এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিউজিল্যান্ডের
২০২৪ সালের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা আর নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে লঙ্কানদের লক্ষ্য ছিল আরও একটা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচটা বাঁচা মরার লড়াই ছিল তাদের। সে ম্যাচে তারা হেরেছে ৪৫ রানে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মিচের হেইয়ের ১৯ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো উনিংসের ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সতর্কভাবে করছিলো। তবে পঞ্চম ওভারে মিচেল স্যান্টারের বলে কুশল মেন্ডিস ১২ বলে ১০ রান করে সাঝঘরে ফিরলে নিসাঙ্কাকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন কুশল পেরেরা।
দশম ওভারে দলীয় ৭১ রানে নিসাঙ্কাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। জ্যাকব ড্যাফির স্লো ডেলিভারি ঠিকমতো বুঝে উঠতে না পেরে ম্যাট হেনরির হাতে তালুবদ্ধ হয়ে ৩৭ রানে মাঠ ছাড়েন নিসাঙ্কা। এরপর ১৬তম ওভারে ব্রেসওয়ালের বলে চ্যাপমানের হাতে বন্ধি হয়ে কামিন্দু মেন্ডিসও ফেরেন দ্রুত। এরপর অধিনায়ক আসালাঙ্কা ও কুশল পেরেরা দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে ড্যাফির ইয়র্কারে ও স্যান্টারের অফসাইড বলে বাউন্ডারি হাকাঁতে গিয়ে এই জুটি ১৩৫ এ গিয়ে থামে। এ জুটি ভাঙার পর ব্যাটিং ধস নামে শ্রীলঙ্কার, দলীয় সংগ্রহ ১৩৫ থেকে ১৪১ করতে গিয়ে ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা আর তাতেই হার নিয়ে প্রথম ম্যাচের মতো হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন জ্যাকব ড্যাফি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে হারানোর পর পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৪৮ তুলেছে নিউজিল্যান্ড। তবে মার্ক চ্যাপম্যান ও টিম রবিনসনে ১০ ওভারে সেই স্কোর নিয়ে যান উইকেটে ৭৬। চ্যাপম্যান ও গ্লেন ফিলিপসে ভর করে ১৪.৩ ওভারে ১২২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
২৯ বলে ৪২ রান করে চ্যাপম্যান ও ১৬ বলে ২৩ রান করে আউট হন ফিলিপস। এরপর মিচেল হেই নেমে এরপর শেষ ৫ ওভারে কিউইদের এনে দেন ৬২ রান। যেখানে ১৯ বলে ৪১ রান নিয়ে ম্যচ সেরা হন মিচেল হেই। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।