জিয়া-সোহানের ব্যাটে চড়ে শেখ জামাল ফাইনালে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
জিয়াউর রহমান, ২৯ বলে অপরাজিত ৭২! ছবি: সংগৃহীত

জিয়াউর রহমান, ২৯ বলে অপরাজিত ৭২! ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়ের টার্গেট ১৮২ রান রান। বড় সেই রান তাড়ায় নেমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৯ ওভারের মধ্যেই দিকহারা; ৬৫ রানে নেই ৫ উইকেট। প্রতিপক্ষ শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব তখন ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু স্বপ্ন কাটিয়ে বাস্তবতায় ফিরতেই তারা দেখলো, ফাইনালে তো নাম লিখিয়ে ফেলেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব!

একেই বলে ম্যাচে ফিরে আসা! একেই বলে প্রায় হেরে যাওয়া যুদ্ধ জয়! সব হিসেব বদলে দিয়ে শেখ জামাল ৫ উইকেটে নাটকীয় ভঙ্গিতে প্রথম সেমিফাইনালে জিতে ডিপিএল টি-টুয়েন্টি লিগের ফাইনালে উঠে এলো। দলকে ফাইনালে তোলার নায়ক জিয়াউর রহমান। স্বপ্ন যাত্রায় তার সঙ্গী ছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান।

৬৫ রানে শেখ জামাল ৫ উইকেট হারানোর পর সবাই ধরেই নিয়েছিলো বড় ব্যবধানে এই সেমিফাইনালে হারছে তারা। কিন্তু মিরপুরে ব্যাটে বাকি সময় জিয়াউর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান যা করলেন সেই কৃতিত্ব অনেকদিন ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে মুখে থাকবে। বাকি সময়টায় আর কোন উইকেটই হারালো না শেখ জামাল! ম্যাচ জিতে নিলো ৫ উইকেটে। জিয়া ও সোহানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ হলো অপরাজিত ১১৭ রান। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই রান এলো মাত্র ৮.৪ ওভারে! সোহান করলেন ৩১ বলে হার না মানা ৪৩ রান। জিয়াউর রহমানের ব্যাট যে বলের সুতো খুলে দিলো; ২৯ বলে অপরাজিত ৭২ রানের অট্টহাসি তার ব্যাটে! ৪ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় জিয়াউর যে ইনিংস খেললেন তাকে বলে ব্যাটিং ঝড়!

৬৪ রানে শুরুর ৪ উইকেট হারানোর পর শেখ জামার ধানমন্ডি ক্লাব পরের ওভারেই আরেকটি বড় ধাক্কা খায়। তানভীর হায়দার কোন রান না করেই আউট হন। চরম বিপদের এই সময়টায় সোহানের সঙ্গে এসে জুটি গড়েন জিয়াউর রহমান। এর পরের গল্পের সবটুকুই শুধু সোহান ও আর জিয়ার।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়। সাব্বির হোসেনের ৩২ বলে ৪৭, আফিফ হোসেন ধ্রæব’র ৪১ বলে ৬৫ এবং শেষের দিকে শুভাগত হোমের ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংসের ওপর ভর দিয়ে ১৮১ রানের বড় স্কোর গড়ে শাইনপুকুর। ম্যাচ জেতার জন্য দলের বোলাররাও শুরুতেই পঞ্চাশভাগ কাজ সেরে ফেলেন। কিন্তু জিয়া ও সোহানের ব্যাটিং যে এই ম্যাচের গল্প লিখল অন্যভাবে-বীরত্বের ব্যাটিংয়ে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ১৮১/৭ (২০ ওভারে, সাব্বির ৪৭, ধ্রুব ৬৫, তৌহিদ হৃদয় ২৪, শুভাগত ৩১, সাকি ৪/২৮, শহিদুল ২/২৫)। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ১৮২/৫ (১৭.৪ ওভারে, অনি ২২, সোহান ৪৩*, জিয়াউর ৭২*, শুভ ২/৩১)। ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: জিয়াউর রহমান।

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;