বাংলাদেশের জয়, বাঘের গর্জনে কাঁপলো বিশ্বকাপ!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন থেকে
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়ের টার্গেট ৩৩১ রান।

বিশ্বকাপের মাঠে এতো বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড যে কারো নেই। দক্ষিণ আফ্রিকাও সেই রেকর্ড বদলাতে পারলো না। বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে গেলো ৩০৯ রানে। ২১ রানের জয়ের উৎসব নিয়েই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শুরু হলো।

নিশ্চিত জানুন বাংলাদেশের এই দুর্দান্ত জয়ের পরে বিশ্বকাপের ফেভারিটের হিসেবটাও বদলে যাচ্ছে। যে কায়দায় এই ম্যাচে ব্যাটিং- বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ পারফরমেন্স দেখিয়েছে তাতেই মাশরাফি-সাকিবদের নিয়ে নতুন করে হিসেব কষতে হচ্ছে বিশ্বকাপের বাকি দলগুলোকে।

বাংলাদেশ মানেই এখন বিশ্বকাপের বিপদজনক দল! দাপুটে এই জয়ে বিশ্বকাপ কাঁপিয়ে দিলো বাংলাদেশ। ক্রিকেট বিশ্ব আরেকবার শুনলো বাঘের গর্জন। যে গর্জনের কাব্যিক নাম- খেলবে টাইগার, জিতবে টাইগার!

ওভালের এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং মোটেও পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের পরিকল্পিত ব্যাটিংয়ের কাছে। ওপেনিং জুটিতে আসা ৬০ রানের ওপর ভর করে সাকিব-মুশফিক তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়লেন ১৪২ রান। মাঝের এই ব্যাটিং শক্তিতে বাংলাদেশের শেষের ব্যাটিংও পেশি দেখালো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559496869381.jpg

শুরু-মাঝের এবং শেষের এই সম্মিলিত শক্তিতেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা ৬ উইকেটে ৩৩০ রান। শুধু বিশ্বকাপের আসরে নয়, এটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা সঞ্চয়। আরেকটু বলি-চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আর কোনো দল এতো বেশি রান করতে পারেনি!

এত কৃতিত্বের ম্যাচে বাংলাদেশ কেন জিতবে না! এই ম্যাচে জেতার মতো দলই ছিলো শুধু বাংলাদেশ! ব্যাটিং থেকে পাওয়া শক্তিটা বোলিংয়েও দারুণভাবে কাজে লাগালো বাংলাদেশ। সেই ধাক্কায় শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে টানা দুটো ম্যাচে হার দেখলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর বাংলাদেশের শুরুটা হলো উজ্জ্বীবিত জয়ে। যে জয় এখন দেখাচ্ছে আরো অনেক দুরের তারা ছোঁয়ার স্বপ্ন!

বড় টার্গেট, তাই ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রান তাড়ায় নেমে বেছে নিলো নিরাপদ ব্যাটিং কৌশল। তাড়াহুড়োর পথে গেলো না। উইকেট হাতে রেখে লম্বা সময় পর্যন্ত ব্যাটিং করার পথে হাঁটলো তারা। রানের গতি বাড়াতে বড় কোনো ঝুঁকিই নিলো না। এক দুই করে সামনে বাড়লো। কিন্তু সেই কৌশলেও ম্যাচে হার বাঁচাতে পারলো না তারা। ক্রমশ রানরেট এত উচুঁতে গিয়ে পৌছালো যে সেই বাধা আর টপকাতে পারলো না প্রোটিয়েরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559496891739.jpg

রান তাড়ায় নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটিটা ভাঙ্গে ৪৯ রানে। মিরাজের স্পিনে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু মুশফিক সেই ক্যাচে হাতও লাগাতে পারেননি। বল যায় উইকেটের পেছনে। সেই বলে রান নেবো কি নেবো না-এই দোটানায় পড়ে সামনে বাড়েন ডি কক। মুশফিক সেই সুযোগে দুর থেকে থ্রো করেন। বল স্ট্যাম্পে। ডি কক রান আউট!

৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলার বয়স তখন ৯.৪ ওভার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি ৫১ রান যোগ করেন। সাকিব আল হাসান তার পঞ্চম ওভারে সাফল্য পান। মার্করামকে বোল্ড করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ছিলো সাকিবের ২৫০তম উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট শিকার ক্লাবে যোগ দিলেন সাকিব বেশ সাফল্যের সঙ্গেই। তার আগে আরো চারজন অলরাউন্ডারের এই কৃতিত্ব আছে। তবে সাকিব এই সংক্ষিপ্ত এলিট তালিকায় যোগ দিলেন সবচেয়ে কম মাত্র ১৯৯ নম্বর ম্যাচে। সেই হিসেবে তালিকার শীর্ষস্থানটা তারই থাকার কথা!

একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে ফাফ ডু প্লেসি স্কোরবোর্ড সচল রাখছিলেন। তবে লক্ষ্য অনেক বড়, তাই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কও ইনিংসটা লম্বা করার কৌশল নেন। তবে হাফসেঞ্চুরির খানিকবাদে তিনিও ফিরে গেলেন। ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় তার ৫৩ বলের ইনিংস ৬২ রানে থামিয়ে দেন মেহেদি মিরাজ। সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে মিরাজের স্পিনের কাছে হার মানেন ডু প্লেসি।

বিপদজনক হয়ে উঠা ডেভিড মিলারকে ফেরালেন মুস্তাফিজ। ভ্যান দের ডাসেন মারমুখি হতে গিয়ে উইকেট হারান। সাইফুদ্দিন তাকে বোল্ড করেন। শুরুর স্পেলটা সাইফুদ্দিনের ভালো কিছু হয়নি। কিন্তু নিজের ফিরতি স্পেলে ভ্যান দের ডাসেন এবং  ফেহলুকুওয়াওকে ফিরিয়ে সাইফুদ্দিন একাদশে তার অর্ন্তভুক্তির যোক্তিকতা প্রমান করলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559496946063.jpg

 ক্রমশ রানরেটের মাত্রা চড়তে শুরু করে। সেই জটিলতায় ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজের বোলারদের বুদ্ধিদ্বীপ্ত কায়দায় ব্যবহার করেন অধিনায়ক মাশরাফি।

সীমিত সম্পদ নিয়েও কিভাবে ম্যাচ জিততে হয়, এই ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফির কাছ থেকে সেই দক্ষতার দেখাই মিললো। সর্বোচ্চ আসরে আরেকজন নিজেকে চেনালেন সত্যিকারের সেরা হিসেবে; তিনি সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৮৪ বলে ৭৫ রান করলেন। ১০ ওভারে ৫০ রানে ১ উইকেট শিকার। এবং শূন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচও নিলেন অনবদ্য কায়দায়।

ক্রিকেট বিশ্ব তাকে কেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পদবী দিয়েছে-এবার বুঝলেন তো!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৩৩০/৬ (৫০ ওভারে, তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*, ফেলুকুওয়াও ২/৫২, মরিস ২/৭৩, ইমরান ২/৫৭)। দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০৯/৮ (৫০ ওভারে, ডি কক ২৩, মার্করাম ৪৫, ডু প্লেসি ৬২, মিলার ৩৮, ভ্যান দের ডাসেন ৪১, দুমিনি ৪৫, সাইফুদ্দিন ২/৫৭, মুস্তাফিজুর ৩/৬৭, মিরাজ ১/৪৪, সাকিব ১/৫০)। ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান

   

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;

আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবার বিদায় নিল প্লে-অফের আগেই। গতকালের প্লে-অফ নির্ধারণী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় চেন্নাই। তবে শেষ চারে পৌঁছাতে হলে ম্যাচটিতে ২০১ রান তুললেই হতো। তবে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থামল আরও ১০ রান আগে, ১৯১ রানে। এতে ২৭ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের পেসাররা ছিলেন বেশ খরুচে। পেসারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে কম ইকোনমি ছিল তুষার দেশপান্ডের, সেটিও ১২ দশমিক ২৫। এতেই আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আসরের শুরু থেকেই চোটের কারণে একাধিক ক্রিকেটারকে পায়নি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পেস বিভাগে। এতে এর আগেও নিজেদের পেস আক্রমণে মুস্তাফিজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুতুরাজ বলেন, ‘চোটের কারণে কনওয়ে নেই, পাশাপাশি - পাথিরানাও ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে আমরা ফিজকে বেশি মিস করেছি। কেননা, স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এই জিনিসগুলো স্বাভাবিক। আমার কাছে ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এখানে জিততে পারিনি, তাই আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এদিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। এদিকে সিমারজিত সিং ১ ওভার করেই দিয়েছেন ১৯ রান। তবে স্পিনাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। মিচেল সান্টনার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এদিকে মাহিশ থিকশানা কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৫ রান। এতে স্পিনারদের প্রশংসা করে রুতুরাজ আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। মৌসুমে ১৪ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ 

