বিশ্বকাপ শেষে ঢাকায় ফিরল বাংলাদেশ দল

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক যাত্রাই ছিল বৈকি! গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর দিয়ে শুরু। সেখানে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে এরপর লম্বা এক বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তা শেষে আজ শুক্রবার ঢাকায় পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। 

বিশ্বকাপটা এবার ভালো-মন্দের মিশেলে কেটেছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নিজেদের ইতিহাসে এক বিশ্বকাপে এত বেশি ম্যাচ কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ দল। ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো খেলেছে সুপার এইটে।

যদিও সামগ্রিক বিচারে এই সাফল্য নেহায়েত নগণ্যই। শেষ ম্যাচে হিসেব কষে জিততে পারলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে সুপার এইট দিয়েই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।

এই বিশ্বকাপের মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সকাল ৯টায় ঢাকায় পা রাখেন তাসকিন আহমেদরা। 

বিশ্বকাপ মিশনটা গেল ২৫ জুন শেষ হয়েছে দলের। অ্যান্টিগা থেকে বাংলাদেশ ঢাকার পথে যাত্রা শুরু করে গত বুধবার। সেখান থেকে মায়ামি, দুবাই হয়ে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে টাইগাররা। 

বিশ্বকাপের আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যার সবগুলোই গ্রুপপর্বে। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ২২ ছুঁইছুঁই গড় ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের পারফর্ম ছিল পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। 

শুরু থেকেই অবশ্য পারফর্ম করেছে দলের বোলিং বিভাগ। ৭ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। যা সুপার এইটের শেষ পর্যন্ত ছিল আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের রেকর্ড ৭০০ টেস্ট উইকেটশিকারী জেমস অ্যান্ডারসন তার বিদায়ের ঘোষণাটা দিয়ে রেখেছিলেন আরও আগেই। লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তি পেসার।

আগামী ১০ জুলাই মাঠে গড়াবে এই ম্যাচ। অ্যান্ডারসএর বিদায়ী টেস্টকে সামনে রেখে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই স্কোয়াডটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রথম দুই টেস্টের জন্য।

দল ঘোষণায় বেশ চমক রেখেছে ইংল্যান্ড। সবশেষ টেস্ট ম্যাচের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। তাদের জায়গায় প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন পেসার ডিলন পেনিংটন ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথ। পেনিংটন নটিংহামশায়ার ও স্মিথ সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ পারফর্ম করে নজর কেড়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এই টেস্ট সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে ১০ জুলাই লর্ডসে। যেখানে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় বলবেন অ্যান্ডারসন। এরপর আগামী ১৮ জুলাই নটিংহাম ও ২৬ জুলাই বারমিংহামে শেষ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড স্কোয়াড (২ ম্যাচ):

বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমস অ্যান্ডারসন, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, হ্যারি ব্রুক, জ্যাক ক্রাওলি, বেন ডাকেট, ড্যান লরেন্স, ডিলন পেনিংটন, অলি পোপ, ম্যাথু পটস, জো রুট, জেমি স্মিথ, ক্রিস ওকস।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বিশ্বকাপ একাদশে ৬ ভারতীয় ক্রিকেটার

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের পর্দা নামল ভারতের হাতে শিরোপা ওঠার মাধ্যমেই। অধরা বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ারকে যেন পূর্ণতা দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেকেই। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে নিজেদের সেরা একাদশ ঘোষণা করল ক্রিকেট সংবাদ এবং পরিসংখ্যান ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।

এই একাদশ মূলত ক্রিকইনফোর স্মার্ট পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা ম্যাচের প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে ব্যাটিং এবং বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ইম্প্যাক্ট পয়েন্টও দিয়েছে।

ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং , তিন ক্ষেত্র বিবেচনায়ই মিশ্র দল সাজিয়েছে ক্রিকইনফো। যেখানে সর্বোচ্চ ছয়জন ক্রিকেটার বাছাই করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন ভারত দল থেকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বসেরা এই একাদশ।

রোহিত শর্মা (রান-২৫৭, স্ট্রাইক রেট-১৫৬.৭০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৫.৮১)

কঠিন পরিস্থিতিতেও রোহিত তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রতি অটল। এই বিশেষ গুণটিই তাকে এবং ভারত দলকে শেষ পর্যন্ত সফলতা এনে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার ৯২ রান ছিল টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং যেকোনো ইনিংসে ব্যাটিং রেটিং পয়েন্টের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেরফান রাদারফোর্ডের অপরাজিত ৬৮ রান আছে প্রথম স্থানে।

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (রান-২৮১, স্ট্রাইক রেট-১২৪.৩৩, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫১.০১)

গুরবাজ এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী পার্টনারশিপ গড়েছেন। এই জুটি একসাথে মোট ৪৪৬ রান করেছে, যার মধ্যে তিনটি শতকও আছে। যেখানে অন্য কোনো জুটি ৩১২ রানের বেশি করতে পারেনি। আফগানিস্তানের দুটি বড় জয়ের ম্যাচে গুরুবাজ নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০ এবং ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন।

