বিপিএলে ম্যাচপ্রতি আয় কোটি টাকা
বিশ্বজুড়ে ফ্রাঞ্চাইসি লিগ মানেই টাকার খেলা। বিগ ব্যাশ, আইপিএলের মতো বড় অঙ্কের এই আর্থিক ব্যয় দেখা যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। বিভিন্ন খাতেই এই টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে গুনতে হয় বিশাল অঙ্কের টাকা।
বিপিএলের আয়ের প্রধান খাত হলো টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার স্বত্ব। এই খাত থেকেই বড় অঙ্কের উপার্জন এই টুর্নামেন্টটি করে থাকে। এছাড়াও বিপিএলের আয়ের মোট বিবরণী থেকে জানা যায়, সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি বাদেও স্পন্সরশিপ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ প্রতি মৌসুমের বিপিএল থেকে ম্যাচ প্রতি বিসিবির আয় কোটি টাকারও বেশি।
আয়ের অন্যতম বড় খাত হলো ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর ফি। প্রতি মৌসুমের জন্য প্রত্যেকটি দল বিসিবিকে দিয়ে থাকে প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্রতি মৌসুমে শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদই বিসিবির আয় সাড়ে ১০ কোটি টাকার মতো।
গত মৌসুমে তিন বছরের জন্য সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকায়। প্রতি মৌসুমে এই স্বত্ব থেকে বিসিবি পাবে ৩৫ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে সব ঠিক থাকলে মাঠে ম্যাচ গড়াবে ৪৬টি। শুধু এই খাত থেকেই ম্যাচপ্রতি বিসিবির আয় পঞ্চাশ লক্ষ টাকারও বেশি।
তিন আসরের জন্য বিপিএলের টাইটেলসহ স্পন্সরশিপ বিক্রি হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। গত মৌসুমে ৫ কোটি টাকায় এবং এই বছর সহ আগামী মৌসুমেও সাড়ে ৫ কোটি টাকা করে স্পন্সরশিপ থেকে আয় করবে বিসিবি।
তবে শুধুমাত্র আয়ের হিসাব করলেই হবে না। টুর্নামেন্টজুড়েই রয়েছে বিভিন্ন খরচ বা ব্যয়ের খাত। এবার মোট তিনটি ভেন্যুতে খেলা হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। এগুলোর প্রোডাকশন খরচ বহন করতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকেই। এছাড়া প্রাইজমানি খাতেও একটা বড় অংশ খরচ হয়ে যায় বিসিবির।
কুমিল্লা ও ঢাকার ম্যাচ দিয়ে ১৯ জানুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে বিপিএলের এবারের আসরের। টুর্নামেন্ট শেষ হবে মার্চের ১ তারিখ। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৪৩ দিনে খেলা হবে মোট ৪৬ ম্যাচ।