দিল্লিতেও অসহায় আত্মসমর্পণের গল্প লিখল বাংলাদেশ
ম্যাচের আসলে ‘সমাধান’ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় ইনিংসেই! ২২১ রান করার পর এই ম্যাচ তাদের হারার কোনো কারণ নেই। এই রান তাড়ায় বাংলাদেশ খানিক বাদে যে ব্যাটিং করলো তাতে সিরিজ হারা দলের সামনে একটা শব্দই যুতসই-দিল্লি দুরস্ত! দিল্লি বহুদূর। এই ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাও ঠিক অতই দূরের!
ভারতের ২২১ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১৩৫ রানে। গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে এবং দিল্লিতে ৮৬ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ভারত। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটিং-বোলিংয়ে ছিটেফোঁটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই যে তৈরি করতে পারলো না।
টসে জয়ী বাংলাদেশ দল বোলিং বেছে নিয়েছিল। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশ যা কিছু সাফল্য পায়। ৬ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশের হাসি শুধু ওটুকুই। ব্যাটিংয়ের বাকি গল্প লিখল ভারত। আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ শুধু তা দেখে গেল। বাউন্ডারি ও ছক্কার পর ছক্কা হলো। বাংলাদেশের কাজ তখন একটাই-বল কুড়িয়ে আনা!
১৭ বাউন্ডারি ও ১৫ ছক্কায় ভারতের ইনিংস সাজাল ২২১ রানের বিশাল সঞ্চয়ে। শুরুর তিন ব্যাটার ব্যর্থ হলেও পরের তিনজন যা করলেন তাকে বলে-প্রতিশোধ! নিতিশ রেড্ডি ৩৪ বলে ৭৪, রিঙ্কু সিং ২৯ বলে ৫৩, হার্দিক পান্ডিয়া ১৯ বলে ৩২ এবং রিয়ান পরাগ ৬ বলে ১৫। ব্যাটিং উৎসবে মেতেছিলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা।
বোলারদের ধুমছে পিটুনির এই ম্যাচে কেবল তাসকিন আহমেদই একটু সন্মান পান। ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট পান তাসকিন। বাকি সব বোলার খরুচে। তিন স্পিনার মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ করেন সবমিলিয়ে ৮ ওভার। তাদের এই ৮ ওভারে সম্মিলিত খরচ হলো ১১৬ রান! ৪ ওভারে ৫৫ রান ব্যয়ে রিশাদ হোসেন অবশ্য ৩টি উইকেট পেলেন।
দলের ব্যাটিং নিয়ে নতুন করে আলোচনার কিছু নেই। বর্ষীয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে এলো দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান। আর পুরো দল? গোয়ালিয়রে হয়েছিল ১২৭ রান, হার ৭ উইকেটের। দিল্লিতে যোগাড় ১৩৫, হার ৮৬ রানের। এবার আপনি উন্নতি মিলিয়ে নিন।