শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যয় হবে ৭০০ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজ। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৭০০ কোটি টাকার কিছু কম খরচে স্টেডিয়ামটি নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।

২০১৯ সালে ঢাকার পূর্বাচলে একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেয় বিসিবি। কিন্তু করোনার প্রকোপসহ নানা কারণে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় এর কার্যক্রম। গত বছর জুলাইয়ে কাজ শুরুর ঘোষণা দিলেও ফের ঝুলে পড়ে তা। তবে আশার কথা শুনিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, আউটডোর ফিল্ড, প্র্যাকটিস ফিল্ড হবে। দুটোকেই আমরা প্রস্তুত করা শুরু করব। মাঠের যে পানি নিষ্কাশণ ব্যবস্থা, বর্ষার আগে সেটিও আমরা সেরে ফেলতে চাই। এখনও যদি আমরা উইকেট তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী বছরের ক্রিকেট মৌসুমে খেলা সম্ভব হবে। উইকেট আর আউটফিল্ড তৈরি হয়ে গেলে বাকি কাজগুলো খেলা চালিয়েও করা সম্ভব হবে। বিশ্বের অনেক জায়গায় স্টেডিয়ামের রিডেভেলপমেন্ট হয়, সেখানে খেলা চলা অবস্থায় মাঠের বাইরের কাজগুলো চলমান থাকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে বিসিবি।

স্বাভাবিকভাবেই খরচটা বেশি হওয়ার কথা। সুর্নির্দিষ্ট কোনো অঙ্কের কথা জানাতে না পারলেও বিসিবির এই পরিচালক বলেন ৭০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণে। এত ব্যয় কেন এর ব্যাখ্যায় বিসিবির এই পরিচালক বলেন, এখানে কেবল মাঠই নয়, আমাদের একাডেমি ভবন হচ্ছে, বিসিবির একটা নিজস্ব ভবন হচ্ছে। একটা হোটেলের জায়গা ড্রয়িং করা অবস্থায় থাকবে, পরে আমরা এটা কনস্ট্রাকশনে যাব।

এছাড়া ক্রিকেটার্স ক্লাব, তার সঙ্গে একাডেমি ও একটা অ্যাডিশনাল মাঠ হচ্ছে। তার বাইরেও আমরা ৫ ফেডারেশনকে স্থাপনা দিচ্ছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) অনুরোধ করেছে আমাদের যে, তাদের এখানে সংকুলান করা যায় কি না। সে কারণে আমরা ৫টা ফেডারেশনকে এখানে সংকুলান এবং তাদের ঢোকা ও বাইরের জায়গাটাও আমরা আলাদাভাবে করে দিচ্ছি। যাতে আমাদের কারও কোনও কাজে বিঘ্ন না ঘটে।

ট্যাক্স মওকুফের বিষয়ে মাহবুব আনাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। সে আবেদন এখন তাদের বিবেচনাধীন আছে। আশা করছি এ বিষয়ে সহায়তা পাব। শেখ হাসিনা মাঠের জন্য স্পন্সরশিপ নিলেও কখনো এর নাম পাল্টানো হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র এই পরিচালক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নামে এই স্টেডিয়ামটা আমরা উৎসর্গ করেছি। যে সহযোগিতা বা অনুদান আমাদের এই স্টেডিয়ামের জন্য তিনি করেছেন, সেটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। সুতরাং স্টেডিয়ামের নামকরণে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। হয়তো ভেতরের বাণিজ্যিক বিষয়গুলো থাকে, সেখানে হবে। কিন্তু নামকরণের বিষয়ে আমরা অনড়।

   

বাংলাদেশকে হতাশায় ডোবাল বৃষ্টি



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলো বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই, তবে বৃষ্টি-বাধায় এক ইনিংসও খেলা হবে না, এমনটা হয়ত কেউই ভাবেননি। তবে মিরপুরে আজ সেটাই হয়েছে। বৃষ্টি-বাধায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষের আগেই পণ্ড হয়েছে ম্যাচ।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচ শুরুর আগেই বৃষ্টি হানা দেয়। টসের পর শুরু হওয়া সে বৃষ্টি অবশ্য থেমে যেতে সময় লাগেনি। তবে কিউই ইনিংসের বয়স যখন মোটে ৪.৩ ওভার, তখন আবারও বৃষ্টির বাগড়া কেড়ে নেয় দুই ঘণ্টা। যার ফলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে।

এরপর বেশ খানিকটা সময় নির্বিঘ্নে চলেছে খেলা। তবে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৩৪তম ওভারের সময় আবারও ফিরে আসে বৃষ্টি। এবার আর হালকা বৃষ্টিপাত নয়, একেবারে বজ্রবৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে বৃষ্টির ধারে এতটাই বেড়ে যায় যে, মাঠের তিনটি ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দিতে হয়। অন্তত ২০ ওভারের ইনিংস ধরে খেলা চালিয়ে নিতে হলে ম্যাচ শুরু করতে হত রাত ৯ টা ৬ মিনিটের মধ্যে। তবে মুষলধারে বৃষ্টি দেখে আম্পায়ররা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে করেননি। ৪০ মিনিট আগেই নিয়েছেন ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

বিস্তারিত আসছে...

