‘সাকিব-তামিম ক্লাসিকো’য় শেষ হাসি তামিমের, ফাইনালে বরিশাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচটা রীতিমতো ডার্বিতেই রূপ নিয়েছিল। দুই দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল একে অন্যের বন্ধু থেকে নেমেসিসে পরিণত হয়েছেন বহু দিন হয়। এবারের বিপিএলে তা পেয়েছে নতুন মাত্রাও। সেসব একপাশে রাখলেও রংপুর আর বরিশালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লড়াইটাও ছিল একেবারে ‘ক্লাসিকোসুলভই’। ফলে দুই দলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটা খেলার আগেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল বেশ। সেই দ্বৈরথে শেষমেশ শেষ হাসিটা হাসলেন তামিম ইকবালই। তার দল ফরচুন বরিশাল ৬ উইকেটে রংপুরকে হারিয়ে চলে গেছে ফাইনালে।

কখনো শিরোপা জেতেনি, এমন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাইনালে খেলার রেকর্ডটা বরিশালের। ভিন্ন ভিন্ন নামে তিন বার খেলেছে ফাইনালে। চতুর্থ ফাইনাল হাতছানি দিয়ে ডাকছিল ফরচুন বরিশালকে। এমন হাতছানির সামনে দাঁড়িয়ে দলটার সামনে ছিল রংপুর রাইডার্স, যারা এবার বিপিএলের গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে শীর্ষে থেকে। এমন পরিস্থিতিতে শেষমেশ পা হড়কায়নি তামিম ইকবালের দল। 

এদিন টস ভাগ্যটাও সঙ্গ দিয়েছিল তামিমের দলকে। অধিনায়ক তামিম টস জিতে রংপুরকে পাঠান ব্যাটিংয়ে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে রংপুর। মেইকশিফট ওপেনার শেখ মাহেদি হোক, কিংবা তিনে নামা সাকিব আল হাসান, যাকে নিয়ে ম্যাচের আগে অত আলোচনা, তাদের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পারলেন না; দুজনকেই ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর যখন রনি তালুকদারকে ফেরালেন কাইল মায়ার্স, পাওয়ারপ্লেতেই তিন উইকেট খুইয়ে বসে রংপুর। 

সেই যে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ল রংপুর, আর ফিরতেই পারল না। পাওয়ারপ্লেতে তিন, পরের চার ওভারে আরও দুই উইকেট খুইয়ে বসে। তার মধ্যে একটা উইকেট আবার জিমি নিশামের, যিনি ২২ বলে ২৮ রান করে ছিলেন রংপুরের আশার বাতিঘর হয়ে। তার বিদায়ের পর মোহাম্মদ নবী আর অধিনায়ক নুরুল হাসান একটু চেষ্টা করেছিলেন দলকে বিপদমুক্ত করার। তবে জেমস ফুলারের করা ১৫তম ওভারে দুজনই বিদায় নেন।

তখন তিন অঙ্ক ছোঁয়াও অনেকটাই কঠিন ছিল রংপুরের। ৭৭-৭ থেকে দলের রানটা ১৪৯ তে গিয়ে ঠেকেছে শামীম পাটোয়ারীর ব্যাটে চড়ে। ৫টি করে চার আর ছক্কায় তিনি করেন ২৪ বলে ৫৯। তাতে ভর করেই শেষ ৩১ বলে ৭২ রান তোলে রংপুর, পায় লড়াইয়ের পুঁজি।

লক্ষ্যটা বড় ছিল না। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে তামিম ইকবালের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজকে ওপেনিং জুটিতে পাঠায় বরিশাল। সে সিদ্ধান্ত অবশ্য কাজে দেয়নি তাদের। ওপেনিং জুটিটা স্থায়ী হয়নি খুব বেশিক্ষণ, মিরাজও ফিরেছেন দ্রুতই। 

ফজলহক ফারুকীর সঙ্গে তামিমের ম্যাচ আপ নিয়ে বহু কথা হচ্ছিল। শেষ চার সাক্ষাতে চার বারই তার বলে তামিমের আউট হওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক কিছু নয়। আজ অবশ্য তামিম নিজের উইকেটটা তার কাছে খোয়াননি। তবে সে সুযোগটাই তিনি দিয়েছেন কম। ফারুকির করা প্রথম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মিরাজ। এরপর তৃতীয় ওভারে ফারুকীর তিন বল খেলেছেন তামিম। সে থেকে তুলেছেন ১ রান। তবে তিনি ফিরেছেন আবু হায়দার রনির বলে, ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে থাকা নবীর কাছে। সে ওভারে মিরাজও সাজঘরমুখো হয়েছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।

