রিয়াদ-ফাহিমের ব্যাটে বরিশালের শুভসূচনা
দুর্বার রাজশাহীর ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে বরিশাল ১১২ রানেই খুইয়ে বসেছিল ৬ উইকেট। বড় হারকেই তখন নিয়তি বলে মনে হচ্ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। তবে তামিম ইকবালের দল সেখান থেকেই ফিরে এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের মারকুটে ব্যাটিংয়ে করা ৮৮ রানের জুটি তাদের ১১ বল হাতে রেখেই জয় এনে দিয়েছে। ৪ উইকেটের এই জয়ে দলটা বিপিএল যাত্রা শুরু করল দারুণভাবে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন জিসান আলম, আর দলীয় ২৫ রানে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি মিলে গড়েন ১৪০ রানের দুর্দান্ত জুটি। বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেও রাব্বি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মাত্র ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রাজশাহী ৩ উইকেটে তোলে ১৯৭ রান।
বরিশালের পক্ষে কাইল মেয়ার্স ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর বোলার। তিনি ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন। তবে শাহীন শাহ আফ্রিদি ও রিপন মণ্ডল ছিলেন খরুচে।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের শুরুটা ছিল ভীষণই হতাশাজনক। ইনিংসের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তামিম ইকবাল, কাইল মেয়ার্স, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের দ্রুত বিদায়ে দল পড়ে চাপে। ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ প্রায় হেরে বসেছিল বরিশাল।
কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ মিলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ফাহিম মাত্র ২১ বলে ৫৪ রান করেন ৭টি ছক্কা ও ১টি চারে। রিয়াদ ২৬ বলে ৫৬ রান করেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়। দুজনের ৮৮ রানের অপরাজিত জুটিতে বরিশাল জয় পায় ১১ বল বাকি থাকতে।