উড়তে থাকা বায়ার্নকে মাটিতে নামাল অ্যাস্টন ভিলা

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দল সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। সেবার শেষ হাসিটা হেসেছিল অ্যাস্টন ভিলা। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৪২ বছর পরের দেখায় আবারও জিতল সেই ভিলাই। 

এবার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের কীর্তিতে এ অসাধ্য সাধন করল ইংলিশ দলটা। ছোট বড় মিলিয়ে সাতটা শট সেভ দিতে হয়েছে মার্তিনেজকে। আর তাতেই ম্যাচটা স্বাগতিকরা শেষ করেছে ১-০ গোলের জয় দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

নিজেদের মাঠ ভিলা পার্কে শুরুর দিকে হ্যারি কেইনের দারুণ একটা হেডার সেভ দিয়ে শুরু মার্তিনেজের ম্যাচটার। কেইনের সে চেষ্টাটা যদিও অফসাইড ছিল, কিন্তু স্বাগতিকদের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের অভিপ্রায় পরিষ্কার ছিল।

অ্যাস্টন ভিলা এরপর একবার বল জড়ায় বায়ার্নের জালে। পাউ তরেসের দারুণ ফ্রি কিকে জ্যাকব রামসে  নিয়েছিলেন শটটা। তবে ভিলা পার্কে হাজির দর্শকদের উল্লাস থেমে যায় লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই। তবে মার্তিনেজ পুরো ম্যাচেই তার কাজটা করে গেছেন। বিরতির একটু আগে মাইকেল ওলিসের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। 

এরপর ভিলা কোচ উনাই এমেরি মাঠে আনেন তার তুরুপের তাস জন ডুরানকে। চলতি মৌসুমে ৪টি গোল তিনি করেছিলেন বদলি হিসেবে নেমে। করলেন কাল রাতেও। পাউ তরেসের বাড়ানো বলে বায়ার্ন ডিফেন্ডার দায়ত উপামেকানোর পাহারা এড়িয়ে তিনি বল জড়ান বায়ার্নের জালে। জয়ের সুবাস তখনই পেতে শুরু করে স্বাগতিকরা।

তবে এরপরও জয়টা নিশ্চিত হয়নি তাদের। মার্তিনেজ দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই রক্ষা! সের্জ গেনাব্রির দারুণ শটটা তিনি ঠেকান। যোগ করা সময়ে আরও এক সেভ দিতে হয়েছে তাকে। এবার উপামেকানোর হেডার ঠেকিয়ে ভিলার জয়টা নিশ্চিতই করে দেন বিশ্বজয়ী এই গোলরক্ষক।