১১২ রানে অর্ধেক ইনিংস হাওয়া ইংল্যান্ডের

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

রাঁচিতেও পাত্তা পাচ্ছে না ইংল্যান্ড! ভারতের বিপক্ষে সিরিজটায় ইতোমধ্যেই ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। চতুর্থ টেস্টের শুরুতেই বিপাকে পড়ে গেছে সফরকারী ইংলিশরা। ১১২ রান তুলতেই অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গেছে তাদের।

সকালের সেশনটা যে ভারতেরই পকেটে চলে গেছে, তা বলাই বাহুল্য। তার পথটা গড়ে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত আকাশ দীপ। রাহুল দ্রাবিড়ের কাছ থেকে আজই টেস্ট ক্যাপটা পেয়েছেন। প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখাটাও দ্রুতই যাচ্ছিলেন। ম্যাচের চতুর্থ আর নিজেদের দ্বিতীয় ওভারে জ্যাক ক্রলিকে করেছিলেন বোল্ড! সুখটা বেশিক্ষণ কপালে সইল না তার। আম্পায়ার বলটাকে নো বল ডেকে বসলেন। ওভার স্টেপিংয়ের কারণে! উইকেটটা ধরা দিতে দিতেও হারিয়ে গেল!

বিজ্ঞাপন

প্রথম উইকেটের জন্য অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। বেন ডাকেটকে ফিরিয়েছেন প্রথমে। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে দারুণ এক লেন্থে বলটা ফেলেছিলেন, অফ স্টাম্পের একটু বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ডাকেটকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছিল অ্যাঙ্গেলটা। সেই দ্বিধাতেই কাজটা হয়ে গেল দীপের। বল ডাকেটের ব্যাট ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়ল পেছনে থাকা ধ্রুব জুরেলের গ্লাভসে। প্রথম উইকেটের দেখা পেয়ে যান তিনি।

এর এক বল পরই ওলি পোপকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন। ওভার দুয়েক পর তার শিকার বনে গেলেন সেই জ্যাক ক্রলি, যাকে দিনের শুরুতে আউট করতে করতেও করা হয়নি শেষমেশ। ওভার দ্য উইকেট থেকে বলটা ভেতরে ঢোকালেন। সেটা ৪২ রানে থাকা ক্রলির রক্ষণ ভেঙে ব্যাট প্যাডের ফাঁক গলে গিয়ে ভাঙল স্টাম্প। ঠিক যেমনটা দিনের শুরুতে ভেঙেছিল। তবে এবার পার্থক্যটা হচ্ছে, এবার আম্পায়ার আর বাগড়া দেননি। দিনের প্রথম এক ঘণ্টাতেই ৩ উইকেট চলে যায় আকাশের ঝুলিতে।

বিজ্ঞাপন

শুরুর একটা ঘণ্টা নিজের করে নিয়েছিলেন আকাশ। এরপরের গল্পটা রবীচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজার। ৩৮ রানের ইনিংসে জনি বেয়ারস্টো চোখ রাঙাতে শুরু করেছিলেন। অশ্বিন তাকে ফেরান প্রথমে। ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। বেন স্টোকস উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই তাকে ফেরান জাদেজা। তিনিও পড়েছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদেই।

১১২ রানে ইংলিশরা পাঁচ উইকেট খোয়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই মধ্যাহ্ন বিরতির ঘণ্টা বাজিয়ে দেন দুই আম্পায়ার। সেশনটা যেভাবে কাটিয়েছে ভারত, তাতে তারা দুপুরের খাবার খেতে গেছে তৃপ্তি নিয়েই। ওদিকে ইংলিশদের সঙ্গী হয়েছে একরাশ অস্বস্তি।