২২ পেনাল্টির পর টসে শিরোপা হাতছাড়া বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে এসে গোল পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই গোলেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের জয়। সঙ্গে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এসেও অতিরিক্ত সময়ে গোল পেল বাংলাদেশ। তাতে অবশ্য জয় মেলেনি বরং হারতে থাকা ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে যাওয়া গেছে টাইব্রেকার অবধি।

টাইব্রেকারে রীতিমতো ম্যারাথন হয়েছে। দু’দলই শট নিয়েছে ১১টি করে। এতেও আসেনি ফল। পরে সিদ্ধান্ত হয় টস করার। যেখানে যেই জিতবে চ্যাম্পিয়ন সেই দল! ভাগ্যের সেই নিষ্ঠুর খেলাতেই হেরে যায় বাংলাদেশ। টস জয়ের সঙ্গে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ভারত।

অথচ খানিক আগেও ভারতের নেওয়া ৯ নম্বর পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে উল্লাসে মেতেছিল বাংলাদেশ। সেই উল্লাস মুহূর্তেই ভূমিকম্পের মতোই কাঁপন ধরিয়েছিল কমলাপুর স্টেডিয়ামে। তবে তার রেশ স্থায়ী হলো না বেশিক্ষণ। পরক্ষণেই রেফারির বাঁশি। গোল কিপার শট নেওয়ার আগে গোল পোস্টের নির্ধারিত দাগ থেকে বেরিয়ে এসে বল ধরেছে। বাতিল হল গোল।

ফের পেনাল্টি শটে নামলেন দুই দল। ফল আসল না তাতেও। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে টস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলো রেফারিকে। যেখানেই হেরে যায় বাংলাদেশ। পরে এ নিয়ে রেফারি ও ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে তাক্ষৎনিক আপিল করেও কাজ হয়নি। টসে হেরেই শেষ পর্যন্ত শিরোপা হাতছাড়া করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

অথচ টুর্নামেন্টে কি দারুণ ফুটবল প্রদর্শন করে ফাইনালে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। নেপাল, ভারত ও সবশেষ ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছিল রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচগুলোতে। যদিও সেই বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনায় লেগেছে। ম্যাচের শুরুতেই ৮ মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে নিতু লিন্ডার থ্রু ধরে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আসা বলটা ফাঁকায় পেয়ে যান শিবানি দেবি। বক্সে ঢুকে দারুণভাবে ফিনিশ করেন তিনি। বাংলাদেশের মনোবলে বড় ধাক্কা লাগে। প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যদের।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতিতে এগুচ্ছিল ম্যাচ। আক্রমণে গেলেও তাতে প্রাণ ছিল না। বলের জোগানও ছিল না আশানুরূপ। তাই গোলটাই পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। একটা সময় তো হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। খেলার নির্ধারিত সময়ও পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে আগের দিনের মতো এদিনও ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাগরিকা। দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা টানেন। যদিও লাভ হয়নি তাতে। বাংলাদেশকে যে শেষ পর্যন্ত শিরোপা খুয়াতে হয়েছে টস ভাগ্যে।

   

আতহারের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়েছে যাদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো দল চূড়ান্ত করতে পারেনি। যদিও শোনা যাচ্ছে, ১৫ জনের দল চূড়ান্ত করে আইসিসির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, দুয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণাও হতে পারে। তবে তাসকিন আহমেদের চোট এবং আরও দুয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল পেতে অপেক্ষা আরও বাড়তে পারে।

তবে বিসিবির আগেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের পরিচিত মুখ এবং আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে তার প্রেডিকশন দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ১৫ জনের বেশি স্কোয়াডে রাখার সুযোগ না থাকলেও একজন বাড়তি বোলারসহ বিশ্বকাপের রিজার্ভ তালিকায়ও কারা থাকছেন সেই নামের তালিকাও দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা ১৯ জনের।

আতহারের পনেরো জনের বিশ্বকাপ দলে আছেন লিটন দাস। যদিও তার সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। লিটনকে দলে রাখা নিয়ে আতহারের মত, ‘লিটন অনেক ভালো খেলোয়াড়। মানছি সে ফর্মে নেই। কিন্তু আমার মতে সে ফর্মে ফেরা থেকে মাত্র এক ইনিংস দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিশ্চিত লিটনের মতো ক্যালিবারের ব্যাটারকে ছাড়া বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাবে না।’

