টেস্ট ক্রিকেটে দুই স্তর নিয়ে যা বললেল ক্লাইভ লয়েড
ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড—‘বিগ থ্রি’ হিসেবে পরিচিত এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে আরও বেশি বেশি টেস্ট খেলতে চায়।আর সেটি করতে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দুই স্তরের কাঠামো চায় দেশ তিনটি। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই এটা করতে চায় তারা বলে জানালেও এর পেছনে আছে অর্থনৈতিক লাভের আকাঙ্ক্ষা।
টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করা হলে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৭টি দল থাকবে এক স্তরে, বাকি ৫টি দল থাকবে দ্বিতীয় স্তরে। এটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ মাসেই আইসিসির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বিগ থ্রি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
এটা বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও, এই খবর শুনে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেছেন এই ‘বাজে প্রস্তাব’ নিয়ে সব আলোচনা এখনই বন্ধ করা উচিত। তিনি মনে করেন এটা বাস্তবায়িত হবে না।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ক্লাইভ বলেন, ’আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। আমি এই খবর শুনে খুবই বিরক্ত। এটা ক্রিকেটের ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি করবে। এখনই এই প্রস্তাবকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই। আমাদের এমন একটা কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’
টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই প্রশ্নের জবাবে ক্লাইভ বলেন, ’যেহেতু ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকবে না, তাই নিচের স্তরের দলগুলোর উন্নতির সুযোগ থাকবে না। কেবলমাত্র নিজেদের স্তরের দলের সাথে খেললে কোনো দলেরই কোনো উন্নতি হবেনা। সেক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
নিচু সারির দলগুলো প্রস্তাবিত কাঠামোতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন লয়েড। এমনকি এই সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সম্প্রতি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মধ্যে দুই স্তরের আলোচনা সামনে নিয়ে আসেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে হলে এটাই করতে হবে। বড় দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে নিয়মিত খেলবে, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে।’