যে কারণে সাব্বিরকে পছন্দ অধিনায়ক মাশরাফির



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিটা ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বরের। সাব্বিরের ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে তাকে বাংলাদেশের টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন অধিনায়ক মাশরাফি- ছবি: সংগৃহীত

ছবিটা ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বরের। সাব্বিরের ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে তাকে বাংলাদেশের টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন অধিনায়ক মাশরাফি- ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা ম্যাচ হচ্ছে।

ইনিংসের শেষভাগের খেলা চলছে। প্রতিপক্ষ ভারত। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের চাই শেষ ৩৬ বলে ৫৫ রান। হাতে জমা শেষ তিন উইকেট। ব্যাটিংয়ে আছেন সাব্বির রহমান। জাসপ্রিত বুমরা ও ভুবেনশ্বর কুমার উভয়ের তিনটি করে ওভার বাকি। টেনশনে উভয় দলের ডাগআউট। উৎকণ্ঠার মাত্রা বাংলাদেশ শিবিরে একটু বেশি। ভরসা বলতে সেই শুধু সাব্বির রহমানের ব্যাট!

তবে বাংলাদেশের ডাগআউটে একজন বেশ নির্ভার। তার বিশ্বাস সাব্বির পারবেন। এজন্যই তো তাকে দলে নেয়া। এজন্যই তার হয়ে লড়াই করা। এই সময়ের ব্যাটিংয়ের জন্য শুধু কৌশল নয় সঙ্গে যে সাহসও চাই।

সাব্বির রহমানের ব্যাটে সেই সাহসটা আছে!

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তার বিশ্বকাপ দল বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছিলেন বেশ আগে থেকে। কোন পজিশনে কোন খেলোয়াড় সেই হোমওয়ার্ক সেরেছেন তিনি গেলো বছরের এশিয়া কাপের আগে থেকেই।

ব্যাটিংয়ের নিচের দিকে লোয়ার মিডলঅর্ডারে একজন ম্যাচ উইনারের খোঁজ করছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বেশ কয়েকটি নামই ছিলো। তবে সাব্বিরকেই বেছে নেন অধিনায়ক। তার সাফ কথা- শেষের দিকে যখন প্রতিপক্ষের সেরা বোলাররা বল করবে, সেই সময় ব্যাট হাতে দ্রুতগতিতে রান তুলে  ম্যাচ জেতানোর সক্ষমতা বিচার করলে সাব্বিরই সেরা পছন্দ।

আর তাই অধিনায়ক তাকে দলে চেয়েছিলেন বলেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তির নিষেধাজ্ঞাও কমিয়ে তাকে বিসিবি দলে ফিরিয়ে আনে। নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাব্বির রহমান অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদান দেন। বিশ্বকাপের এবারের দলে মুলত সেই সেঞ্চুরির পরই সাব্বির রহমানের জায়গাটা নিশ্চিত হয়ে যায়।

২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাব্বির রহমানের বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়। অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স! সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ঝলমলে অপরাজিত ৪৪ রান। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি জাতীয় দলে তার নতুন সতীর্থের পিঠ চাপড়ে দিলেন। মুলত সাব্বিরের সেই ইনিংসই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে দিলো।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন সাব্বির রহমান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচটা সুখকর কিছু হয়নি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পায় তবে সাব্বির ফিরেন মাত্র ২ রান করে। সেই ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিলেন সাব্বির পরের পাঁচ ম্যাচে। মেলবোর্নে পরের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি পেলেন। বিশ্বকাপের সেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারেরও প্রথম। সৌম্য সরকারের সঙ্গে এই ব্যাপারে বেশ ভালো একটা মিল থাকলো সাব্বিরের।

বাকি চার ম্যাচেও ব্যাট হাতে সেবার সাব্বিরের পারফরমেন্স মন্দ নয়। সব ম্যাচেই ডাবল ডিজিট। তবে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় মাত্র ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস আরেকবার জানিয়ে দিলো কেন মাশরাফি তাকে পছন্দ করেন? ১৭৩.৯১ স্ট্রাইকরেটে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যান্ডারসন ও ম্যাকক্লেগানকে পাওাই দিলেন না সাব্বির।

বিশ্বকাপের মাঠে নিজের অভিষেক আসরে ১৮৫ বলে ১৮২ রান সাব্বিরের। যেখানে বাউন্ডারি ১৮টি। ছক্কা ৫টি। স্ট্রাইকরেট ৯৮.৩৭। বিশ্বকাপের মাঠে এত সমৃদ্ধ স্ট্রাইকরেট বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যানের নেই।

অধিনায়ক মাশরাফি তাহলে ঠিক ব্যাটসম্যানকেই বেছে নিয়েছেন!

