২১১ রানেও স্বপ্ন ছড়াচ্ছে বোলিং!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আবু জায়েদ রাহী তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট

আবু জায়েদ রাহী তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশকে ২১১ রানে আটকে দিয়ে বেশ খুশি মনেই ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে ব্যাটিংয়ে দিনটা যে স্বাগতিকরাও খুব খুশি মনে শেষ করতে পেরেছে তা নয়! ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানো ইনিংসে সুখ খোঁজার উপায় কই? শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে যখন তৃতীয়দিনের খেলা শেষ হলো তখন ২ উইকেটে ৩৮ রান তোলা নিউজিল্যান্ড যেন স্বস্তি পেল। যাক, এই উইকেটে আবু জাহেদ রাহী ও এবাদত হোসেনকে আজ সামাল দিতে হচ্ছে না! আর মুস্তাফিজ তো এখনো বোলিং আক্রমণেই আসেননি!

প্রথম ইনিংসে ২১১ রানের মামুলি সঞ্চয় দেখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হতাশায় পুড়ছিলেন। কিন্তু দিন শেষ নিউজিল্যান্ডের ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো দেখে সেই অতৃপ্তি কিছুটা হলেও দুর হলো। বৃষ্টিতে তৃতীয়দিনের খেলা ঘন্টা দেড়েক আগে শেষ হয়। বাংলাদেশের স্কোর থেকে তখনো ১৭৩ রান দুরে নিউজিল্যান্ড।

বৃষ্টিস্নাত সবুজ ঘাসে মোড়া উইকেট। চারধারের বাতাস। আকাশে মেঘের আনাগোনা। এমন উইকেটে প্রথমবার বোলিং করার সুযোগ পেয়েই আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন শুরুতেই কাঁপিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে। নিউজিল্যান্ডের শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিচ্ছেন অধিনায়ক রস টেলর ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তৃতীয়দিনের বিকালের মতো চতুর্থদিনের সকালেও যদি বাংলাদেশের পেসাররা বল হাতে তেজ দেখাতে পারেনÑতাহলে ওয়েলিংটন টেস্টের ‘গল্পটা’ হতে পারে; বাংলাদেশের দাপটের!

বৃষ্টিতে প্রথম দুদিন ভেসে যাওয়ায় তৃতীয়দিন সকালে এই ম্যাচের টস হয়। নিউজিল্যান্ড টসে জিতে যথানিয়মে বোলিং বেছে নেয়। তবে দিনের শুরুর প্রথমভাগের পুরোটাই বাংলাদেশের সাফল্যে মোড়া। আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে বললে তামিম ও সাদমানের ওপেনিং জুটি আরেকবার সিরিজে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিলো। ৭৫ রান যোগ হলো ওপেনিং জুটিতে। সাদমান ইসলাম উইকেটে সেট হয়ে আউট হলেন সফরে তৃতীয়বারের মতো। একপ্রান্ত আঁকড়ে তামিম ইকবাল ঠিকই বাহারি স্ট্রোক খেলে দলের স্কোরবোর্ডের চাকা সচল রাখেন। চলতি সিরিজে নিজের টানা তৃতীয়বারের মতো পঞ্চাশের ঘরে পৌছালেন তামিম। কিন্তু অন্যপ্রান্তে যে দাড়াতেই পারলেন না! মুমিনুল উইকেটে অনেকক্ষণ টিকে থেকে ওয়াগনারের শর্টবলের কাছে হার মানলেন। মোহাম্মদ মিঠুন লাঞ্চের ঠিক আগের মূহূর্তে যে কায়দায় আউট হলেন সেটাকে আর যাই হোক টেস্ট ব্যাটিং বলে না!

৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে লাঞ্চে গেলো বাংলাদেশ। উইকেট, আবহাওয়া, কন্ডিশন ইত্যাদির বিচারে স্কোরটা নেহাৎ মন্দ নয়। কিন্তু লাঞ্চের পরই যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সবাই একযোগে ভূত দেখলেন! এমন ভঙ্গিতেই পড়িমরি করে ফিরলেন। দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই তামিম ইকবাল আউট ৭৪ রানে। তাসের ভঙ্গিতে বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙ্গে পড়া যখন থামলো তখন স্কোরবোর্ডে সঞ্চয় সংখ্যা মামুলি ২১১।

হ্যামিল্টন টেস্টের সেই পুরানো কৌশলই ওয়েলিংটনেও চালিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ড পেসার নেইল ওয়াগনার। ২৮ রানে ৪ উইকেটের সবগুলোই তার ঠুকে দেয়া শর্ট বলের কৃতিত্বে। আর ট্রেন্ট বোল্ট শেষের দিকে নিজের ৮ বলে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লেজ ছেঁটে ফেলেন। চা বিরতির খানিক আগেই বাংলাদেশের ইনিংস মুড়িয়ে গেলো ২১১ রানে।

ব্যাটিংয়ে ভাল শুরুর পরও এমন হাতে গোনা সামান্য স্কোর-এই দুঃখ নিয়েই বোলিংয়ে নামে। তবে শুরুর স্পেলেই আবু জাহেদ রাহী নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে জানান দিলেন এই উইকেটে বোলারদের আনন্দিত হওয়ার মতো অনেককিছু আছে!

বৃষ্টি অনুমতি দিলে চতুর্থদিন সেই স্বপ্ন নিয়েই ওয়েলিংটনে নামবে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয়দিন শেষে) বাংলাদেশ ১ম ইনি: ২১১/১০ (৬১ ওভারে, তামিম ৭৪, সাদমান ২৭, মুমিনুল ১৫, মিঠুন ৩, সৌম্য ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ৮, মুস্তাফিজুর ০, আবু জায়েদ ৪, এবাদত ০*, ওয়াগনার ৪/২৮, বোল্ট ৩/৩৮)। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনি: ৩৮/২ (১১.৪ ওভারে, উইলিয়ামসন ১০*, টেলর ১৯*, আবু জায়েদ ২/১৮)।

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;