নিকোলাস পুরান (রান-২২৮, স্ট্রাইক রেট-১৪৬.১৫, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩৩.৮৯)

পুরান ব্যাট হাতে এবারের বিশ্বকাপে সাত ইনিংসের মধ্যে পাঁচটিতে ২০ এর অধিক রান করেছিলেন এবং নিঃসন্দেহে তার সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স ছিল ৫৩ বলে ৯৮, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৮ রান তুলতে সাহায্য করেছিল। যদিও তার একটি ব্যর্থতা ছিল দলের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ রানে আউট হয়েছিলেন।

সূর্যকুমার যাদব (রান-১৯৯, স্ট্রাইক রেট-১৩৫.৩৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-২৯.২৮)

টুর্নামেন্টের শুরুটা ধীরগতির হলেও সূর্যকুমার তার শেষ ছয় ইনিংসের চারটিতেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ২৮ বলে ৫৩ রান ভারতকে ৪ উইকেটে ৯০ রান থেকে ১৮১ রানে নিয়ে যায়। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি রোহিতের সাথে জুটি বেঁধে ভারতের ইনিংসকে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেন। ফাইনাল ম্যাচে শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত এক ক্যাচে মিলারকে আউট করে তো দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনিই একমাত্র নন-ওপেনার যিনি টুর্নামেন্টে চারটি ৩০ রানের বেশি ইনিংস খেলছেন।

হেনরিখ ক্লাসেন (রান-১৯০, স্ট্রাইক রেট-১২৬.৬৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩১.৪৭)

ক্লাসেনের স্ট্রাইক রেট তার মান অনুযায়ী বেশ কমই দেখাচ্ছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ হল দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনে একাধিক ম্যাচ খেলেছে। তারপরও দলের হয়ে ক্লাসেনের পারফরম্যান্স বাকিদের তুলনায় ভালো ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৪৪ বলে ৪৬ রান তাদের দলীয় ১১৩ রান করতে সাহায্য করে এবং তাকে ৭৯.৯ ব্যাটিং ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট এনে দেয়। এছাড়া ফাইনালে ভারতীয় স্পিনারদের ওপর তার মারকুটে ব্যাটিং তো দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জয়ের জন্য খুব কাছে নিয়ে যায়।

মার্কাস স্টয়নিস (রান-১৬৯, স্ট্রাইক রেট-১৬৪.০৭, উইকেট-১০, ইকোনমি-৮.৮৮, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৬২.১৭)

ওমানের বিপক্ষে কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনেও তিনি ৩৬ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, তারপর ১৯টি বল করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। স্কটল্যান্ডের ১৮০ রান তাড়া করার সময় তার ২৮ বলে ৫৯ রান বড় ভূমিকা পালন করেছে।

হার্দিক পান্ডিয়া (রান-১৪৪, স্ট্রাইক রেট-১৫১.৫৭, উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬৪, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫৫.৫৮)

কঠিন আইপিএল আসর শেষ করার পর হার্দিকের জন্য এবারের বিশ্বকাপ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ছিল। ব্যাট ও বল হাতে তিনি ঠান্ডা মাঠায় কিছু ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ৫০*, ২৭* এবং ২৩ রানের ইনিংসগুলো ভূমিকা রেখেছে। ডেথ-ওভারে তার পাওয়ার-হিটিং দুর্দান্ত ছিল। ফাইনালে তার বোলিং দিয়ে তিনি ক্লাসেন এবং মিলারকে আউট করেন।

অক্ষর প্যাটেল (রান-৯২, স্ট্রাইক রেট-১৩৯.৩৯, উইকেট-৯, ইকোনমি-৭.৮৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৮.২৬)

ভারতের স্কোয়াডে অক্ষর প্যাটেলের থাকাটা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর ছিল। কিন্তু তিনি ঠান্ডা মাথায় নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ফাইনালে তার ৩১ বলে ৪৭ রান ভারতের দ্রুত তিনটি উইকেট হারানোর পর খুব জরুরি ছিল। বল হাতেও ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেছেন।

আর্শদীপ সিং (উইকেট-১৭, ইকোনমি-৭.১৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৪.৪৮)

নতুন বলে সুইং করাতে এবং পাওয়ারপ্লেতে ছয় উইকেট নিয়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন। ফজলহক ফারুকির সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। জসপ্রিত বুমরাহ স্পষ্টতই দলের সেরা তারকা পেসার হলেও বাঁহাতি এই তরুণ আর্শদীপ যে দলের হয়ে আগামী দিনে দারুণ কিছু করে দেখাবেন তা নিশ্চিত।

জসপ্রীত বুমরাহ (উইকেট-১৫, ইকোনমি-৪.১৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৯.৮)

