মুরশিদা-সোবহানার সেঞ্চুরি, নারী ডিপিএলে রেকর্ড সংগ্রহ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলের জার্সিতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুরশিদা খাতুন-সোবহানা মোস্তারির। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সেই সুযোগটাকে অবশ্য দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন দু’জনে। চলমান নারী ডিপিএলে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের জার্সিতে দু’জনেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। আর তাতে নারী ডিপিএলের ইতিহাসে ৩ উইকেটে রেকর্ড ৩৯২ রানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে মোহামেডান। যেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রান তুলতে পেরেছে গুলশান। ম্যাচ হেরেছে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে।

ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই শত রান পেরিয়ে যায় মোহামেডান। এরপর দলীয় ১৩৫ রানে মোহামেডানকে ঝড়ো শুরু এনে দিয়ে ৪১ বলে ৭৫ রান করা জেসিয়া আক্তার ফিরলেও সোবহানাকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান মুরশিদা। দু’জনেই পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এই জুটিতে আসে ২৫৭ রান।

সোবহানা শেষ দিকে ১০১ বলে ১২৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ম্যাচ শেষ করে আসেন মুরশিদা। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৫৭ বলে ১৭৯ রানে। মুরশিদার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি ছক্কা ও ২৩টি চারে। অন্যদিকে সোবহানার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ৬টি চারে। তাদের দু’জনের সেঞ্চুরিতেই এদিন নারী ডিপিএলে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে মোহামেডান।

মোহামেডানের করা ৩ উইকেটে ৩৯২ রানের রেকর্ড গড়ার আগে নারী ডিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ছিল বিকেএসপির দখলে। কেরানীগঞ্জ ক্রিকেটে একাডেমির বিপক্ষে বিকেএসপির ৩২১ রান করে ছিল দলটি।

বোলিংয়ের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল গুলশানের। দেখার ছিল সেই ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত কততে নামিয়ে আনতে পারে গুলশান। এমন দিনে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত গুলজানের ইনিংস থেমেছে ৪৯.৪ ওভারে ১৪১ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে আশার ব্যাট থেকে। মোহামেডান অধিনায়ক সালমা খাতুনের শিকার ২ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন রুমানা আহমেদ।

   

টানা দ্বিতীয় হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পথে বাংলাদেশ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিতলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিতে ওঠার পথে ভালোভাবেই টিকে থাকত বাংলাদেশ। তবে হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়েই সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই সমীকরণ আরও কঠিন করে তুলল ভারতীয় ব্যাটাররা। মিডল অর্ডারে পান্ত, দুবে, হার্দিকদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় রোহিত শর্মার দল। সেই রান তাড়ায় শান্তদের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। এতে ৫০ রানের এই হারে চলতি আসরে বিদায়ের অনেকটাই কাছাকাছি চলে গেল বাংলাদেশ। 

গ্রুপপর্বে দাপুটে ক্রিকেট খেলেই সুপার এইটে পৌঁছায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচটা তারা বৃষ্টি আইনে হেরে যায় ২৮ রান। এবার ভারতের বিপক্ষে হলো যেন শান্তদের অসহায় আত্মসমর্পণ। এতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের একদম দুয়ারে বাংলাদেশ। সেমির স্বপ্ন আপাতত টিকে থাকল খাতা-কলমের জটিল সমীকরণের হাতে। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে একই গ্রুপ থেকে মাঠে নামবে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে অজিরা জিতলে বাংলাদেশের বিদায় হয়ে যাবে পুরোপুরি নিশ্চিত এবং সেমিতে উঠে যাবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। 

অ্যান্টিগায় বৃষ্টি সম্ভাবনা উড়িয়ে কোনো বাঁধা ছাড়াই সম্পন্ন হলো ম্যাচ। টসে জিতে এদিন আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় রোহিত শর্মার দল।  

