সমস্যার নাম শর্ট বল, বাউন্সার!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নেইল ওয়েগনারকে খেলতে হিমশিম খেলেন ব্যাটসম্যানরা

নেইল ওয়েগনারকে খেলতে হিমশিম খেলেন ব্যাটসম্যানরা

  • Font increase
  • Font Decrease

-নেইল ওয়েগনার কেমন বোলার?

এই প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের বেশ ভালই জানা। মাঠে ওয়েগনার কি এবং কেমন কৌশল নেন, সেটাও এই দলের কাছে প্রায় মুগস্থ। কিন্তু শুধু প্রশ্নটাই জানা। সেই প্রশ্নের সমাধান কি? সেটাই যে আজো জানা হলো না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের!

হ্যামিল্টন টেস্টে পর ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই ওয়েগনার রহস্যই হয়ে রইলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে! হ্যামিল্টন টেস্টে ৭ এবং ওয়েলিংটনের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করে ওয়েগনার চলতি সফরে আরেকবার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সঙ্কট বাড়াচ্ছেন।

খুব যে সুদক্ষ বা নতুন কোন কৌশল এনেছেন নিজের বোলিংয়ে ওয়েগনার, তাও কিন্তু নয়। মুলত শর্ট বল করতে পছন্দ করেন। বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেন। খাটো লেন্থে ঠুকে গতিতে আসা বল কখনো ব্যাটসম্যানের হেলমেট, কখনো পাঁজর বা কখনো বুক সমান উচ্চতায় তুলেন। স্কয়ার লেগ, ফাইন লেগ এবং মিড উইকেটে ফিল্ডার রেখে এভাবেই মুলত ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিতে চান ওয়েগনার। এমন বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করতে হলে ব্যাটসম্যানকে পুল বা হুক শটে দক্ষ হতে হবে। নতুবা চ্যালেঞ্জ না নিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে বল ছেড়ে দিতে হবে।

হয় মারতে হবে নয়তো ছাড়তে হবে বল।

এই দুই কাজেই সফরে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সফল হতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এই লড়াইয়ের কিছুটা জবাব খুঁজে পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাকি সময়টায় মিললো এমন চিত্র; ওয়েগনার আক্রমণে। শর্ট বল। বাউন্সার। এবং ক্যাচ তুলে ফিরছেন ব্যাটসম্যানরা! ওয়েলিংটনের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং এলোমেলে মুলত ওয়েগনারের এই বাউন্সার বলেই! যে চার উইকেট পেলেন এখানে তিনি, তার সবগুলোই শর্ট অব লেন্থের বাউন্সারে। সবগুলোই প্রাইজ উইকেট-মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের ব্যাটি স্তম্ভ একাই গুড়িয়ে দিলেন এই বাঁহাতি কিউই পেসার।

ওয়েলিংটনের প্রথম ইনিংস শেষে ওয়েগনারের শর্ট বল সামাল দিতে না পারার ব্যর্থতা পরিস্কার স্বীকার করে নিলেন ৪৯ বলে ৩৩ রান করা লিটন -জানি সে শর্ট বল করবে। কিন্তু বলটা এমন জায়গায় রাখে, কিছু করার থাকে না! এখানে মনোযোগ আরো বাড়িয়ে বল আরও বেশি ছাড়লে হয়তো কিছু করা যাবে।’

টেস্ট ক্রিকেট শুধু বল খেলার নয়, ছাড়ারও যে বটে!

দুই বছর আগে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ঠিক একই কাজ করেছিলেন ওয়েগনার। হয় বল হেলমেটে লাগাচ্ছিলেন। নয়তো ব্যাটসম্যানদের গøাভসে। নিয়ম অনুযায়ী ওভারে দুটোর বেশি বাউন্সার দেয়া যায় না। নিয়মটা ভালই জানা ওয়েগনারের। দুটো বাউন্সার তো দিবেনই, সঙ্গে ওভারের বাকি চার বলের সবগুলোই আসবে হয় পাঁজর ধেয়ে নয়তো কুনই বরাবর। লেগ স্লিপ বা শর্ট লেগ সেই ক্যাচ ধরার জন্য দাড়িয়ে। ওয়েগনার তার দেয়া সব বাউন্সারেই যে উইকেট পেয়েছেন তা নয়, বাউন্ডারিও হয়েছে।
তবে বাউন্ডারির চেয়ে যে উইকেট শিকারের সংখ্যা বেশি!

৫ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৮ উইকেট নেয়া ওয়েগনারের বেশিরভাগ সাফল্যই এই বাউন্সারে হুক বা পুল শটে উঠা ক্যাচে। নিজের বোলিং নিয়ে ওয়েগনারের পরিকল্পনা ও চিন্তা শক্তি খুবই পরিস্কার-‘ওয়েলিংটনে আমি নিজের প্রথম ওভারের প্রায় সবগুলো বলই একটু উপরের দিকে রাখি। সেই ওভারে আমার খরচা হলো ১০ রান। দেখলাম তেমন কোন সুইংও পাচ্ছি না। বলে আড়াআড়ি মুভমেন্টও নেই। বাধ্য হয়েই তখন আমাকে উইকেটের বাউন্সটাই কাজে লাগাতে হলো। এই যে এতবেশি শর্ট বল বা বাউন্সার দেই, এতে অনেকেই আমার সমালোচনা করে। কিন্তু ওসব তেমন মাথায় রাখি না। দলের সাফল্যে অবদান রাখার চেষ্টা আমি করে যেতে চাই। নিয়মের মধ্যে থেকেই বোলিং করতে চাই।’

বোঝাই যাচ্ছে সফরের সামনের সময়জুড়েও ব্যাটসম্যানদের শরীর জুড়ে বাউন্সারই করে যাবেন ওয়েগনার। টিম সাউদি এবং ট্রেন্ট বোল্টও একই কৌশলের পথে হাঁটছেন।

টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সাফল্য-ব্যর্থতার নির্ণয়ক এখন একটাই;বাউন্সার সমস্যার সমাধান খোঁজা!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;