চেন্নাইয়ের হয়ে সবশেষ ১মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। যা এক আসরে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।  

;

‘নেভারলুজেন’ মৌসুম শেষ লেভারকুজেনের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাফিকার ৫৯ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে ইউরোপে কোনো ক্লাব হিসেবে টানা ৪৯ ম্যাচের রেকর্ডটি সপ্তাহখানেক আগেই গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। পরে বুন্দেসলিগায় এর আগের ম্যাচে বোখুমকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে অপরাজিত যাত্রা ফিফটি'র মাইলফলকটিও স্পর্শ করে তারা। রেকর্ড, কীর্তি, মাইলফলক। একের পর এক ম্যাচে এই তিনের কোনো একটি বিশেষণ যেন জুড়েই যাচ্ছে লেভারকুজেনের নামে। সেই যাত্রা বজায় থাকলো লিগের শেষ ম্যাচেও। গত রাতে অগসবুর্গকে ২–১ গোলে হারিয়েও অনন্য কীর্তিতে নিজেদের নাম তুলল ‘দ্য কোম্পানিস এলেভেন’ খ্যাত দলটি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্লাব লিগ শেষ করলো অপরাজিত থেকে। 

এ নিয়ে মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন। এতে তাদের সঙ্গে এই বিশেষণটা পুরোপুরি মানায়, বায়ার লেভারকুজেন এই মৌসুমে ‘নেভারলুজেন’। শব্দটির উৎপত্তি অবশ্য তাদের থেকেই। গত রাতে অপরাজিত মৌসুম শেষে করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের নতুন ডাকনাম দিয়েছেন ‘বায়ার জিরোফোর নেভারলুজেন’। 

অবিশ্বাস্য এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতল লেভারকুজেন। গত রাতে নিজেদের মাঠ বে অ্যারেনায় অগসবুর্গের ম্যাচটি লেভারকুজেনের শিরোপা উদযাপনের থাকেলও লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল জাভি আলোনসোর দলটি। বাকি ম্যাচগুলো ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচগুলোতেও নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেই মৌসুম শেষ করলো তারা। 

এই মৌসুমেই লেভারকুজেনের সম্ভাবনা আছে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ৫৩-তে নিয়ে যাওয়ার। যেটি হলে তাদের নামের পাশে বসে যাবে ট্রেবল খেতাব। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আতালান্তার বিপক্ষে নামবে লেভারকুজেনন। এর দুদিন পর ২৫ মে ডিএফবি-পোকালের (জার্মান কাপ) ফাইনালে কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে লড়বে তারা।

;

ফিরলেন মেসি, জয়ে ফিরল মায়ামিও 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও হাতাছাড়া হয়েছিল ইন্টার মায়ামির। লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর এর আগের ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ফ্লোরিডার দলটি। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকা দলে ফিরতেই জয়টাও ফিরে পেল তারা। মেসির ফেরার ম্যাচে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে একমাত্র গোলটি করে মায়ামিকে জয় এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা।

এ নিয়ে লিগে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকলো মায়ামি। এর আগে ১২ মে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে চোট পান মেসি। পরে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতে নিজেদের আগের ম্যাচে মেসিকে রাখা হয়েছিল দলের বাইরে। 

মেসির চোট যে গুরুতর ছিল না তা আগেই জানিয়েছিলেন মায়ামি কোচ মার্টিনো। তবে ঘন ঘন চোটে পড়ায় বাড়তি সতর্কতা বিবেচনায় এ ম্যাচের একাদশে মেসির ফেরা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। এবং ১-০ ব্যবধানের জয় পায় মায়ামি।  

এই জয়ে এমএলএসের (মেজর লিগ সকার) ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মায়ামি। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩১। এদিকে দুইয়ে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩০। 

;