে তারা পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। তাতে করে একশ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের দলকে ভাসান জয়ের উচ্ছ্বাসে। পুরো চিত্রনাট্যটা যেন অলৌকিক ও বিস্ময়কর। আফিফ-মিরাজের ব্যাটিং ঝলকে লক্ষ্য টপকে ৪৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলে ফেলে ২১৯ রান। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন আফিফ। ১১৫ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় খেলেন ৯৩* রানের হার না মানা দুর্বার এক ইনিংস খেলেন তরুণ এ অলরাউন্ডার। ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন মিরাজ। ১২০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে এনে দেন ৮১ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তার আগে বল হাতে আলো ছড়ান তারকা এ অলরাউন্ডার। কোনো উইকেট না পেলেও করে গেছেন কিপ্টেমি বোলিং।

আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকী একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারে খরচ করেন তিনি ৫৪ রান। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট পান মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। শুরুতে হোঁচট খেলেও রহমত শাহ ও হাশমাতুল্লাহ শহীদির ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিপদ কাটিয়ে উঠে আফগানরা। পরে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ফিফটিতে ৪৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানের সম্মানজনক পুঁজি গড়ে সফরকারীরা। জাদরান ৮৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। রহমতের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ক্যাপ্টেন শহীদি দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২৮ রান।

তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ নবী ২০, ইব্রাহিম জাদরান ১৯ ও গুলবাদিন নাইব ১৭ রান এনে দেন। বাংলাদেশের হয়ে একাই তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এজন্য ৯.১ ওভারে খরচ করেন তিনি ৩৫ রান। সঙ্গে দুটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

তার আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে টস ভাগ্যটা সহায় হয়নি বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের। টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শহীদি। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী। ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন এ তরুণ ক্রিকেটার।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), নজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নায়েব, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ইয়ামিন আহমেদজাই ও ফজলহক ফারুকী।সং

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২১৫/১০, ৪৯.১ ওভার (ইব্রাহিম ১৯, রহমত ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবউল্লাহ, নবি ১৭; মুস্তাফিজ ৩/৩৫, তাসকিন ২/৫৫, সাকিব ২/৫০, শরিফুল ২/৩৮)।

বাংলাদেশ: ২১৯/৬, ৪৮.৫ ওভারে (সাকিব ১০, আফিফ ৯৩*, মিরাজ ৮১*; ফারুকি ৪/৫৪, মুজিব ১/৩২ ও রশিদ ১/৩০)।

ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ।

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;