যখনই ভারত সমস্যায় পড়েছে, তখনই অধিনায়ক রোহিতের হাতে সেরা বোলার হিসেবে ছিলেন বুমরাহ। তিনি নতুন বলে অপ্রতিরোধ্য ডেলিভারি করেছেন, মাঝের ওভারে পার্টনারশিপ ভেঙেছেন এবং ডেথ ওভারে নির্ভুল ইয়র্কার ও স্লোয়ার কাটার বোলিং করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৪.০৭, মাঝের ওভারে ৪.৭৫ এবং শেষ দিকের ওভারে ৩.৭৮ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি যা এই ফরম্যাটে দুর্দান্ত। যেকোনো বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো বোলিং পারফরম্যান্স কারও নেই।

তাবরিজ শামসি (উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৩.৭৩)

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচ না খেলতে পারার পর শামসি তার প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই নেপালের বিপক্ষে এক রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। বল হাতে ১৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে  নেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। ফাইনালে বাঁহাতি স্পিনারদের লড়াইয়ে কুলদীপ যাদবকে তিনি ছাড়িয়ে এই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

রোহিত-কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শচীন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যার খেলা দেখেই এই দুইজনের ক্রিকেট খেলার শুরু, স্বয়ং তার কাছ থেকেই কয়েকটা ভালো কথা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করবে এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় ক্রিকেট ছাপিয়ে পুরো বিশ্বজুড়েই ক্রিকেটের রথীমহারথীরা রোহিত-কোহলির বিদায়ে স্যোশাল মিডিয়ায় নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশ্বজুড়েই তারা পাচ্ছেন বিদায়ী অভ্যর্থনা। ভক্তদের ইমোশনের সেই ঘোর এখনও কাটেনি, সেই বিশ্বজয়ের আনন্দে নতুন করে আবেগ এবং আনন্দ বাড়ালেন শচীন টেন্ডুলকার।

নিজের সবগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই সাবেক সতীর্থকে নিয়ে এক সাথে পোস্ট দিয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি শচীন। বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি হাতে এবং ভারতের পতাকা জড়ানো গায়ে দুজনের তোলা সেই ছবি আপলোড দিয়ে দুজনের জন্যই আলাদা আলাদা দুটি বর্ণনা লিখেছেন তিনি।

অধিনায়ক রোহিত শর্মার প্রশংসায় শচীন লিখেছেন, 'রোহিত শর্মা, একজন প্রমিজিং ক্রিকেটার থেকে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, তোমার বিবর্তন আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আপনার অটল প্রতিশ্রুতি এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভা জাতির জন্য প্রচুর গর্ব বয়ে এনেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতা, তোমার তারকাখ্যাতি সম্পন্ন ক্যারিয়ারের নিখুঁত পরিণতি। সাবাশ, রোহিত!'

বিরাট কোহলিকে নিয়ে তিনি বলেন, 'বিরাট কোহলি, তুমি এই খেলার সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে তোমার খারাপ সময় গেলেও, গত রাতে তুমি প্রমাণ করেছো কেন তুমি ভদ্রলোকের খেলার সত্যিই অন্যতম সেরা। ছয়টি বিশ্বকাপে লড়াই করা এবং শেষটায় জয় পাওয়া, এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী আমি নিজেই। আমি আশা করি তুমি অন্য দুই ফরম্যাটে ভারতের হয়ে আরও অনেক জিতবে।'

ভারতের জার্সি গায়ে এই দুই বর্তমান গ্রেটের সঙ্গে প্রায় অর্ধযুগ ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন গ্রেটেস্ট অব অল টাইম শচীন। আইপিএল শিরোপাও শচীন জিতেছেন রোহিতের অধীনে মুম্বাইতে। এমন সব কথা নিশ্চয় সাবেক দুই টিমমেটকে অনুপ্রাণিত এবং গর্বিত করবে অনেক বেশি।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে নিয়েই নিজের বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। একই পথে এবার হাঁটলেন ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়ে নিজেই অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়ে দিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলেও দেশের জার্সি গায়ে ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন, এমনটাও জানিয়েছেন জাদেজা।

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিজের ছবি পোস্ট দিয়ে সেখানে জাদেজা লিখেছেন, 'কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছি। গর্বের সাথে এতবছর ছুটে চলা অটল ঘোড়ার মত আমি সবসময় আমার দেশের জন্য সেরাটা দিয়েছি। বাকি ফরম্যাটগুলোতে আমি এমনটা করতে থাকব।'

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা একটি স্বপ্ন ছিল। যা এখন সত্যি। এটা আমার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন। অনেক স্মৃতি, উল্লাস এবং আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

৩৫ বছর বয়সী এই ভারতীয় অলরাউন্ডারের সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ আসরটা অবশ্য ভালো কাটেনি। সবশেষ চার ম্যাচে বল হাতে একটি উইকেটের দেখাও পাননি জাদেজা। ব্যাট হাতেও সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। তবে তার দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে জাদেজা খেলেছেন মোট ৭৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে ৫১৫ রানের সঙ্গে তার মোট উইকেট শিকারের সংখ্যা ৫৪টি।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;