বাংলাদেশে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে আগ্রহী পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আসরেও। আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে হওয়ার কথা এশিয়া কাপের ষোড়শ আসর। ওই আসরে পাকিস্তানে খেলতে যেতে নারাজ ভারত। তারা তৃতীয় নিরপেক্ষ কোনো ভ্যেনুতে খেলতে চেয়েছে। “হাইব্রিড মডেল” নিয়ে আলোচনা হলেও প্রতিবেশী দুই দেশের অনড় অবস্থানে এশিয়া কাপের ভেন্যুর সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে।

ভারতের এমন জেদের জেরে এর আগেই পাকিস্তান ক্রিকে বোর্ড জানিয়েছিল, ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না যায়, তাহলে তারাও ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে না। তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপের নিজেদের ম্যাচগুলো বাংলাদেশে খেলতে চায়।

একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভারতের টিভি চ্যানেল স্পোর্টস তাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি এ কথা বলেন।

শেঠি হুমকির সুরে বলেন, “ভারত পাকিস্তানে খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতে খেলতে যাবে না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।”

বিসিসিআই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অনুমতি না থাকার কথা বলে থাকে। শেঠি বলেন, “বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে একই যুক্তি দেবে পিসিবিও। ভারতের সরকার যদি বিসিসিআইকে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নিষেধ করে, আমাদের সরকারও ভারতে বিশ্বকাপ খেলার জন্য অনুমতি দেবে না।”

পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “ভারত ছাড়া আর কোনো দেশের পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি নেই। এখন ভারতের কারণে হাইব্রিড মডেল চালু হলে একই নিয়ম ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও কার্যকর হতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বকাপের ম্যাচ বাংলাদেশে হতে পারে।”

সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরমকে কারণ দেখিয়ে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আবার ভারত রাজি নয় পাকিস্তানে যেতে। সব পক্ষ এমন অবস্থায় থাকলে এশিয়া কাপই হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন পিসিবি চেয়ারম্যান।

দুই ধাপে টুর্নামেন্ট আয়োজনের এই প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, “তিন দিন আগে দুবাইয়ে এসিসির এক সিনিয়র ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে আমার। তাকে হাইব্রিড মডেল ব্যাখ্যা করার পর তিনি সেটা জয় শাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরে উনি আমাকে জানালেন, জয় শাহ এই মডেলে কোনো সমস্যা নেই বলেছেন। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন।”

ভারত সবশেষ ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান সফর করে। ২০০৬ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় তারা। আর দুই দলের সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ২০১২-১৩ মৌসুমে, ভারতের মাটিতে। পাকিস্তান সবশেষ ভারত সফর করে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে।

   

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ভেসে গেল প্রথম ওয়ানডে



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলো বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগেই, তবে বৃষ্টি-বাধায় এক ইনিংসও খেলা হবে না, এমনটা হয়ত কেউই ভাবেননি। তবে মিরপুরে আজ সেটাই হয়েছে। বৃষ্টি-বাধায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষের আগেই পণ্ড হয়েছে ম্যাচ।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচ শুরুর আগেই বৃষ্টি হানা দেয়। টসের পর শুরু হওয়া সে বৃষ্টি অবশ্য থেমে যেতে সময় লাগেনি। তবে কিউই ইনিংসের বয়স যখন মোটে ৪.৩ ওভার, তখন আবারও বৃষ্টির বাগড়া কেড়ে নেয় দুই ঘণ্টা। যার ফলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে।

এরপর বেশ খানিকটা সময় নির্বিঘ্নে চলেছে খেলা। তবে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৩৪তম ওভারের সময় আবারও ফিরে আসে বৃষ্টি। এবার আর হালকা বৃষ্টিপাত নয়, একেবারে বজ্রবৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে বৃষ্টির ধারে এতটাই বেড়ে যায় যে, মাঠের তিনটি ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দিতে হয়। অন্তত ২০ ওভারের ইনিংস ধরে খেলা চালিয়ে নিতে হলে ম্যাচ শুরু করতে হত রাত ৯ টা ৬ মিনিটের মধ্যে। তবে মুষলধারে বৃষ্টি দেখে আম্পায়ররা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে করেননি। ৪০ মিনিট আগেই নিয়েছেন ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। দারুণ বোলিংয়ে শুরু থেকেই কিউইদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। মাত্র ১৬ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তৃতীয় উইকেট মিরপুরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ৯৭ রানের জুটি গড়েন উইল ইয়াং (৫৮) এবং হেনরি নিকোলস (৪৪)। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। নিকোলসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই বাঁহাতি পেসার।

এরপর মাত্র তিন বলের মধ্যে ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতে এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় হতাশই হতে হলো বাংলাদেশকে।