 

;

এক ওভারে নাসুমের দুই উইকেট, বিপাকে কিউইরা



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন নাসুম আহমেদ। তিন বলের মধ্যে উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচের লাগাম এনে দিলেন বাংলাদেশের হাতে। ১২৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড।

নিজের প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে তিনটি মেডেন দিয়েছিলেন নাসুম। স্লো পিচ থেকে টার্ন আর বাউন্স আদায় করে ব্যাটারদের জন্য ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইনিংসের শুরু থেকে। তবে উইকেট তার কাছে সোনার হরিণ হয়েই থেকেছিল।

অবশেষে কোটার সপ্তম ওভারে উইকেটের ফাঁড়া কাটল তার। একটি নয়, দুটি উইকেট এল নাসুমের ঝুলিতে। সেটাও আবার তিন বলের মধ্যে। প্রথমে ফিফটি করা উইল ইয়াংকে (৫৮) ফেলেছেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে, আর নতুন ক্রিজে আসা রবীন্দ্র (০) রানের খাতা খোলার আগেই সুইপ করতে গিয়ে ফিরেছেন এলবিডব্লিউ হয়ে।

এর আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে কিউই ইনিংসের বয়স যখন মোটে ৪.৩ ওভার, তখনই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। তাতে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। যার ফলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে।

;

সেই মোস্তাফিজই এনে দিলেন ব্রেকথ্রু



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুর ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন উইল ইয়াং এবং হেনরি নিকোলস। বাংলাদেশের অন্য বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে মোস্তাফিজকে এনে দিতে হলো আরাধ্য ব্রেকথ্রু।

১৬ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেছিলেন ওপেনার উইল ইয়াং এবং চারে নামা হেনরি নিকোলস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কিউইদের সর্বোচ্চ ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির প্রলোভন ত্যাগ করে এক-দুই রান করে নিয়ে, দ্রুতলয়ে প্রান্ত বদলে নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা।

তবে মোস্তাফিজুর রহমান বাদ সাধলেন। নিকোলসকে ৪৪ রানে ফেললেন লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি তার। ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল সফরকারীরা।

নিকোলস ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেয়া উইল ইয়াং এখনো টিকে আছেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে জীবন পেয়েছিলেন এই কিউই ওপেনার। তানজিম হাসান সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হতে পারতেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিবের বল তার পায়ে আঘাত হানলেও আম্পায়ার আউট দেননি। উইকেটকিপার সোহানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর রিভিউ না করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন। হকআই রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত হানত।

মাঠের বিগ স্ক্রিনে সেটা দেখে আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশের। 'জীবন' পেয়ে তা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন ইয়াং।

;

নিজেদের ভুলে ভারতের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমার্ধের ভুল শুধরে দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কৌশলে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কাজও হয় তাতে। বল দখল কিংবা আক্রমণেও আসে গতি। বেশ কবার গোলের সুযোগও তৈরি হয়। তবে কোনো বারই জালের দেখা মেলেনি। উল্টো ম্যাচের ৮২ মিনিটে ভারতের ব্রাইস মিরান্ডাকে ডি বক্সে ট্যাকল করার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতকে জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী। ১-০ গোলের এ হারে এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার পথ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

এর আগে মিয়ানমারের বিপক্ষে হারায় এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র’ করলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ খোলা থাকত বাংলাদেশের। কেননা চার দলের গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে তিনটি দল। সে হিসেবে আজ ড্র করলে পরের ম্যাচে জিততে হতো বাংলাদেশকে। সেটি অবশ্য সম্ভব হয়নি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন। যারা ভারতকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। এই অবস্থায় পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব।

অবশ্য এদিন ভারতের বিপক্ষে ভিন্ন কিছুর স্বপ্নই দেখছিল সমর্থকরা। প্রথমার্ধে ভারতের একাধিক আক্রমণ সামলানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে যাওয়া শুরু করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সুযোগও এসেছিল ৫৫ মিনিটে। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ সিংয়ের ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করতে পারেননি সুমন রেজারা। ম্যাচের সেরা সুযোগটি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৭৭ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জনি। গোলরক্ষককে একাও পেয়েছিলেন। তবে তার নেওয়া শট শরীর দিয়ে আটকে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ।

পরের গল্পটা ভারতের। ৮২ মিনিটে ভারতের আক্রমণ সামলাতে গিয়ে ডি বক্সে ভুল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রহমত মিয়া। ব্রাইস মিরান্ডাকে ফেলে দেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঠে এ নিয়ে আপিল জানালেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন রেফারি। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে জয় এনে দেন ছেত্রী।

;