এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে সময় দেখেননি তাসকিন
ক্রিকেট কার্নিভাল
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৭ ম্যাচে ২১.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ১৫৩ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতেই বোঝা যায় চলতি আসরে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ছিল কতটা ফর্মহীন। পুরো আসরে দলের বোলাররা কাজটা অনেক সহজ করে দিলেও ব্যাটাররা একের পর এক দলকে করেছে হতাশ। নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দলের ব্যাটিংয়ের এমন হতশ্রী পারফর্ম সহসা মেনে নিলেন তাসকিন আহমেদও।
এক দশক আগে ২০১৪-তে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন তাসকিনের। তার এই ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে অবস্থা দেখেননি তাসকিন।
বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ এবং সবশেষ বিশ্বকাপ, তিন জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের একটাই ড্রব্যাক, ব্যাটিংয়ে ছন্দহীন পারফর্ম। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ (শুক্রবার) সকালে দেশের ফিরে এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয়, টু বি অনেস্ট, প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন ব্যাটারদের প্রতি সাহায্যটা কম ছিল, আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশও ভুগেছে। ওখানে বোলারদের একটু সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর উইকেট হয়তো কিছুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু তাও আসলে এত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় দেখিনি, দশ বছর ধরে খেলছি, এটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে দল, আশা করি।’
তাসকিন কথা বলেন সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়েও। সেখানে দল অনেকটাই কাছে ছিল সেমিতে ওঠার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ভক্তদের মতো নিজেদের হতাশার কথাও শোনালেন তাসকিন।
‘আসলে যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে, আমরাও একটু দুঃখ পেয়েছি। ভক্ত-ক্রিকেটপ্রেমীদের সবাই একটু দুঃখিত যে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি। কয়েকটা ম্যাচে হয়তো আমাদের জেতার কথা ছিল, তা আমরা পারিনি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা যেটা, ১২.১ ওভারে আমাদের চেজ করার ইন্টেন্ট সবারই ছিল, সেভাবেই খেলাটা শুরু করেছিলাম। একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন মনে হলো আর হবে না ১২ ওভারে, তখন সাধারণভাবে জেতার চেষ্টা করা… এই পরিকল্পনাটা ছিল আমাদের। এরপর সে চেষ্টাটা করেও আমরা পারিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কি আর করা!’