উইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায়ের পথে বাংলাদেশ
ভুল যা করার সেটা ব্যাটিংয়েই করে এসেছিল বাংলাদেশ। ১০৩ রানের মামুলি সঞ্চয় দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে লো স্কোরের এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো। আর বাংলাদেশ তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হার এবং একটি জয় নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পথে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচটা এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অংশ হতে চলেছে।
শারজায় টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয় বেশ ইতিবাচক মেজাজে। পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে ৩৩ রানে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে বেশ দাপটের সঙ্গেই সামনে বাড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও ইনফর্ম ব্যাটার সোবহানা মুস্তারি এই জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। মুস্তারি ১৬ রান করে আউট হন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন।
২০ ওভারকে দুই ভাগ করলে উভয় ভাগে বাংলাদেশের রান যোগের মাত্রাটা হল প্রায় সমান সমান। প্রথম ১০ ওভারে জমা হলো ৫৮ রান। পরের ১০ ওভারে যোগাড় ৪৫। অথচ শেষের অংশে বেশি রান জমা হওয়ার কথা। উইকেটও তখন হাতে ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিখুঁত স্পিন বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি।
জয়ের জন্য ১০৪ রানের মামুলি স্কোর তাড়ায় নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই মারমুখি ভঙ্গিতে ব্যাট চালায়। ওপেনিং জুটিতেই তারা জমা তুলে ৫২ রানের। ম্যাচের ফয়সালা মূলত সেখানেই হয়ে যায়। বাংলাদেশের স্কোর টপকে যেতে মাত্র ১২.৫ ওভার খেলতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শুরুর চার ব্যাটার যে কায়দায় ব্যাট করেন সেটাই তাদের সহজে ম্যাচ জেতায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১০৩/৮, ২০ ওভার (দিলারা ১৯, মুস্তারি ১৬, নিগার সুলতানা ৩৯, কারিশমা রামহারাক ৪/১৭, ফ্লেচার ২/২৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০৪/২, ১২.৫ ওভার (ম্যাথুস ৩৪, টেইলর ২৭, ক্যাম্পবেলে ২১, ডটিন ১৯*, নাহিদা ১/২২, মারুফা ১/২০)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী।