জিদানের দলে মেসি-নেইমার , নেই রোনালদো



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক সময়ের প্রিয় ফুটবলার রোনালদোকেই দলে রাখলেন না জিদান!

এক সময়ের প্রিয় ফুটবলার রোনালদোকেই দলে রাখলেন না জিদান!

  • Font increase
  • Font Decrease

দু'জনের বন্ধন কতোটা মজবুত তা সবারই জানা। জিনেদিন জিদান-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রিয়াল মাদ্রিদে তারা ছিলেন গুরু-শিষ্য। একসঙ্গে মিলে অনেক সাফল্যই এনে দিয়েছেন সান্টিয়াগাে বার্নাব্যুর ক্লাবটিকে। তার বোঝাপড়া ছিল দুর্দান্ত। আবার রিয়াল থেকে দু'জনের বিদায়টাও একই সময়ে! অথচ সেই তুরুপের তাস রোনালদোকেই নিজের পছন্দের দলে রাখলেন না জিদান।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ মহাতারকা জিদান তার সেরা দল নির্বাচন করতে ভুলেই গেলেন ‘প্রিয়’ শিষ্যকে। তবে তার পছন্দের দলে আছেন লিওনেল মেসি। এমন কী নেইমারকেও জায়গা দিয়েছেন দলে। এক্ষেত্রে ফিফার সাবেক বর্ষসেরা রোনালদোকে দলে না রাখাটা বিস্ময়করই!

রিয়ালের সাবেক কোচ ফরাসি এই কিংবদন্তি তার সেরা দলে জায়গা দিলেন ১৭ ফুটবলারকে। সেখানে ফ্রান্স আর ব্রাজিলের ফুটবলারদের সংখ্যাই বেশি।

চীনের এক সংবাদমাধ্যমে নিজের স্বপ্নের দল নির্বাচন করতে গিয়ে অবশ্য হিমশিম খেতে হয় বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা এই তারকাটিকে। গোলরক্ষক হিসেবে নেন তারই জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ফ্যাবিয়েন বার্থেজকে। আবার মিডফিল্ডে নিজের দলে নিজেকেই রেখেছেন জিদান।

কিংবদন্তি অনেক ফুটবলারই জায়গা পেয়েছেন জিদানের পছন্দের দলে। এরমধ্যে ব্রাজিল থেকে সাত ফুটবলারকে দলে নিয়েছেন। আছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচও। এমন কী দলে জায়গা পেলেন ফ্রান্সের ক্লদ মাকলেলে। কিন্তু রোনালদোকে না রাখাটা বির্তকের জন্ম দিয়েছে।

জিদানের পছন্দের দল-

গোলরক্ষক: ফ্যাবিয়েন বার্থেজ (ফ্রান্স)।

রক্ষণভাগ: সেন্ট্রাল-ব্যাক কার্লহাইঞ্জ ফর্স্টে (জার্মান), কার্লোস মোজ়ার (চিলি), লরাঁ ব্লাঁ (ব্রাজিল) ও সার্জি রামোস (স্পেন)।

লেফট ব্যাক: পাওলো মালদিনি (ইতালি), রবের্তো কার্লোস (ব্রাজিল) ও মার্সেলো (ব্রাজিল)। রাইটব্যাক কাফু (ব্রাজিল) ও দানি আলভেস (ব্রাজিল)।

মাঝমাঠ: জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স), আন্দ্রে ইনিয়েস্তা (স্পেন), ক্লদ মাকলেলে (ফ্রান্স), লুকা মডরিচ (ক্রোয়েশিয়া)

আক্রমণভাগ: রোনালদো (ব্রাজিল), নেইমার (ব্রাজিল) ও লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)।

   

কলকাতার বোলারদের তোপের মুখে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যেন বড়সড় ধাক্কা খেল হায়দরাবাদ। পাওয়ার-প্লের ছয় ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৪০ রান।

প্রথম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন অভিষেক শর্মা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে অরোরার আউটসুইং খেলতে ব্যর্থ হন ট্র্যাভিস হেড, ব্যাটের কোণায় লেগে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হয় বল। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন হেড।

দলের হাল ধরতে উইকেটে অবস্থান করেন এইডেন মারক্রাম এবং রাহুল ত্রিপাঠি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও স্টার্কের শিকার হন রাহুল। ২১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে হায়দরাবাদ।

