এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে সময় দেখেননি তাসকিন 

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৭ ম্যাচে ২১.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ১৫৩ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতেই বোঝা যায় চলতি আসরে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ছিল কতটা ফর্মহীন। পুরো আসরে দলের বোলাররা কাজটা অনেক সহজ করে দিলেও ব্যাটাররা একের পর এক দলকে করেছে হতাশ। নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দলের ব্যাটিংয়ের এমন হতশ্রী পারফর্ম সহসা মেনে নিলেন তাসকিন আহমেদও। 

এক দশক আগে ২০১৪-তে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন তাসকিনের। তার এই ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে অবস্থা দেখেননি তাসকিন। 

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ এবং সবশেষ বিশ্বকাপ, তিন জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের একটাই ড্রব্যাক, ব্যাটিংয়ে ছন্দহীন পারফর্ম। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ (শুক্রবার) সকালে দেশের ফিরে এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয়, টু বি অনেস্ট, প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন ব্যাটারদের প্রতি সাহায্যটা কম ছিল, আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশও ভুগেছে। ওখানে বোলারদের একটু সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর উইকেট হয়তো কিছুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু তাও আসলে এত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় দেখিনি, দশ বছর ধরে খেলছি, এটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে দল, আশা করি।’

তাসকিন কথা বলেন সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়েও। সেখানে দল অনেকটাই কাছে ছিল সেমিতে ওঠার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ভক্তদের মতো নিজেদের হতাশার কথাও শোনালেন তাসকিন। 

‘আসলে যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে, আমরাও একটু দুঃখ পেয়েছি। ভক্ত-ক্রিকেটপ্রেমীদের সবাই একটু দুঃখিত যে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি। কয়েকটা ম্যাচে হয়তো আমাদের জেতার কথা ছিল, তা আমরা পারিনি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা যেটা, ১২.১ ওভারে আমাদের চেজ করার ইন্টেন্ট সবারই ছিল, সেভাবেই খেলাটা শুরু করেছিলাম। একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন মনে হলো আর হবে না ১২ ওভারে, তখন সাধারণভাবে জেতার চেষ্টা করা… এই পরিকল্পনাটা ছিল আমাদের। এরপর সে চেষ্টাটা করেও আমরা পারিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কি আর করা!’ 

এখন তো আমি বেকার: রাহুল দ্রাবিড়

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিসিআই আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে বিশ্বকাপের পরেই শেষ হচ্ছে রাহুল দ্রাবিড় অধ্যায়। তার জায়গায় নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন এমনকি কোচ নিয়োগের জন্য সাক্ষাৎকারও নিতে শুরু করেছে বিসিসিআই। তাই বিশ্বকাপ জিতলেও চাকরি হারাতেই হচ্ছে দ্রাবিড়কে। তবে বিষয়টি জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছেন দ্রাবিড়। তার অধীনে দল বিশ্বকাপ জেতাতেই খুশি তিনি।

তার অধীনে ভারতীয় দলের সাফল্য নিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘দুবছরের একটা যাত্রা শেষ হল এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের মধ্যে নির্দিষ্ট মানের দক্ষতা চেয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় কিছু ক্রিকেটারকে চেয়েছিলাম। ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই দলে আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিভাবে বিশ্বকাপ জেতা যায়। আমরা কিন্তু এই বিশ্বকাপের জন্য পরিশ্রম করিনি। গত দু’বছরের পরিশ্রমের ফল এই ট্রফি।’

দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনোই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি দ্রাবিড়। কোচিংয়ের মাধ্যমে সেই স্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন কিনা; এমন প্রশ্নে দ্রাবিড় বলেন, ‘নিজের সেরাটা দিলেও খেলোয়াড় হিসাবে একটা ট্রফি জেতার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি ভাগ্যবান এই দলের কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। একদল দুর্দান্ত ছেলে আমার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। দুর্দান্ত অনুভূতি। তবে আমি কোনও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাজ করিনি। শুধু নিজের কাজটা করার চেষ্টা করেছি। সত্যি, দুর্দান্ত একটা যাত্রা শেষ হল।’

ভারতীয় দলের সঙ্গে তার দায়িত্ব শেষ হওয়ায় এখন কি করবেন তিনি; এমন প্রশ্নে দ্রাবিড় বলেন, ‘এই জয়ের পর আমি দ্রুতই সামনে এগোব। পরের সপ্তাহ থেকে আমি বেকার (হাসি)। কাজেই আমি খুব সামনের কথা ভাবতে চাই না। তবে আমি আশা করি এগিয়ে যেতে পারব। আর আমি মনে করি এটাই জীবন।’

