বাংলাদেশের অপেক্ষা বাড়িয়ে সিরিজ সমতায় শ্রীলঙ্কা

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের। অন্তত আরও দুইটা দিন! নিজেদের আঙিনায় সবশেষ দুই ওয়ানডে সিরিজে হারের মুখ দেখা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজটাকে পাখির চোখ করেছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। প্রথম ম্যাচ হারের পর দাঁতে দাঁত কামড়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে তারা। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের কাছে ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে লিটন দাস টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের পথ ধরলে শঙ্কা নিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তবে সৌম্য সরকারের দায়িত্বশীল ৬৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৪০ রানের ইনিংস দুটিতে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পায় স্বাগতিকরা।

বিজ্ঞাপন

তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে পূর্ণতা পায় সে লক্ষ্য। তার অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে ৫০ ওভারে ২৮৬-তে গিয়ে ঠেকে বাংলাদেশের স্কোর। ৪ উইকেট পান লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

জবাব দিতে নেমে শুরু ঠেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন-শরিফুলদের বোলিং তোপে পাওয়ার প্লে’তে তিন উইকেট খুইয়ে ৬০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে সমর্থ হয় তারা।

বিজ্ঞাপন

তবে সন্ধ্যার পর চট্টগ্রামে শিশিরের সুবিধা নিয়ে চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়ে তোলেন ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা এবং পাঁচে নামা চরিত আসালাঙ্কা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকে এই জুটি। বাংলাদেশের বোলাররা তাদের সামনে অসহায় বোধ করছিলেন যেন। মাঝে যে দুয়েকটি হাফ-চান্স তৈরি হচ্ছিল, সেগুলো হাতে জমাতে ব্যর্থ হন ফিল্ডাররা। শিশির আর ফিল্ডারদের তটস্থ না হওয়ার সুযোগ ঠিক ১০০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন নিসাঙ্কা।

সেঞ্চুরির পর আরও চড়াও হতে গিয়ে মেহেদীর বলে সীমানা অঞ্চলে লিটনের বলে তালুবন্দি হন নিসাঙ্কা। ১১৪ রানে থামতে হয় তাকে। তাতে চতুর্থ উইকেটে আসালাঙ্কার সঙ্গে তার ১৮৫ রানের জুটিরও ইতি ঘটে। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে এটাই এখন শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ জুটি।

জুটি ভাঙার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি আসালাঙ্কাও (৯১)। নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে ওয়ানডেতে তাসকিনের আহমেদের শততম শিকার হয়ে ফিরেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

সাত রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়তে পারত শ্রীলঙ্কা। তবে হাসারাঙ্গা তা হতে দেননি। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে না পারলেও তার ২৫ রানের ক্যামিওতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় লঙ্কানদের।

আগামী ১৮ মার্চ একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডে সিরিজের নিষ্পত্তিও হবে সিরিজের শেষ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডে সিরিজের শেষটাও লঙ্কানরা রাঙাক, শান্তরা নিশ্চয়ই তা চাইবেন না।