বিশাল শাস্তি পেল মোহনবাগান
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলছিল মোহামেডান। প্রথম ম্যাচে ড্র করে শুরুটা মন্দ করেনি দলটা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানের মাটিতে গিয়ে খেলেনি দলটা। যার ফলে বড় শাস্তি নেমে এসেছে তাদের ওপর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ থেকে বাদ পরে গেছে দলটা।
গত ২ অক্টোবর ট্র্যাক্টর এফসির বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে ইরানির তাবরিজে যাওয়ার কথা ছিল মোহামেডানের। সে ম্যাচে খেলতে তারা ইরানে যায়নি। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারত তাদের নাগরিকদের ইরান সফরে নিষেধাজ্ঞা দেয়, মোহনবাগানে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরোপীয়দের দেশও একই পথে হাঁটে। সবকিছুর মিশেলে মোহনবাগান সে ম্যাচে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।
এবার তারই শাস্তি পেতে হয়েছে দলটাকে। প্রতিযোগিতা থেকে ‘বাদ’ দিয়ে দেওয়া হয়েছে গত বারের আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ীদের। এএফসি জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ৫.২ ধারা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
তাই মোহনবাগানের সব গোল ও পয়েন্টও কেটে নিয়েছে এএফসি। তাদের খেলা আগের ম্যাচটাও বাতিল ধরা হচ্ছে এখন, বাতিল ধরা হয়েছে পরের ম্যাচগুলোকেও। এ গ্রুপটা এখন কার্যত ৩ দলের হয়ে গেছে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ৫.২ ধারা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। প্রতিযোগিতার নিয়মের ৫.৬ ধারা অনুযায়ী, এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ খেলেছে সবগুলি বাতিল হিসাবে ধরা হচ্ছে। তাই ৮.৩ ধারা অনুযায়ী, গ্রুপ এ-র পয়েন্ট তালিকা হিসাব করার সময় মোহনবাগানের পয়েন্ট বা কোনও গোল হিসাব করা হবে না।
এখনও অবশ্য একটা আশা আছে সবুজ-মেরুনদের। এএফসির এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে যাবে। তারা যদি বিবেচনা করে যে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল, তাহলে সিদ্ধান্তে বদল হলেও হতে পারে।
তবে মোহনবাগানের পক্ষে সিদ্ধান্তটা আসার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটে গতকাল সোমবার রাতে পার্সেপোলিসের বিরুদ্ধে খেলেছে পাখতাকোর। একই দিনে এসিএল ২-এ খেলা হয় সেপাহান এবং ইস্তিকললের। দু’টি ম্যাচই হয় ইরানের তেহরানে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির খুব একটা প্রভাব পড়েনি কোনও ম্যাচেই। এই দুই ম্যাচই মূলত সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে দলটির এবারের আসরে খেলার।