২০২১ বিশ্বকাপের পর রবি শাস্ত্রীর জায়গায় ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। তার অধীনে গত ১২ মাসে তিনটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলেছে ভারত। এরমধ্যে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছে ভারত। এর বাইরে তার অধীনে সবশেষ এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। দ্রাবিড়কে তাই ভারতের অন্যতম সফল কোচ বলায় যায়। আর সেই সফল কোচের তকমা নিয়েই ভারতের কোচের দায়িত্ব শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জিতেছেন যারা

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের এবারের বিশ্বকাপ জয়ে জসপ্রিত বুমরাহ পালন করেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান। দলকে ফাইনালে জিতিয়েছেন তার দুর্দান্ত বোলিং স্পেল দিয়েই, টুর্নামেটে মোট ১৫ উইকেট নিয়েছেন। অবাক করা বিষয় মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে বল করেছেন! গড় ছিলো ৮.২৬। প্রতি ১১.৮৬ বলে নিয়েছেন একটা করে উইকেট; ইম্প্যাক্ট রেখেছেন সব জয়ে। ইতিহাসে কোনো বোলারেরই এত ভালো পারফরম্যান্স নেই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। সে আসরে ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ৯১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৭ ইনিংসে ১২ উইকেট। যদিও দল হয়েছিলো রানার্সআপ।

ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে ৭ ইনিংসে প্রায় ৫৩ গড়ে ৩১৭ রান করে এই পুরস্কার জুটে লঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের। যদিও দল হয়েছিলো রানার্সআপ।

২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসরে এই পুরস্কার জেতেন, কেভিন পিটারসেন। ৬ ইনিংসে ৬২ গড়ে করেন ২৪৮ রান। বড় ব্যাপার দল জিতেছিলো শিরোপা। ৩১ বলে ৪৭ করে ভূমিকা রেখেছিলেন ফাইনাল জয়ে।

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন শেন ওয়াটসন। বল হাতে ছয় ইনিংসে ১১ উইকেট। ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে প্রায় ৫০ গড়ে ২৪৯ রান। একেবারে পারফেক্ট অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স।

২০১৪ সালে এই পুরস্কার জেতেন বিরাট কোহলি। ৬ ইনিংসে করেন ৩১৯ রান। সেবার ব্যাট করেছিলেন ১০৭ গড়ে। যদিও সেবার বাংলাদেশের মাটিতে রানার্সআপ হয় ভারত।

২০১৬ তেও প্রথমবারের এই পুরস্কার দুইবার জেতার কীর্তি গড়েন ভিরাট কোহলি। বল হাতে এক উইকেটের পাশাপাশি ৫ ইনিংসে করেন ২৭৩ রান, গড় ছিলো ১৩৬.৫০। ভিরাট অনবদ্য খেললেও ঘরের মাঠে দল বিদায় নেয় সেমি থেকে।

২০২১ সালে আরব আমিরাত আর ওমানের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে ২৮৯ রান করে দলকে শিরোপা জিতিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জেতেন ডেভিড ওয়ার্নার।

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়াতে রানের চাইতেও বেশি উইকেট শিকার করে এই পুরস্কার জেতেন ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারেন। বল হাতে ৬ ইনিংসে ১১.৩৬ গড়ে শিকার করেন ১৩ উইকেট। এক ম্যাচ শিকার করেছিলেন ১০ রানে ৫ উইকেট। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ১২ গড়ে ১২ রান। ইংলিশরা জিতেছিলো এই ফরম্যাটের দ্বিতীয় শিরোপা।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের রেকর্ড ৭০০ টেস্ট উইকেটশিকারী জেমস অ্যান্ডারসন তার বিদায়ের ঘোষণাটা দিয়ে রেখেছিলেন আরও আগেই। লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তি পেসার।

আগামী ১০ জুলাই মাঠে গড়াবে এই ম্যাচ। অ্যান্ডারসএর বিদায়ী টেস্টকে সামনে রেখে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই স্কোয়াডটি ঘোষণা করা হয়েছে প্রথম দুই টেস্টের জন্য।