 

;

এক ওভারে নাসুমের দুই উইকেট, বিপাকে কিউইরা



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন নাসুম আহমেদ। তিন বলের মধ্যে উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচের লাগাম এনে দিলেন বাংলাদেশের হাতে। ১২৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড।

নিজের প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে তিনটি মেডেন দিয়েছিলেন নাসুম। স্লো পিচ থেকে টার্ন আর বাউন্স আদায় করে ব্যাটারদের জন্য ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইনিংসের শুরু থেকে। তবে উইকেট তার কাছে সোনার হরিণ হয়েই থেকেছিল।

অবশেষে কোটার সপ্তম ওভারে উইকেটের ফাঁড়া কাটল তার। একটি নয়, দুটি উইকেট এল নাসুমের ঝুলিতে। সেটাও আবার তিন বলের মধ্যে। প্রথমে ফিফটি করা উইল ইয়াংকে (৫৮) ফেলেছেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে, আর নতুন ক্রিজে আসা রবীন্দ্র (০) রানের খাতা খোলার আগেই সুইপ করতে গিয়ে ফিরেছেন এলবিডব্লিউ হয়ে।

এর আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে কিউই ইনিংসের বয়স যখন মোটে ৪.৩ ওভার, তখনই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। তাতে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। যার ফলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে।

;

সেই মোস্তাফিজই এনে দিলেন ব্রেকথ্রু



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুর ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন উইল ইয়াং এবং হেনরি নিকোলস। বাংলাদেশের অন্য বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে মোস্তাফিজকে এনে দিতে হলো আরাধ্য ব্রেকথ্রু।

১৬ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেছিলেন ওপেনার উইল ইয়াং এবং চারে নামা হেনরি নিকোলস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কিউইদের সর্বোচ্চ ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির প্রলোভন ত্যাগ করে এক-দুই রান করে নিয়ে, দ্রুতলয়ে প্রান্ত বদলে নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা।

তবে মোস্তাফিজুর রহমান বাদ সাধলেন। নিকোলসকে ৪৪ রানে ফেললেন লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি তার। ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল সফরকারীরা।

নিকোলস ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেয়া উইল ইয়াং এখনো টিকে আছেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে জীবন পেয়েছিলেন এই কিউই ওপেনার। তানজিম হাসান সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হতে পারতেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিবের বল তার পায়ে আঘাত হানলেও আম্পায়ার আউট দেননি। উইকেটকিপার সোহানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর রিভিউ না করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন। হকআই রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত হানত।

মাঠের বিগ স্ক্রিনে সেটা দেখে আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশের। 'জীবন' পেয়ে তা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন ইয়াং।

;

নিজেদের ভুলে ভারতের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমার্ধের ভুল শুধরে দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কৌশলে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কাজও হয় তাতে। বল দখল কিংবা আক্রমণেও আসে গতি। বেশ কবার গোলের সুযোগও তৈরি হয়। তবে কোনো বারই জালের দেখা মেলেনি। উল্টো ম্যাচের ৮২ মিনিটে ভারতের ব্রাইস মিরান্ডাকে ডি বক্সে ট্যাকল করার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে ভারতকে জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী। ১-০ গোলের এ হারে এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার পথ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

এর আগে মিয়ানমারের বিপক্ষে হারায় এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র’ করলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ খোলা থাকত বাংলাদেশের। কেননা চার দলের গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে তিনটি দল। সে হিসেবে আজ ড্র করলে পরের ম্যাচে জিততে হতো বাংলাদেশকে। সেটি অবশ্য সম্ভব হয়নি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন। যারা ভারতকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। এই অবস্থায় পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব।

অবশ্য এদিন ভারতের বিপক্ষে ভিন্ন কিছুর স্বপ্নই দেখছিল সমর্থকরা। প্রথমার্ধে ভারতের একাধিক আক্রমণ সামলানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে যাওয়া শুরু করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সুযোগও এসেছিল ৫৫ মিনিটে। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ সিংয়ের ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করতে পারেননি সুমন রেজারা। ম্যাচের সেরা সুযোগটি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৭৭ মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জনি। গোলরক্ষককে একাও পেয়েছিলেন। তবে তার নেওয়া শট শরীর দিয়ে আটকে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরাজ।

পরের গল্পটা ভারতের। ৮২ মিনিটে ভারতের আক্রমণ সামলাতে গিয়ে ডি বক্সে ভুল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রহমত মিয়া। ব্রাইস মিরান্ডাকে ফেলে দেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঠে এ নিয়ে আপিল জানালেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন রেফারি। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে জয় এনে দেন ছেত্রী।

;