পরের গল্পটা কেবলই মুশফিকুর রহিমের। ৩৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন, দলের প্রয়োজনে ব্যাট চালিয়েছেন, কখনো বা পরিস্থিতি বুঝে সমঝে খেলেছেন। ওপাশে থাকা সৌম্য সরকার, কাইল মায়ার্স, ডেভিড মিলারদের সঙ্গ দিয়েছেন। ঝড়টা রংপুরের ওপর বইয়েছেন মায়ার্স। তার ১৫ বলে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিওই সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর দলকে বিপদে পড়তে দেয়নি। সঙ্গে তো মুশফিক ছিলেনই! মায়ার্স জয়ের একটু আগে বিদায় নিয়েছেন। তবে মুশফিক হার মানেননি। দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে, এরপরই ক্ষান্ত হয়েছেন।

তাতেই শিরোপাজয় থেকে আর মোটে এক ধাপের দূরত্বে এসে দাঁড়িয়েছে কখনো শিরোপা না জেতা দলটি। শুক্রবার কুমিল্লার বিপক্ষে ফাইনালের এবার তাদের মিশনটা আক্ষেপ ঘোচানোর।

বিশ্বকাপে এবার ফ্লাইট বিলম্বের শিকার প্রোটিয়ারাও

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরটি হচ্ছে দুটি ভিন্ন দেশে, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যদিও গ্রুপপর্বের পর সুপার এইট থেকে সব ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তবে শুরু থেকেই যেই সমস্যায় একাধিক দলকে পড়তে হয়েছে সেটি হলো ফ্লাইট বিলম্বের।

গত ২৪ জুন সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে সেমিতে উঠে যায় আফগানিস্তান। সেই ম্যাচটি ছিল সেন্ট ভিনসেন্টে। মাঝে একদিন বাদে ২৬ জুন ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল আফগানদের। বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে সেখানে যাওয়ার সময় চার ঘণ্টার ফ্লাইট বিলম্বে পড়েছিল আফগানরা। এতে জানা যায়, তাদের ম্যাচের আগে অনুশীলনেও এসেছে বাঁধা।

আফগানদের পর এবার প্রোটিয়ারা সম্মুখীন একই সমস্যার। গতকালের প্রথম সেমি জেতার পর ফাইনাল ম্যাচের জন্য বার্বাডোজের উদ্দেশ্যের রওনা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি। ফ্লাইটে ওঠার আগেই বিমানবন্দরে আটকা পড়েন মার্করাম-ক্লাসেনরা। সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেটারদের পরিবার, আম্পায়াররা ও ম্যাচ রেফারি। বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে ফ্লাইট যাত্রা শুরু করে প্রোটিয়াদের দল নিয়ে।

এদিকে গতকাল রাতে গায়ানায় ম্যাচ শেষ করে ঠিক সময়েই বার্বাডোজে পৌঁছে যায় ভারত দল। আগামীকাল কেনসিংটন ওভালে আসরের শেষ ও শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে নামবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

;

বিশ্বকাপে ভারতকে বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবী ভন-মাঞ্জেরেকারের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের স্কোয়াডে কেন স্পিনারদের আধিক্য? দল ঘোষণার পর, রোহিতকে জিজ্ঞেস করেও তখন জানা যায়নি এই রহস্য। অবশেষে গায়ানায় এসে উত্তর মিললো। বুঝা গেল কেন দলে চার স্পিনার। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভারত জেনে গিয়েছিল সেমিতে উঠলে কোথায় খেলবে তারা। গায়ানায় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছে ভারতীয় স্পিনাররা।

আর এতেই আপত্তি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের। ক্লাব প্রেইরি ফায়ার পডকাস্টে তার সহজ কথা টুর্নামেন্টটি সাজানোই হয়েছে ভারতকে শিরোপা জেতাতে। গায়ানায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত, এটা মানছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারও।

মাঞ্জেরেকার ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বলেন, ‘পরিষ্কার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রোহিতকে এটা মানতেই হবে। সে বলতে পারবে না যে এটা তাদের কাজটা সুবিধা করে দিচ্ছে না। ভারত নিশ্চয়ই তাদের দল সাজিয়েছে এটা মাথায় রেখে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ভারতের সমস্যা ছিল। যখন আপনি জানবেন আপনার খেলা গায়ানায়, তখন আপনি চার স্পিনার দলে রাখবেন। এটাই হবে একটা কারণ।’ 

এদিকে ভনের অভিযোগ টুর্নামেন্টই তো ভারতের। তাই তাদের সব রকম সুযোগই দিচ্ছে আইসিসি। যা নিয়ে ভন বলেন, ‘এটা ভারতের টুর্নামেন্ট। তারা যেখানে চায়, সেখানে খেলছে। তারা জানে তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচ কোথায় হবে। তারা প্রতিটা ম্যাচ খেলছে সকাল বেলা, যেন ভারতের দর্শকরা রাতের বেলা টিভিতে খেলা দেখতে পারে। আমি বুঝতে পারছি। বিশ্ব ক্রিকেটে অর্থের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হলে বিষয়টি বোধগম্য হতো। কিন্তু আপনি যখন বিশ্বকাপ খেলবেন, আইসিসির উচিৎ অন্য দলগুলোর প্রতি আরও স্বচ্ছ হওয়া। এই বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ ভারতের জন্য সাজানো হয়েছে।’ 

