বিসিবির যে উদ্যোগে এমন সফল পেসাররা

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

শেষ কয়েক বছরে পেস আক্রমণে বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফরে দ্বিতীয় টেস্টটা বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন পেসাররাই। এমন সাফল্য বাংলাদেশকে টেস্টেও বেশ ফল দিচ্ছে। বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ স্থানে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

শেষ কয়েক বছর ধরে এমন সাফল্যের রহস্য কী? সে প্রশ্নের উত্তর নানা জন নানা ভাবে দিয়েছেন। তবে হাথুরু জানালেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে দূর অতীতে। 

বিজ্ঞাপন

তবে তার আগে বর্তমানের প্রশংসা করতে ভুললেন না হাথুরু। বিশেষ করে নাহিদ রানার ভূয়সী প্রশংসা করলেন কোচ। বললেন, ‘ফিয়ার ফ্যাক্টরটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি মনে করি বল যখন ১৫০ কিমি গতিতে আসে, এটার প্রতিক্রিয়া দেখাতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কিছু সময় লাগে। এটা আপনার প্রতিক্রিয়া আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে। আপনার দলে যদি কেউ ওই গতিতে বল করতে পারে, বিষয়টা আপনাকে অবশ্যই বাড়তি সুবিধা দেয়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘নাহিদের বিশেষত্বটা হচ্ছে, সে ১৪৫ কিমি গতিতে টানা বল করে যেতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটটা সে কম খেলেছে, তাই আমাদের তাকে দেখে শুনে রাখতে হবে। পিচ, পরিস্থিতি, কন্ডিশন ব্যতিরেকে আপনাকে একটা সুবিধা দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন টেল এন্ডাররা আসছে তখন প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে, তাদের দ্রুত অলআউট করতে সাহায্য করছে।’ 

বিজ্ঞাপন

এরপরই হাথুরু জানালেন নিজের অভিমতটা। তার চোখে শেষ কয়েক বছরে বিসিবি বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল, যা এখন ফল দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, ‘এটা রাতারাতি হয়ে যায় না। এর আগের কোচেরা আমার আগে অনেক কাজ করেছেন, এমনকি বোর্ডও বেশ কিছু প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফাস্ট বোলারদের জন্য। আমি জানি ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু নিয়ম ছিল যেমন, পিচে ঘাস থাকতে হবে, বল বদলে ফেলা হয়েছিল। আমার মনে হয় এই ধরনের বিষয়গুলো ফাস্ট বোলারদের তাদের খেলাটা উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে, সাফল্য পাইয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশেও অনেক ফাস্ট বোলার আছে, আসলে আমাদের সেরা বোলারকেই তো আমরা ইনজুরির কারণে আনতে পারিনি। সবাই যখন ফিরে আসবে, তখন দেখবেন আমাদের ফাস্ট বোলিংয়ের গভীরতা কতোটুকু।’