   

আমরা বিশ্বাস করেছি যে জিতব: শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে নেপালকে হারিয়েই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে দেশে ক্রিকেটপ্রেমীদের এবং সকল টাইগার সমর্থকদেরই ইদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ২১ রানের এই থ্রিলিং জয়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের মনের অবস্থা। প্রকাশ করেছেন যে তারা কতটা আনন্দিত!

এত কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি দলের ক্রিকেটাররা। বল হাতে নিজেদের সেরাটাই যেন মাঠে ঢেলে দিয়েছেন টাইগার বোলাররা। শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলীয় ১০৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানেই সবকটি উইকেট হারায় নেপাল।

ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, 'আমরা যেভাবে এই রাউন্ডে খেলেছি খুব খুশি। আশা করি আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স এভাবে ঠিক রাখব। আমরা খুব বেশি রান করেছি তা না তবে আমরা বিশ্বাস করেছি যে আমরা জিততে পারব। ম্যাচে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, আমরা জানতাম উইকেট নিতে পারব এবং এই রানে জিততে পারব।'

ফিল্ডার ও বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন তিনি, 'ফিল্ডাররাও ভালো করেছে। আমাদের সবকিছুই ঠিক হয়েছে, পেস বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। এই ফরম্যাটে বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি তারা এমনই থাকবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি আমরা এটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।'

বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দল বেশ ভালো ফর্মে থাকলেও ব্যাট হাতে একদমই ছন্দে নেই টাইগার ব্যাটাররা, বিশেষ করে অধিনায়ক নিজেই। অতি শীঘ্রই এই রানখরা কাটিয়ে উঠে ফর্মে ফিরবেন টাইগার ব্যাটাররা, এমনটাই আশা করেন তিনি।

;

বিদায়বেলায় জয়ের হাসি লঙ্কানদের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ-নেপাল থ্রিলার ম্যাচের ফলে বেশিরভাগ মানুষই হয়তো শ্রীলংকা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি দেখেননি। তবে সেই ম্যাচের খোঁজ ঠিকই রাখছিলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের সমর্থকরা। কারণ নেপালের বিপক্ষে হেরে বসবে টাইগাররা, এমনটাই মনে করছিলেন বেশিরভাগ দর্শক। আর এমনটা হলেই নিজেদের সুপার এইটের টিকিট পাওয়ার জন্য লঙ্কানদের জয়ের অপেক্ষায় থাকা লাগত বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের।

তবে শেষ পর্যন্ত সকল সমীকরণের ফাঁদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেপালকে হারিয়ে দিয়েই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। অপরদিকে ডাচদের বিপক্ষেও সহজ জয় তুলে ৮৩ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এতে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল তারা।

এদিন টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই ধাক্কা খেলেও পরে সামলে উঠে তারা। কুশল মেন্ডিসের ২৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে ভর করে রানের গতি সচল রাখে তারা। পরে চারিথ আসালাংকার ২১ বলে ৪৬ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ১৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় হাসারাঙ্গার দল।

জবাবে ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনা করে ডাচরা। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকে তারা। কারণ এছাড়া আর উপায়ও ছিল না তাদের হাতে, কারণ বাংলাদেশকে টপকে সুপার এইটে জায়গা করে নিতে হলে রানরেটে এগিয়ে থাকতে হতো তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে দেওয়ায় আর কোন সমীকরণই কাজে আসেনি।

ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডসের কেউই এদিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারায় ডাচরা, স্কোরবোর্ডে তাদের রান তখন ১১৮। বোলারদের নৈপুণ্যে ৮৩ রানের দাপুটে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ আসর শেষ হয়ে গেলেও শেষটা তারা করেছে দারুণভাবেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

শ্রীলঙ্কাঃ ২০১/৬ (২০ ওভার); আসালাংকা ৪৬, কুশল ৪৬; ফন বিক ২-৪৫, কিংমা ১-২৩

নেদারল্যান্ডসঃ ১১৮ (১৬.৪ ওভার); লেভিট ৩১, এডওয়ার্ডস ৩১; থুশারা ৩-২৪, হাসারাঙ্গা ২-২৫

ফলাফলঃ শ্রীলঙ্কা ৮৩ রানে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ চারিথ আসালাংকা

;