;

দুটি ছক্কায় রোহিতের ‘দুই’ কীর্তি 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরুটা কিছুটা সাদামাটা হলেও সুপার এইট থেকে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে র‍য়েছেন রোহিত শর্মা। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৯২ রানের দারুণ এক ইনিংসের পর গতকাল দ্বিতীয় সেমিতেও ফিফটির দেখা পান এই ভারতীয় অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে ৩৬ বলে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান। যেই ইনিংসে চড়েই বড় সংগ্রহের ভিত পায় ভারত। 

রোহিতের ৫৭ রানের এই ইনিংস সাজানো ৬ চার ও ২ ছক্কায়। যেখানে এই দুই ছক্কায় দুটি কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন হিটম্যান খ্যাত এই ব্যাটার। এই ইনিংসে দুটি ছক্কা দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৫০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করলেন রোহিত। এই কীর্তি প্রথম গড়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। এতেই দ্বিতীয় ক্রিকেট হিসেবে সেই তালিকায় নাম লেখালেন রোহিত। 

এদিকে চলতি বিশ্বকাপ এ নিয়ে তিনটি ফিফটি পেরোনো ইনিংস খেললেন রোহিত। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিফটি তোলেন ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ছক্কাটি হাঁকিয়ে। আর এতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক-আউটে প্রথম কোনো ভারতীয় অধিনায়ক পেলেন ৫০ ঊর্ধ্ব ইনিংসের দেখা। 

চলতি আসরে ৭ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৪১.৩৩ গড় এবং ১৫৬ স্ট্রাইক রেটে ২৪৮ রান করেন রোহিত। যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ৮ ম্যাচে ২৮১ রান করে এই তালিকায় শীর্ষে আছে রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তার দল সেমি থেকেই বিদায় নিলেও শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন তিনি। তবে ফাইনালে রোহিত ৩৪ রান করলেই তাকে ছাড়িয়ে উঠে যাবে শীর্ষে।  

;

ফাইনালেই ছন্দে ফিরবেন কোহলি, আশা কোচ ও অধিনায়কের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিসংখ্যানও যেন বিরাট কোহলির এমন ফর্ম মানতে পারছে না। এর আগের চার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন দুই অঙ্কের আগে ফিরেছেন কেবল দুবার, সেখানে চলতি বিশ্বকাপে ১০ আগের আগে আউট হয়েছেন পাঁচবার। বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের আসরে সেই ছন্দের যেন ধারেকাছেও নেই কোহলি। এতেই অনেকেই তার একাদশে বা ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তবে কোহলির এই ফর্মহীনতা মোটেও ভাবাচ্ছে না ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার মতে, দ্রুতই রানে ফিরবেন কোহলি। 

গতকাল ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। সেখানে শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও কেবল ৯ রান করেই ফিরেছেন কোহলি। এতে আরও একবার দলের এই তারকা ব্যাটার নিজের নামের সুবিচার না করতে পারলেও তাকে নিয়ে কোনো ধরণের দ্বিধায় নেই রোহিত। ম্যাচে শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়। সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে।’ 

চলতি আসরে সাত ইনিংসেই ওপেনিংয়ে নামা কোহলির মোট রান ৭৫। যেখানে গড় মাত্র ১০.৭১ স্ট্রাইক রেট ১০০। এই আসরের বিরাটের পরিসংখ্যানের খাতাটা মলিন হলেও আশার বাণী শোনালেন দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। ‘বিরাটকে আপনারা জানেন। একটু রিস্ক নিয়ে খেললে সবসময় সফল হওয়া যায় না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওর ইনটেন্ট ভালো লেগেছে। এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে হিতে বিপরীত হয়। তবে আমার মনে হয় বড় কিছুই আসছে। তার আচরণ ভালো লাগে এবং মাঠে যেভাবে নিজেকে নিংড়ে দেয়-আমার মনে হয় তার রানে ফেরা ওর প্রাপ্য।’ 

নিজেকে প্রমাণ করতে এই আসরে সুযোগ হিসেবে একটি ম্যাচই পাচ্ছেন কোহলি। সেটিও আবার ফাইনালের মঞ্চে। ১৬ বছরের চলমান ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন কোহলি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছিলেন ৩৫ রান। পরে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৮ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। দুই ফাইনালের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে তাই আরও এক ফাইনালে রানে ফিরতে মরিয়া এই ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটার। 

;