দল ঘোষণায় বেশ চমক রেখেছে ইংল্যান্ড। সবশেষ টেস্ট ম্যাচের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। তাদের জায়গায় প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন পেসার ডিলন পেনিংটন ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথ। পেনিংটন নটিংহামশায়ার ও স্মিথ সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ পারফর্ম করে নজর কেড়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এই টেস্ট সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে ১০ জুলাই লর্ডসে। যেখানে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় বলবেন অ্যান্ডারসন। এরপর আগামী ১৮ জুলাই নটিংহাম ও ২৬ জুলাই বারমিংহামে শেষ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড স্কোয়াড (২ ম্যাচ):

বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমস অ্যান্ডারসন, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, হ্যারি ব্রুক, জ্যাক ক্রাওলি, বেন ডাকেট, ড্যান লরেন্স, ডিলন পেনিংটন, অলি পোপ, ম্যাথু পটস, জো রুট, জেমি স্মিথ, ক্রিস ওকস।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বিশ্বকাপ একাদশে ৬ ভারতীয় ক্রিকেটার

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের পর্দা নামল ভারতের হাতে শিরোপা ওঠার মাধ্যমেই। অধরা বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ারকে যেন পূর্ণতা দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেকেই। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে নিজেদের সেরা একাদশ ঘোষণা করল ক্রিকেট সংবাদ এবং পরিসংখ্যান ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।

এই একাদশ মূলত ক্রিকইনফোর স্মার্ট পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা ম্যাচের প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে ব্যাটিং এবং বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ইম্প্যাক্ট পয়েন্টও দিয়েছে।

ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং , তিন ক্ষেত্র বিবেচনায়ই মিশ্র দল সাজিয়েছে ক্রিকইনফো। যেখানে সর্বোচ্চ ছয়জন ক্রিকেটার বাছাই করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন ভারত দল থেকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বসেরা এই একাদশ।

রোহিত শর্মা (রান-২৫৭, স্ট্রাইক রেট-১৫৬.৭০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৫.৮১)

কঠিন পরিস্থিতিতেও রোহিত তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রতি অটল। এই বিশেষ গুণটিই তাকে এবং ভারত দলকে শেষ পর্যন্ত সফলতা এনে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার ৯২ রান ছিল টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং যেকোনো ইনিংসে ব্যাটিং রেটিং পয়েন্টের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেরফান রাদারফোর্ডের অপরাজিত ৬৮ রান আছে প্রথম স্থানে।

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (রান-২৮১, স্ট্রাইক রেট-১২৪.৩৩, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫১.০১)

গুরবাজ এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী পার্টনারশিপ গড়েছেন। এই জুটি একসাথে মোট ৪৪৬ রান করেছে, যার মধ্যে তিনটি শতকও আছে। যেখানে অন্য কোনো জুটি ৩১২ রানের বেশি করতে পারেনি। আফগানিস্তানের দুটি বড় জয়ের ম্যাচে গুরুবাজ নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮০ এবং ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন।

নিকোলাস পুরান (রান-২২৮, স্ট্রাইক রেট-১৪৬.১৫, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩৩.৮৯)

পুরান ব্যাট হাতে এবারের বিশ্বকাপে সাত ইনিংসের মধ্যে পাঁচটিতে ২০ এর অধিক রান করেছিলেন এবং নিঃসন্দেহে তার সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স ছিল ৫৩ বলে ৯৮, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৮ রান তুলতে সাহায্য করেছিল। যদিও তার একটি ব্যর্থতা ছিল দলের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ রানে আউট হয়েছিলেন।

সূর্যকুমার যাদব (রান-১৯৯, স্ট্রাইক রেট-১৩৫.৩৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-২৯.২৮)

টুর্নামেন্টের শুরুটা ধীরগতির হলেও সূর্যকুমার তার শেষ ছয় ইনিংসের চারটিতেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ২৮ বলে ৫৩ রান ভারতকে ৪ উইকেটে ৯০ রান থেকে ১৮১ রানে নিয়ে যায়। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি রোহিতের সাথে জুটি বেঁধে ভারতের ইনিংসকে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেন। ফাইনাল ম্যাচে শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত এক ক্যাচে মিলারকে আউট করে তো দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনিই একমাত্র নন-ওপেনার যিনি টুর্নামেন্টে চারটি ৩০ রানের বেশি ইনিংস খেলছেন।

হেনরিখ ক্লাসেন (রান-১৯০, স্ট্রাইক রেট-১২৬.৬৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৩১.৪৭)

