আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী পারফর্ম করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। সেই ব্যাটিং ছন্দ দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরে রাখল বাংলার দল। আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ের পর এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে কোহলি-ডু প্লেসিদের পাত্তাই দিল না শ্রেয়াস আইয়ারের দল। বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৮৩ রানের টার্গেট স্রেফ ১৬ ওভার ৫ বলেই তুলে ফেলে তারা। জয়টা আসে ৭ উইকেটে। টানা দুই ম্যাচেই দুটি জয় পেল কলকাতা।
আগের ম্যাচে রাসেলের হাত ধরে শুরু হয়েছিল ব্যাটিং ঝড়। এবারও কৃতিত্ব আরেক ক্যারিবীয় তারকা, সুনীল নারাইনের। এদিন টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে বেঙ্গালুরু।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার নারাইন ও সল্ট। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আসে ৮৫ রান। পরে নারাইন ২২ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেন ভাঙে ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই ফেরেন সল্ট। দুই ওপেনার কাজটা অর্ধেক সহজ করে দেওয়ার পর দুই আইয়ারের ৭৬ রানের জুটিতেই গড়ে যায় জয়ের ভিত। দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৫০ রআন করেন ভেঙ্কেটেশ। বাকি পথ রিংকু সিংকে নিয়ে অনায়াসেই পাড়ি দেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। ১৬ ওভার ৫ বলেই জয় তোলে কলকাতা। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়াস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে শেষ বলে ধাক্কা খায় বেঙ্গালুরু। হারশিত রানার বলে দ্রুতই ফেরেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। অবশ্য সেই চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন কোহলি ও ক্যামেরন গ্রিন। ৩৩ রান গ্রিন ও ২৮ রান ম্যাক্সওয়েল ফেরার পর দলকে একাই টেনে নিয়ে যান কোহলি। এদিও বেশ ছন্দে ছিল এই তারকার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত ছিলেন টিকে। করেছেন ৫৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রান। এতেই ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছায় দলটি।
ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালানোর আগে বল হাতেও ১টি উইকেট নেন নারাইন। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ ১৮২/৬ (২০ ওভার) (কোহলি ৮৩*, গ্রিন ৩৩; রাসেল ২/২৯, রানা ২/৩৯)
কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ ১৮৬/৩ (১৬.৫ ওভার) (ভেঙ্কেটেশ ৫০, নারাইন ৪৭; বিজয়কুমার ১/২৩)