বিশাল সেই লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসে চড়ে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম ওভারে লিটন ফেরার পর কমতে শুরু করে রানের গতি। আগের বলে ছক্কা মারার পর দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন লিটন। এটি ছিল চলতি আসরে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এমনকি ছয় ম্যাচে এই প্রথম দুই অঙ্কের ঘরে গেল ওপেনিং জুটি। 

এদিকে শুরুর সেই চাপ সামলে অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে থিতু হওয়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন তামিম। আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর অবশেষে রান ফিরলেন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ইনিংস মাঝে দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ফেরেন কুলদীপ যাদবের বলে, লেগ বিফোরের ফাঁদে। ৩১ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। কুলদীপের পরের ওভারে ঠিক একইভাবে লেগ বিফোরে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। এছাড়া সাকিবও ফেরেন দ্রুতই। স্কোরবোর্ডে তখন ১৩ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেটে ৯৮ রান। 

সেখান থেকে অধিনায়ক শান্তর ৩২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪২ এবং শেষে রিশাদের ১০ বলে ২৪ রানের ক্যামিও কেবলই কমিয়েছে হারের ব্যবধানে। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রানের। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন কুলদীপ। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তবে চতুর্থ ওভারেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় লোয়ার লেন্থের এক ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গেলে কভার অঞ্চলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। আর এতেই রেকর্ড বনে যান সাকিব। এদিকে রিশাভ পান্তকে নিয়ে আসরে রানে ফেরার দিনে দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিলেন কোহলি। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে তানজিমের এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটার। এর আগে করেন ২৮ বলে ৩৭ রান। পরে পিচে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার। তবে জবাব দিতে একদমই সময় নেননি তানজিম। পরের বলেই স্কাইকে দেখান সাজঘরের রাস্তা। 

তবে পিচে থিতু হয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন রিশাভ পান্ত। উঠছিলেন ভয়ঙ্কর হয়েই। সেখানে দলকে স্বস্তি এনে দিলেন রিশাদ। দলীয় ১০৮ রানের মাথায় তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ত। পুরো ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৩৬ রান করেন এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পান্ত ফিরলে কমে যায় রান তোলার গতিও। তবে মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা দেখান দৃঢ়তা। শেষ পর্যন্ত দুবের ৩৪ এবং পান্ডিয়ার ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে চড়ে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিফটি তোলায় ম্যাচসেরার খেতাব যায় হার্দিকের হাতেই। সেই ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তানজিম ও রিশাদ। 

সুপার এইটে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আগামী ২৫ জুন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আগামীকাল সকালের ম্যাচটি যদি আফগানিস্তান না জেতে তবে তাদের বিপক্ষে শান্তদের ২৫ তারিখের ম্যাচটা হয়ে যাবে কেবলই নিয়মরক্ষার। 



;

শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৩০ রান 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ১৯৭ রানের। রান খরার এই বিশ্বকাপে এমন লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ঝোড়ো গতিতে রান তোলার নেই বিকল্প। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসে চড়ে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম ওভারে লিটন ফেরার পর কমতে শুরু করে রানের গতি। পিচে সময় নিয়ে সেই রানের গতি বাড়াতে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে এগোতে থাকেন তামিম ও শান্ত। তবে দশম ওভারে সাজঘরের রাস্তা মাপেন তামিমও। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৭ রান। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ১৩০ রান। 

ভারতীয় পেসারদের শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ও লিটন। তবে ওভার তিনেক পরই হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজনেই। সেখানেই প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আগের বলে ছক্কা মারার পর দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন লিটন। এটি চলতি আসরে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ। 

শুরুর সেই চাপ সামলে অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে থিতু হওয়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন তামিম। তবে ইনিংস মাঝে দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ফেরেন কুলদীপ যাদবের বলে, লেগ বিফোরের ফাঁদে। ৩১ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। 

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে ভারত। 

;

শান্তদের সামনে ভারতের ১৯৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ওপেনার রোহিত-কোহলির ছন্দে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল ভারত। তবে দুই সাকিব, সাকিব আল হাসান ও তানজিম হাসান সাকিবের নৈপুণ্যে ইনিংস মাঝে ভারতকে চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডারে রিশাভ পান্ত, শিবাম দুবে ও দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে সেই চাপ সামলে বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ১৯৬ রান। 

সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে তাই শান্তদের চাই ১৯৭ রান। অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ব্যাটিং সহায়ক পিচে এদিন টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে শুরুর ১০ ওভার ছিল বাংলাদেশের দখলে। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে রোহিতদের সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান। পরের ১০ ওভারে নিজেদের দখলে নিয়ে আরও ১১৩ রান যোগ করে ভারত।  

শুরু থেকেই বেশ ঝোড়ো গতিতে রান তুলছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুই স্পিনার মেহেদি হাসান ও সাকিবদের দেখেশুনেই এগোতে থাকেন ভারতীয় ওপেনাররা। তবে চতুর্থ ওভারেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় লোয়ার লেন্থের এক ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গেলে কভার অঞ্চলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। আর এতেই রেকর্ড বনে যান সাকিব। 

এদিকে রিশাভ পান্তকে নিয়ে আসরে রানে ফেরার দিনে দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিলেন কোহলি। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে তানজিমের এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটার। এর আগে করেন ২৮ বলে ৩৭ রান। পরে পিচে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার। তবে জবাব দিতে একদমই সময় নেননি তানজিম। পরের বলেই স্কাইকে দেখান সাজঘরের রাস্তা। 

তবে পিচে থিতু হয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন রিশাভ পান্ত। উঠছিলেন ভয়ঙ্কর হয়েই। সেখানে দলকে স্বস্তি এনে দিলেন রিশাদ। দলীয় ১০৮ রানের মাথায় তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ত। পুরো ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৩৬ রান করেন এই বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। 

পান্তের ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের রান তোলার গতিও যায় কমে। তবে সময় নিয়ে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে এগোতে থাকেন শিবাম দুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত দুবের ৩৪ এবং পান্ডিয়ার ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে চড়ে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তানজিম ও রিশাদ। 

;

সাকিবদের নৈপুণ্যে চাপে ভারত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বড়’ সাকিব তথা, সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে খুলল ইনিংসের উইকেটের খাতা। এবার ‘ছোট’ সাকিব, অর্থাৎ তানজিম হাসান সাকিব সেটিকে বাড়ালেন। রোহিতের উইকেট তুলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। পরে ইনিংসের নবম ওভারে তিন বলের মধ্যে কোহলি ও সূর্যকুমারকে ফেরান তানজিম সাকিব। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮৩ রান তুলেছে ভারত। ২২ গজে এখন ব্যাট করছেন রিশাভ পান্ত ও অক্ষর প্যাটেল। 

অ্যান্টিগায় টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাসকিনের বদলে এদিন একাদশে ফিরেছেন জাকের। ব্যাটিং এবং স্পিন আক্রমণ বাড়াতেই দলের এমন সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তে অনেকটাই সফল শান্ত-সাকিবরা। 

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ঝোড়ো গতিতেই রান তুলছিলেন দুই ওপেনার রোহিত ও কোহলি। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩৯ রানের মাথায় সাকিবের লোয়ার লেন্থের এক ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গেলে কভার অঞ্চলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। আর এতেই রেকর্ড বনে যান সাকিব। 

এদিকে রিশাভ পান্তকে নিয়ে আসরে রানে ফেরার দিনে দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিলেন কোহলি। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে তানজিমের এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটার। এর আগে করেন ২৮ বলে ৩৭ রান। পরে পিচে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার। তবে জবাব দিতে একদমই সময় নেননি তানজিম। পরের বলেই স্কাইকে দেখান সাজঘরের রাস্তা। 

;