ক্লাসেনের স্ট্রাইক রেট তার মান অনুযায়ী বেশ কমই দেখাচ্ছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ হল দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনে একাধিক ম্যাচ খেলেছে। তারপরও দলের হয়ে ক্লাসেনের পারফরম্যান্স বাকিদের তুলনায় ভালো ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ৪৪ বলে ৪৬ রান তাদের দলীয় ১১৩ রান করতে সাহায্য করে এবং তাকে ৭৯.৯ ব্যাটিং ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট এনে দেয়। এছাড়া ফাইনালে ভারতীয় স্পিনারদের ওপর তার মারকুটে ব্যাটিং তো দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জয়ের জন্য খুব কাছে নিয়ে যায়।

মার্কাস স্টয়নিস (রান-১৬৯, স্ট্রাইক রেট-১৬৪.০৭, উইকেট-১০, ইকোনমি-৮.৮৮, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৬২.১৭)

ওমানের বিপক্ষে কঠিন ব্যাটিং কন্ডিশনেও তিনি ৩৬ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, তারপর ১৯টি বল করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। স্কটল্যান্ডের ১৮০ রান তাড়া করার সময় তার ২৮ বলে ৫৯ রান বড় ভূমিকা পালন করেছে।

হার্দিক পান্ডিয়া (রান-১৪৪, স্ট্রাইক রেট-১৫১.৫৭, উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬৪, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৫৫.৫৮)

কঠিন আইপিএল আসর শেষ করার পর হার্দিকের জন্য এবারের বিশ্বকাপ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ছিল। ব্যাট ও বল হাতে তিনি ঠান্ডা মাঠায় কিছু ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ৫০*, ২৭* এবং ২৩ রানের ইনিংসগুলো ভূমিকা রেখেছে। ডেথ-ওভারে তার পাওয়ার-হিটিং দুর্দান্ত ছিল। ফাইনালে তার বোলিং দিয়ে তিনি ক্লাসেন এবং মিলারকে আউট করেন।

অক্ষর প্যাটেল (রান-৯২, স্ট্রাইক রেট-১৩৯.৩৯, উইকেট-৯, ইকোনমি-৭.৮৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৮.২৬)

ভারতের স্কোয়াডে অক্ষর প্যাটেলের থাকাটা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর ছিল। কিন্তু তিনি ঠান্ডা মাথায় নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ফাইনালে তার ৩১ বলে ৪৭ রান ভারতের দ্রুত তিনটি উইকেট হারানোর পর খুব জরুরি ছিল। বল হাতেও ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেছেন।

আর্শদীপ সিং (উইকেট-১৭, ইকোনমি-৭.১৬, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৪.৪৮)

নতুন বলে সুইং করাতে এবং পাওয়ারপ্লেতে ছয় উইকেট নিয়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন। ফজলহক ফারুকির সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। জসপ্রিত বুমরাহ স্পষ্টতই দলের সেরা তারকা পেসার হলেও বাঁহাতি এই তরুণ আর্শদীপ যে দলের হয়ে আগামী দিনে দারুণ কিছু করে দেখাবেন তা নিশ্চিত।

জসপ্রীত বুমরাহ (উইকেট-১৫, ইকোনমি-৪.১৭, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৯.৮)

যখনই ভারত সমস্যায় পড়েছে, তখনই অধিনায়ক রোহিতের হাতে সেরা বোলার হিসেবে ছিলেন বুমরাহ। তিনি নতুন বলে অপ্রতিরোধ্য ডেলিভারি করেছেন, মাঝের ওভারে পার্টনারশিপ ভেঙেছেন এবং ডেথ ওভারে নির্ভুল ইয়র্কার ও স্লোয়ার কাটার বোলিং করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৪.০৭, মাঝের ওভারে ৪.৭৫ এবং শেষ দিকের ওভারে ৩.৭৮ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি যা এই ফরম্যাটে দুর্দান্ত। যেকোনো বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো বোলিং পারফরম্যান্স কারও নেই।

তাবরিজ শামসি (উইকেট-১১, ইকোনমি-৭.৬০, ইম্প্যাক্ট রেটিং-৪৩.৭৩)

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচ না খেলতে পারার পর শামসি তার প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই নেপালের বিপক্ষে এক রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। বল হাতে ১৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে  নেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। ফাইনালে বাঁহাতি স্পিনারদের লড়াইয়ে কুলদীপ যাদবকে তিনি ছাড়িয়ে এই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;