পাওয়ার-প্লে শেষে হায়দরাবাদের স্কোরবোর্ডে লেখা হয় ৪০ রান। উইকেটে আছেন এইডেন মারক্রাম ও নীতিশ কুমার।

;

ফাইনাল টসে জিতে ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের ১৭ তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদ।

আইপিএলের এবারের আসরে ফাইনাল ম্যাচের আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা-হায়দরাবাদ। যেখানে দুই ম্যাচেই জয়ের হাসি হেসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবশেষ আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে পাত্তাই পায়নি হায়দরাবাদ, ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল। এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪ রানের জয় পেয়েছিল তারা।

আজ ফাইনাল ম্যাচে এককভাবে ফেভারিট বলা যাচ্ছে না কাউকেই। কারণ দুই দলই চলতি আইপিএলে দেখিয়েছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ছিল দু'দলের ক্রিকেটাররাই।

২০১৪ সালের পর কলকাতার আর শিরোপা জেতা হয়নি। এবার সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে দিতে চান শ্রেয়াস। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন কামিন্স। শিরোপা তার হাতে উঠলে অধিনায়ক হিসেবে নতুন এক উচ্চতাতেই উঠবেন তিনি।

কলকাতা একাদশ: সুনীল নারাইন, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।

হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, এইডেন মার্করাম, নীতিশ কুমার, হেনরিখ ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, জয়দেব উনাদকাট, টি নটরাজন।

;

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে চান হৃদয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের জন্য একগাদা হতাশার গল্প। আগের আট আসরের সবকটি খেলেও এই টুর্নামেন্টে বলার মতো কোনো অর্জন নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। গ্রুপ পর্ব পেরোনোকেই এখনো সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের আগে তাওহিদ হৃদয়ের বড় স্বপ্নের কথা জানিয়ে রাখলেন।

গ্রুপ পর্ব পার করা বা সুপার এইটে খেলা নয়, একেবারে সেমিফাইনালকে পাখির চোখ করেছেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার। তার ভাষায়, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই দল যেন ভালো করে। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’

হৃদয় বড় স্বপ্ন দেখলেও সমর্থকরা হয়ত এতটা আশাবাদী হচ্ছেন না। বিশ্বকাপের আগে আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরে বসা দলের কাছে আর কতটাই বা আশা করা যায়। 

তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য হৃদয় স্বপ্ন দেখতে জানেন। বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে হৃদয় বললেন,  ‘চোখ খুলেও এখনো অনুভব করি যে কী হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে (অনূর্ধ্ব-১৯)। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে হৃদয়দের।

;

কোরিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক বাংলাদেশ দাপুটে জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। আজ রোববার (২৬ মে) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭-২২ পয়েন্টে পরাজিত করে আরদুজ্জামান, মিজানুরদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল। ময়দানি লড়াইয়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি কোরিয়া। ৫টি লোনাসহ ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ২৪-১১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ম্যাট ছাড়ে স্বাগতিকরা।

চতুর্থবারের মতো ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট। গেল তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। চতুর্থ আসরেও চ্যাম্পিয়নদের মতো শুরু করেছে আব্দুল জলিলের শিষ্যরা। বিশ্বকাপের গেল দুই আসরের সেমিফাইনালিস্ট কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজরা। বাংলাদেশের তারকা রেইডার মিজানুর রহমান একাই দলের পক্ষে ২১ পয়েন্ট এনে দেন। অধিনায়ক আরদুজ্জামান মুন্সি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে তুলে আনেন ১০ পয়েন্ট। ম্যাচে অসাধারণ নৈপুণ্যে দেখিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন মিজানুর।

খেলা শেষে বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল বলেন, ‘কোরিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দল জেতায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ছেলেদের যেভাবে পরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল সেটা তারা ম্যাটে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। আগামীকাল (২৭ মে) মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। সেখানেও আশাকরি ছেলেরা প্রত্যাশিত জয় ছিনিয়ে আনবে।’

এদিকে ম্যাচসেরা বাংলাদেশের রেইডার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে কোরিয়ার বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছি। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আমরা পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে চাই। আমরা শিরোপা জিততে চাই।’

;