ম্যাচ জয়ে রিয়াদ-শান্তর জুটিকেই এগিয়ে রাখলেন মুশফিক
চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বোলিংয়ের শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন থাকলেও পরবর্তীতে তিন পেসার তানজিম-তাসকিন-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৫৫ রানেই আটকে যায় সফরকারীরা। পরে চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্রেফ ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখানে পরের দুই উইকেটের জুটিতেই কঠিন অবস্থান থেকেও ৬ উইকেটের সহজ জয় তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দুর্দান্ত এই জয়ের পথে প্রথম সময় উপযোগী জুটি ছিল চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর, ৬২ বলে ৬৯ রানের। পরের উইকেটে মুশফিক-শান্তর জুটি ছিল আরও বেশি কার্যকরী, ১৭৫ বলে ১৬৫ রানে, তাও আবার অপরাজিত। এতে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-শান্তর অসাধারণ জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছালেও জয়ের মূল কৃতিত্ব অন্য দিকে দিলেন গতকালের ম্যাচে ৮৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিক। তার মতে, জয়ের পথে আসল জুটিটা ছিল মাহমুদউল্লাহ-শান্তর।
এ প্রসঙ্গে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। আমাদের পার্টনারশিপ অবশ্যই ভালো হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আসল জুটিটা ছিল রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আর শান্ত। ওই সময়টায় বল একটু নতুন ছিল। ডিউ ইফেক্ট (শিশিরের প্রভাব) অত বেশি ছিল না। তারা ব্যাটে সুইং পাচ্ছিল না। আর …আপনি ২৫৬ যখন ডিফেন্ড করবেন সেখানে বোলিং টিম চাইবে দ্রুতই ২ থেকে ৩টা উইকেট নেওয়ার এবং সেটা তারা (শ্রীলঙ্কা) পেয়েছে। সেখানে ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছে রিয়াদ ভাই ও শান্ত।’
৩৭ বলে ৩৭ রানের মধ্যম মানের এক ইনিংস খেললেও মাহমুদউল্লাহর এই ইনিংসকে প্রশংসায় ভাসালেন মুশফিক। তার মতে, সেখানে রানের চেয়ে মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞ পদক্ষেপটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ‘এটাকে অভিজ্ঞতা বলে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের সেরা বোলার যদি চাপে পড়ে, তখন ওরা ভিন্ন চিন্তা করে। তখনই কিন্তু জুটিটা বেশি গড়ে ওঠে। অভিজ্ঞতা আসলেই বড় ব্যাপার।’