দাপুটে জয়ে আত্মবিশ্বাস পেল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

শেষ কিছু দিনের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কেবল পেছন দিকেই টেনেছে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে এমন কিছু যে কল্যাণকর কিছু নয়, তা কে না জানে! তবে সেসব নেতিবাচকতাকে একপাশে ঠেলে মনোযোগটা আবার ক্রিকেটে ফেরানোটা জরুরি ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সে সুযোগটা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা লুফেও নিল দারুণভাবে। লঙ্কানদের হারাল ৭ উইকেটের বিশাল এক ব্যবধানে। তাতে বিশ্বকাপের আগে মহাগুরুত্বপূর্ণ আত্মবিশ্বাসটাও ফিরে পাওয়ার কাজটা সারল সাকিব আল হাসানহীন বাংলাদেশ দল।

এশিয়া কাপে পাঁচ ম্যাচ থেকে জয় ছিল দুটিতে। এরপর সবশেষ হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছেও হার। দলের পারফর্ম্যান্সের গ্রাফটা নিম্নমুখিই ছিল। এরপর দল ঘোষণার ঠিক আগে-পরে সিনিয়রদের নিয়ে নানা জলঘোলা হলো, তাতে ক্রিকেট থেকে মনোযোগটাই তো গিয়েছিল সরে! সঙ্গে যোগ করুন ম্যাচের আগের দিন রাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোট। ম্যাচ শুরুর আগে এর চেয়ে ব্যাকফুটে বোধ হয় আর থাকা সম্ভব ছিল না বাংলাদেশের।

বিজ্ঞাপন

সাকিব নেই, সঙ্গে ডেপুটি নাজমুল হোসেন শান্তও নেই; দুজনের অনুপস্থিতিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে করা হলো অধিনায়ক। তবে টস ভাগ্যটা গেল শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই। এরপর ম্যাচের শুরুটাও। শ্রীলঙ্কা কোনো উইকেট না হারিয়েই তিন অঙ্ক ছুঁল যখন, তখন ইনিংসের ১৫ ওভারও শেষ হয়নি। এরপর সেখান থেকে দারুণভাবেই ফিরে এল বাংলাদেশ। সেটার কৃতিত্ব বোলার আর ফিল্ডারদের। শেখ মাহেদি হাসান শুরুটা করে দিয়েছিলেন। তার তিন উইকেটের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিবদের বোলিংয়ে লঙ্কানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ, পায় ২৬৪ রানের লক্ষ্য।

সেখান থেকে আর কোনো ভুলচুক নয়। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম আর লিটন দাস বাংলাদেশকে এনে দেন শক্ত ভিত। ২০ ওভারে দুজনের ১৩১ রানের জুটিতেই তো ম্যাচটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দলের। তবে ব্যক্তিগত ৬১ রান করা লিটনের ফেরার পরও পথ হারানোর শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। সে শঙ্কাটা সত্যি হতে দেননি তিনে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। স্থিতধী ব্যাটিংয়ে তানজিদকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন শুরুতে, এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে শেষটা করেছেন ঠাণ্ডা মাথায়। 

আফসোস হতে পারে তানজিদের। দারুন শুরু করেছিলেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগে সেঞ্চুরিটা তার আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়েও দিতে পারত আরও বহুগুনে। তবে যা হয়েছে তাও কম কীসে? দীর্ঘ 'খরার' পর পাওয়া এই জয়ে পুরো দলই তো আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার কথা। আপাতত এই আত্মবিশ্বাসটাই এই ম্যাচে জয়ের চেয়েও বড় অর্জন।