ওপেনার হিসেবে আতহারের অন্য দুই পছন্দ তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীকে দিয়ে মিডল অর্ডার সাজিয়েছেন আতহার। স্পিন বিভাগে রেখেছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকে।

আতহারের পেস ব্যাটারিতে জায়গা হয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদের মধ্যে যে কোনো একজন হয়তো জায়গা পাবেন বলে মত তার। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে এই সাবেক ক্রিকেটারের পছন্দ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

আতহার আলী খানের বিশ্বকাপ দল

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক) তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব/হাসান মাহমুদ।

রিজার্ভ: মোহাম্মদ নাঈম, পারভেজ হোসেন ইমন ও নুরুল হাসান সোহান

;

জাদেজার ‘অদ্ভুত’ আউটের ম্যাচে চেন্নাইয়ের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ইনিংসেই যেন ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। চেন্নাইয়ে সুপার কিংসের মাঠে স্বাগতিকদের ১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়ে জেতার স্বপ্ন দেখা কঠিনই। সে স্বপ্ন সত্যি হয়নি তাদের। স্বাগতিক দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে।

১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট চালান চেন্নাই ব্যাটাররা। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় নিজেই রান তাড়ার মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৪১ বলে ৪২ রানের ধীরস্থির ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রুতুরাজ।

তবে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং ইনিংসে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল রবীন্দ্র জাদেজার অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হওয়া। রান নেয়ার সময় রাজস্থান উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের থ্রো তার গায়ে লাগার পর আউটের আবেদন জানায় দলটি। তৃতীয় আম্পায়ার জাদেজাকে আউট দিয়ে দেন। ‘বিমর্ষ’ জাদেজাকে ৫ রানেই ধরতে হয় সাজঘরের পথ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন সিমারজিত। রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার যশস্বী জয়সোয়াল (২৪), জস বাটলার (২১) এবং সঞ্জু স্যামসনকে (১৫) তুলে নেন এই পেসার।

মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রিয়ান পরাগ। ৩৫ বলে ১ চার সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও রাজস্থানের সংগ্রহকে ভদ্রস্থ করায় ভূমিকা রাখেন ধ্রুভ জুরেল।

সিমারজিত ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট যায় তুষার দেশপান্ডের ঝুলিতে। মুস্তাফিজ, পাথিরানা, দীপক চাহারদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন এই দুই তরুণ পেসার।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেল চেন্নাই। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া রাজস্থানের অবশ্য হারের পরও প্লে-অফ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই।

;

‘সেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেই বিদায় বললেন উইলিয়ামস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শন উইলিয়ামসের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেই। ২০০৬ সালে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে অভিষেকের পর ১৮ বছর জিম্বাবুয়ের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন। এবার সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিলেন জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

শুরু আর শেষে প্রতিপক্ষে মিল থাকলেও ফলাফলে ইতিবাচক অমিল রয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে ৪৩ রানে হেরেছিল দল। তবে বিদায়ের দিনে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

আজ (রবিবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ জেতার পর ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের সামনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন উইলিয়ামস। ১২৬.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে করেছেন ১৬৯১ রান। বল হাতেও অবদান রেখেছেন। ৭৩ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ৪৮ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

;

চেন্নাইয়ের বোলিং তোপে রাজস্থানের সংগ্রহ ১৪১



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেপকে ব্যাট হাতে ঠিক সুবিধা করতে পারল না রাজস্থান রয়্যালস। সিমারজিত-তুষারদের গতি আর বৈচিত্র্যের সামনে খাবি খেয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে সাকুল্যে ১৪১ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন সিমারজিত। রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার যশস্বী জয়সোয়াল (২৪), জস বাটলার (২১) এবং সঞ্জু স্যামসনকে (১৫) তুলে নেন এই পেসার।

মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রিয়ান পরাগ। ৩৫ বলে ১ চার সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও রাজস্থানের সংগ্রহকে ভদ্রস্থ করায় ভূমিকা রাখেন ধ্রুভ জুরেল।

সিমারজিত ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট যায় তুষার দেশপান্ডের ঝুলিতে। মুস্তাফিজ, পাথিরানা, দীপক চাহারদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন এই দুই তরুণ পেসার।

প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে চেন্নাইয়ের জন্য ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠে ১৪২ রানের লক্ষ্য তাদের জন্য মোটেই কঠিন হওয়ার কথা নয়।

;