৩৬ ম্যাচ পর হারল রিয়াল মাদ্রিদ
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৬ ম্যাচ ধরে হারের কবলে পড়েনি রিয়াল মাদ্রিদ। সেই দলটা যখন ফ্রান্সে পা রেখেছিল, তখন সংখ্যাটা ৩৭ এ উন্নীত করাটাই বোধ হয় লক্ষ্য ছিল তাদের। তবে সেটা ফরাসি দল লিল করতে দেয়নি তাদের। ১-০ গোলে হারিয়েই দিয়েছে তাদের।
প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিং লিসবনের কাছে হেরেছিল লিল। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছিল ভিএফবি স্টুটগার্টের বিপক্ষে। সেই দুই দলের নিয়তি ১৮০ ডিগ্রি উলটে গেল দ্বিতীয় ম্যাচডেতেই।
লিলের মাঠে ম্যাচের একমাত্র গোলটা আসে ম্যাচের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। বিরতির বাঁশি বাজার একটু আগে পেনাল্টি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে গোলটা করেন জনাথন ডেভিড।
চোট থেকে ফেরা কিলিয়ান এমবাপেকে বেঞ্চে রেখে ম্যাচ শুরু করলেও রিয়ালই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করছিল। ভিনিসিয়াস আর এনদ্রিকের একটি করে শট ঠেকাতে হয়েছিল স্বাগতিক রক্ষণকে।
তবে স্বাগতিকরা ২৬ মিনিটের পর থেকে একটু একটু করে ম্যাচে ফিরতে থাকে। রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রেই লুনিনকে জোড়া সেভ দিতে হয় জনাথন ডেভিডের দুই চেষ্টা ঠেকাতে।
লিল চাপ বাড়াচ্ছিল ক্রমেই। যোগ করা সময়ে সেটা কাজে দিল দলটার। এদোন জেগরভার ফ্রি কিকে হাত লাগিয়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা পেনাল্টি উপহার দেন স্বাগতিকদের। এরপর ডেভিডের গোলে এগিয়ে যায় লিল।
দ্বিতীয়ার্ধেও লিল চাপে রেখেছে রিয়ালকে। যদিও সফরকারীদের পায়েই বেশিরভাগ সময় ছিল বল। এমবাপের অনুপস্থিতিতে তারা জুড বেলিংহ্যামকে কেন্দ্র করে সাজিয়েছিল তাদের পরিকল্পনা। সেই বেলিংহ্যামকে বোতলবন্দি করে রিয়ালকে গোলের সুযোগ গড়া থেকে বঞ্চিত রেখেছিল লিল।
শেষ দিকে লুকা মদ্রিচ আর কিলিয়ান এমবাপেকে মাঠে এনে গোল বের করতে চেয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তবে লিল তাদেরও আটকেছে ভালোভাবেই।
ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪ ম্যাচ পর হারের কবলে পড়ে রিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা শেষ হয় তাদের।