ম্যাচ জিতল দিল্লি, প্লে-অফে পৌঁছাল রাজস্থান 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ জিতেও যেন কোনো লাভ হলো না দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্লে-অফের সম্ভাবনা টিকে থাকলো অসম্ভব সমীকরণের হাতে। যাকে অনেকটা বিদায়ই বলা যায়। বাকি স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। গত রাতের গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৯ রানে হারায় দিল্লি। এতে ১৪ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। তবে নেট রান রেটের বিচারে তিন ও চারে থাকা হায়দরাবাদ-চেন্নাইয়ের পাঁচে নামার সম্ভাবনা একবারে নেই বললেই চলে। এতেই দিল্লির বিদায় প্রায় নিশ্চিতই। এদিকে হারের পর বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে লক্ষ্ণৌয়েরও। তবে এই ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে আসরে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করলো রাজস্থান রয়্যালস। 

বিজ্ঞাপন

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই তালিকার এদিকে দুইয়ে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট ১৬। বাকি আছে দুই ম্যাচ। গত রাতের ম্যাচের শেষে রাজস্থানের ১৬ পয়েন্ট ছুঁতে পারবে স্রেফ হায়দরাবাদ ও চেন্নাই। এতেই শেষ চারে জায়গা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে সঞ্জু স্যামসানের দলটির। 

গতকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকালের টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন  লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সেখানে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। 

লক্ষ্য তাড়ায় ৪৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমীকরণ আরও জটিল বানিয়ে বসে লক্ষ্ণৌ। এদিকে দিল্লির সামনে তখনো সুযোগ ছিল লক্ষ্ণৌকে ৯৬ রানের হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখার। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি নিকোলাস পুরান ও আরশাদ খানের নৈপুণ্যে। পুরানের দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ এবং আরশাদের অপরাজিত ৫৮ রানে চড়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। 

এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ইনিংসও শুরু হয়েছিল ধাক্কা দিয়ে। প্রথম ওভারেই শূন্য রান করে ফেরেন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। তবে টপ-মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের দলীয় নৈপুণ্যে সেই চাপ অনায়াসেই সামনে নেয় স্বাগতিকরা। তাদের ৪ উইকেটে দুইশ পেরোনো সংগ্রহে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন অভিষেক পোরেল। এছাড়া অপরাজিত ৫৭ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন ট্রিস্টান স্টাবস এবং এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সাজা কাটিয়ে ফিরে দিল্লির অধিনায়ক পান্ত করেন ৩৩ রান।