সিরিজ জয়ের মিশনে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সিলেটে প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সাকিব আল হাসানের দল। জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতবে বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন ও টি স্পোর্টস।

বিজ্ঞাপন

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার টানা তিনটি সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলো তারা।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাট্টিকের পরও ২ উইকেটে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-এই ফরম্যাটে শক্তিশালী দল হয়ে উঠার দক্ষতা দেখিয়েছে টাইগাররা।

দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন হারের মুখে পড়ে তখনই ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমান দেন হৃদয়।

হৃদয়কে সমর্থন দিয়েছেন আরেক তরুণ ব্যাটার শামিম হোসেন পাটোয়ারী। আফগানদের স্পিন আক্রমণকে দারুনভাবে সামলে নিয়ে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও শামিম। তাদের দুর্দান্ত জুটিতেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শামিমকে ৩৩ রানে শিকার করে জুটি ভাঙেন রশিদ খান। অনপ্রান্তে চাপের মধ্যেও হাল ছাড়েননি হৃদয়।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের ৬ রানের দরকারে হ্যাট্টিক করে আফগানিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রাখেন করিম জানাত। তার চমকের পর বাউন্ডারি দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন আরেক তরুণ শরিফুল ইসলাম।

চাপের মধ্যে থেকেও এমন জয় ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে বলে জানান হৃদয়। এখন দেখার বিষয়, এই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে কি-না বাংলাদেশ।

গেল বছরও একই দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ হেরে যায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, রিসাদ হোসেন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।

আফগানিস্তান দল

রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মোহাম্মদ শাহজাদ, হজরতুল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকুল্লাহ আটাল, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি, ফরিদ আহমেদ, নবীন-উল হক, নূর আহমদ ও ওয়াফাদার মোমান্দ।