শেষ দিনে চাই ২২৫ রান। আধুনিক ক্রিকেটে এ আর এমন কী! তবে বাংলাদেশ নিজেদের কাজটা কঠিন করে ফেলেছে ৭টা উইকেট খুইয়ে। শেষ দিনে তাই জয়ের চেয়ে হারটাই চোখরাঙানি দিচ্ছে মেহেদি হাসান মিরাজের দলকে।
শেষ বিকেলে এক সেশনেই ৭ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এখন পর্যন্ত তুলতে পেরেছে মোটে ১০৯ রান।
চতুর্থ দিনের সকালটা শুরু হয় চমক দিয়ে। ৯ উইকেট খুইয়ে ২৬৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ সকালেই ইনিংস ঘোষণা করে বসে। দিন শুরু করে বল হাতে নিয়ে।
সকালের কন্ডিশনটাকে কাজে লাগিয়ে বোলাররা চাপে ফেলে দেন উইন্ডিজকে। তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ৬৪ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম ফাইফার। তার ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংয়ের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজের ২ আর শরিফুল-তাইজুল ইসলামের একটি করে উইকেট শিকারের ফলে উইন্ডিজকে ১৫২ রানে বেধে ফেলে বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৩৩৪ রানের।
এই লক্ষ্যটা তাড়া করে ফেললে রেকর্ডই হয়ে যাবে একটা। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ২১৭। জিততে হলে ৪ সেশন সময় হাতে, করতে হবে ২০০৯ সালে গড়া ওই রেকর্ডের চেয়ে ১১৭টি বেশি রান।
তবে সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার ব্যর্থ হন সব সময়ের মতো। জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান এক অঙ্কে ফেরেন সাজঘরে। এরপরও শাহাদাত হোসেনও দ্রুতই ফেরেন। দুই অঙ্কে গেলেও মুমিনুল হক একটু পরই আউট হন। ২৩ রান তুলতে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে মেহেদি হাসান মিরাজ লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ রানের জুটিতে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন। দলীয় ৫৯ রানে লিটন আউট হলে বাংলাদেশ আবারও বিপাকে পরে। এরপর মিরাজ লড়াই চালান জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে। সে জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। ৪৬ করে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে সে জুটি। এরপর দিন শেষের আগে তাইজুল ইসলামও বিদায় নেন। ১০৯ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। উইকেটে এখন আছেন ১৫ রান করা জাকের আর ০ রানে অপরাজিত আছেন হাসান মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১০৯/৭, ৩১ ওভার (মিরাজ ৪৬, জাকের ১৫*; রোচ ৩/২০, সিলস ৩/৩১)