কলম্বাস ক্রুর মাঠে একটা জয় তুলে নিতে পারলেই দেবে সাপোর্টার্স শিল্ড জেতার নিশ্চয়তা, ইন্টার মায়ামির সামনে সমীকরণটা এমনই ছিল। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-২ গোলে জিতে সে সমীকরণ মিলিয়েছে দলটা। আর তাতেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ‘সাপোর্টার্স শিল্ড ট্রফি’ নিজেদের ট্রফি কেসে তুলল দলটা।
আজ সকালের এই ম্যাচটা মোটেও অনায়াসে জেতেনি মায়ামি, তা স্কোরলাইন দেখেই বলে দেওয়া যাচ্ছে। তবে ম্যাচটা তার চেয়ে বেশি ঘটনাবহুল ছিল। দুই দলই একটা একটা করে গোল বাতিল হতে দেখেছে অফসাইডের কাটায়, সেটাও আবার ম্যাচের শুরুর আধঘণ্টায়। ম্যাচটা যে ঘটনাবহুলই হতে যাচ্ছে, তাই বোধ হয় জানান দিচ্ছিল শুরুর দিকে।
বিরতির একটু আগে ডেডলক ভাঙেন মেসি। তার গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। এরপর যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক থেকে তার আরও এক গোলে মনে হচ্ছিল জয়টা বুঝি অনায়াসেই পেতে যাচ্ছে সফরকারীরা।
তবে ভুলটা ভাঙে বিরতির পর প্রথম মিনিটেই। দিয়েগো রসির গোলে স্বাগতিকরা ম্যাচে ফেরে। একটু পর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে লুইস সুয়ারেজ ফাঁকা জালে দারুণ এক হেডারে গোল করেন। মায়ামি ম্যাচে এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে।
৬১ মিনিটে পেনাল্টি পায় স্বাগতিক কলম্বাস। স্পট কিক থেকে কুচো এর্নান্দেজ ব্যবধান কমান। দুই মিনিট পর রুদি কামাচো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলেই পরিণত হয় মেসিদের প্রতিপক্ষ দলটা।
এক জন কম নিয়েও ম্যাচে সমতা ফিরিয়েই আনছিল স্বাগতিকরা। ৭৪ মিনিটে নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করে কলম্বাসকে পেনাল্টি উপহার দেন মায়ামি ডিফেন্ডার। ভিএআর দেখে এই সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
আগের স্পটকিক থেকে কুচো এর্নান্দেজ আগের বার সফল হলেও দ্বিতীয় বারে তাকে রুখে দেন মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। এরপর আরও বারদুয়েক শট সেভ দিতে হয়েছে তাকে। আর তাতেই ৩-২ গোলের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নেয় মায়ামি।
মেজর লিগ সকারের লিগ পর্যায়ে দুই কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দলটাকে দেওয়া হয় সাপোর্টার্স শিল্ড, মোটাদাগে যাকে ইউরোপীয় লিগগুলোর লিগ শিরোপার সঙ্গে তুলনা করা যায়। সে শিরোপাটাই এবার জিতল মায়ামি। তবে এমএলএসের মূল লড়াইটা শুরু হবে এরপর। প্লে অফের পর এমএলএস কাপের নকআউট প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত হবে মেজর লিগ সকারের বিজয়ী। সাপোর্টার্স শিল্ড জেতায় মেসির মায়ামি প্লে অফে খেলবে নিজেদের মাঠেই।
তবে লিগ থেকে এখনও আরও একটা অর্জন বাকি আছে দলটার। বর্তমানে তাদের পয়েন্ট ৬৮। মেজর লিগ সকারে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট জেতার রেকর্ড নিউ ইংল্যান্ডের, ২০২১ সালে তারা লিগ শেষ করেছিল ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে। সেটাকে পেছনে ফেলতে শেষ দুই ম্যাচে জয় চাই কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনোর দলের। লিওনেল মেসিকে ছাড়াই এই দুই ম্যাচে খেলতে হবে দলটাকে। মায়ামি এই রেকর্ডটা ভাঙতে পারবে তো?