যেভাবে এমন সফল তানজিম সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের হাতে পুঁজিটা বড় ছিল না। ১০৬ রানের পুঁজিও অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে অবলীলায় রক্ষা করে ফেলছে দলগুলো। কিন্তু তার জন্য প্রক্রিয়াটা তো শুরু করা চাই! তানজিম হাসান সাকিব সেটাই করে দিয়েছিলেন আজ। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে আসে ভালোভাবে। 

পরের গল্পটা আপনিও জানেন। বাংলাদেশ সে নেপালকে হারিয়েছে ২১ রানের ব্যবধানে। তানজিম জানালেন, পুঁজিটা যখন ছোট ছিল, তখন নিজেদের শান্ত রাখাটাই সবচেয়ে বড় কাজ ছিল। তার কথা, ‘আর সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ঘাবড়ে যাইনি। আমরা জানতাম এই রান নিয়ে আমরা জিততে পারব।’

এরপর আসল বোলিং প্রসঙ্গ। তানজিমের কথা, ঠিক জায়গায় বল করাতেই মিলেছে সাফল্য। তার কথা, ‘কাজগুলো যত সহজভাবে করা যায়, আমরা তাই করতে চেয়েছি। আমরা ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছি।’

সে কাজটা দলের বোলাররা ভালোভাবেই সেরেছে, বিশ্বাস সাকিবের। তার কথা, ‘বোলিং অ্যাটাক হিসেবে আমরা বেশ ভালো বল করেছি। এ কারণেই আমরা স্কোরটা ডিফেন্ড করতে পেরেছি।’

নিজের বোলিংয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আগ্রাসী হতে চেয়েছিলাম, আমার পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাইছিলাম। এখানে রান করা সহজ ছিল না। আমরা আমাদের লাইন লেন্থ ঠিক রেখেছি, আর এটাই কাজে দিয়েছে।’

এবার বাংলাদেশের সামনে সুপার এইটের বৈতরণী। সে মঞ্চটা নিয়ে পুরো দল রোমাঞ্চিত, জানান তানজিম। তার কথা, ‘আমরা সুপার এইটের জন্য রোমাঞ্চিত। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি আমরা সেখানেও ভালো করব।’

;

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালকে হারালে কোনো প্রকার সমীকরণ ছাড়াই সুপার এইটের টিকিট কেটে ফেলত বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের কাজটা সহজে হতে দেয়নি নেপাল। তবে শেষমেশ হাসিমুখটা ছিল বাংলাদেশেরই। নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেছে দলটা।

নেপালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতেই নেই হয়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। তার ওপর স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছিল স্রেফ ৩০ রান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু, এরপর তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়রাও ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারেননি।

পাওয়ারপ্লের পর মাহমুদউল্লাহর রানআউট আর সাকিব আল হাসান এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে বাংলাদেশ পড়ে ঘোর বিপদে। এরপর তানজিম সাকিব আর জাকের আলীও বিদায় নিলে তিন অঙ্কে যাওয়া নিয়েও জাগে শঙ্কা। সেখান থেকে তাসকিন আহমেদ আর রিশাদ হোসেনের ৭ বলে ১৫ রানের দুটো ক্যামিওতে ভর করে বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ১০৬ রান তুলে।  

বোলাররা সে রানটাকেই যথেষ্ট করে ফেললেন। তার কৃতিত্বের একটা বড় অংশ যাবে তানজিম হাসান সাকিবের ঝুলিতে। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ২১টি ডট। সঙ্গে কুশল ভুর্তেল, অনীল শাহ, রোহিত পোড়েল আর সুন্দীপ জোরাকে তুলে নিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন নেপালকে। সেই ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি তারা। 

নেপাল একটা চেষ্টা করেছিল অবশ্য। ষষ্ঠ উইকেটে দীপেন্দ্র সিং ঐরী আর কুশল মাল্লা মিলে যোগ করেছিলেন ৫২ রান। ধীরে ধীরে যখন খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছেন, তখন বাংলাদেশ শিবিরে খানিকটা দুশ্চিন্তাই ভর করেছিল বৈকি! তবে সেটা দূর করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কুশল মাল্লাকে ফিরিয়ে তিনি বাংলাদেশকে ফেরান ম্যাচে। এরপর নেপালের ইনিংস ধসে পড়ে রীতিমতো। কোনো রান যোগ না করেই শেষ চার উইকেট খুইয়ে বসে দলটা। বাংলাদেশ ম্যাচটা জেতে ২১ রানে। তাই শেষ আটের টিকিটটা বাংলাদেশ কাটল স্বস্তি নিয়েই। 

;