বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাননি যেসব কিংবদন্তী ফুটবলাররা



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: অার কিছুদিন বাদে শুরু হচ্ছে ফুটবলের রোমাঞ্চকর অাসর বিশ্বকাপ। বর্তমান তারকারা অধরা শিরোপার স্বাদ পেতে ছুটবেন রাশিয়ায়। তবে এমন অনেক কিংবদন্তী ফুটবলার রয়েছে যাদের পায়ের যাদুতে অাজও বিমোহিত সমর্থকরা। সব পাওয়ার মধ্যেও সর্বকালের সেরা এ ফুটবলারা স্বাদ পায়নি বিশ্বকাপ শিরোপার।

এমন অাইকনদের নিয়ে বার্তা২৪.কমের অায়োজন-

অলিভার কান

অলিভার কান ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পযর্ন্ত জার্মানির শ্রেষ্ঠ ও সফল গোলরক্ষক। তার সময়ে জার্মানি চ্যাম্পিয়নশিপ, জার্মান কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছেন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ ইউরোপীয় গোলরক্ষক এবং দু'বার বর্ষসেরা জার্মান ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির মূল গোলরক্ষক ছিলেন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়ে গোল্ডেন বল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তবে এত কিছু অর্জনের পরও অল্পের জন্য বিশ্বকাপ ট্রফিটা অধরাই থেকে গেছে।

ওয়েন রুনি, ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার। ফুটবল ক্যারিয়ারও শেষ করেন সেরা পারর্ফমার হিসেবে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে বুট দিয়ে লাথি দেওয়ায় লাল কার্ড পান। এ ঘটনার সঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিজের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। তিনি অবসর নেন দেশের হয়ে বিশ্বকাপ না জেতার অাক্ষেপ নিয়ে।

মাইকেল লডরুপ, ডেনমার্ক

ডেনমার্কে এই খ্যাতিমান খেলোয়াড় ক্লাব ফুটবলে খ্যাতির চূড়ায় উঠেন। জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাজেক্সের হয়ে শিরোপা জিতেছেন। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ডেনমার্ক দলের মাইকেল লডরুপ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালেও ডেনমার্ককে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেও ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়।

রবার্তো ব্যাজিও, ইতালি

ইতালির সর্বকালের সেরা খেলোয়ার রবার্তো ব্যাজিও। ইতালির হয়ে খেলা তিন বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড়। তবে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারে ব্রাজিলের কাছে হেরে ট্রাজিক হিরোতে পরিণত হন।

রাউল গঞ্জালেস, স্পেন

স্পেনের সোনালী সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন রাউল গঞ্জালেস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জাতীয় ও মহাদেশীয় শিরোপা জিতে রের্কড রয়েছে। দু'বার বিশ্বকাপ দলের সদস্য হলেও বিশ্বকাপের স্বপ্ন অধরা থেকে যায় তার।

ইব্রাহিমোভিচ, সুইডেন

স্বয়ং ঈশ্বরের যদি বিশ্বকাপ অধরা থাকে তাহলে লজ্জার কিছু না, তবে ইব্রাহিমোভিচের কাছে তা লজ্জার। ফুটবলকে মহাকাব্যের রুপান্তর করা এ খেলোয়াড় ইউরোপ, অামেরিকা পর্যন্ত তার খ্যাতি কুড়িয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে সুইডেনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি বিশ্বকাপ। অবসর নেওয়ার পরও রাশিয়া বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পযর্ন্ত ফিরছেন না তিনি।

কার্ল-হেনজ রুমেনিগজ, জার্মানি

পশ্চিম জার্মানি দুই দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যান। ১৯৮২ সালে ইতালির কাছে ও ১৯৮৬ সালের অার্জেন্টিনার কাছে। বায়ার্ন মিউনিখকে একটি চমৎকার দলের পরিণত করা এ খেলোয়াড় দু‘বার ব্যালন ডি'অর নেন।

মাইকেল প্লাতিনি, ফ্রান্স

তিনবার ব্যালন ডি'অর জিতে নেন ফ্রান্সের এ কিংবদন্তী ফুটবলার। ন্যানসি ও জুভেন্টাসের হয়ে শিরোপার দেখা পেলেও বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরা স্বপ্নই থেকে যায় আক্রমণকারী এ মিডফিল্ডারের।

পাওলো মালদিনি, ইতালি

ক্লাব ফুটবলে এসি মিলানের হয়ে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেন পাওলো মালদিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলে ইতালিকে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০০০ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে নিয়ে যান

মার্কো ভ্যান বাস্তেন, নেদারল্যান্ড

সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। মার্কো ভ্যান বাস্তেন মাইকেল প্লাতিনি-ক্রুইফের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন বার ইউরোপের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন। তার সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে নেদারল্যান্ডের হয়ে প্রাপ্তিও কম নয়, বরং ঈর্ষনীয়। একমাত্র বিশ্বকাপ ছাড়া কোন অপ্রাপ্তি নেই।

জিকো, ব্রাজিল

এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার জিকোর হাতে বিশ্বকাপ উঠেনি। তার বিখ্যাত পাস অাজও বিশ্বকাপে উজ্জ্বল দৃ্ষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

ইউসেবিও, পর্তুগাল

পর্তুগালের এ ফুটবলারকে ফুটবলের নক্ষত্র বলা হয়। ১৯৬৫ সালে এই স্ট্রাইকার ব্যালন ডি‘অর জিতে নেন। তার নেতৃত্বে ১৯৬২ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জিতে নেয় পর্তুগাল। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে হার হাত ধরে সেমিফাইনাল খেলে পতুর্গাল।

ফেরেঙ্ক পুসকাস, হাঙ্গেরি

কিংবদন্তী স্ট্রাইকার ফেরেঙ্ক পুসকাস। জাতীয় দলের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৮৪ গোল। যা যেকোন স্ট্রাইকারের জন্য ঈর্ষনীয়। তার উপর আট বছরের মধ্যে তিনটি ইউরোপীয় কাপ ও পাঁচটি লীগ শিরোপা জিতেন। তবে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়েস্ট জার্মানির কাছে হেরে এ কিংবদন্তি অবিসংবাদিত ফুটবলার ট্র্যাজিক হিরোতে পরিণত হন।

আলফ্রেদো দি স্তেফানো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন

ডি স্টেফানো এমন প্রতিভাবান খেলোয়ার, কেবল ব্যালন ডি'অর জয় করেন নি, সুপার বলন ডি'অর জিতে নেন। পাঁচটি ইউরোপীয় কাপ জেতান রিয়াল মাদ্রিদকে। ফুটবলের সর্বকালের মহান এ খেলোয়াড় আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং স্পেন- এ তিন দেশের হয়ে অান্তজার্তিক ম্যাচ খেলেন। তবে একবারের জন্যও বিশ্বকাপ খেলা হয় নি তার।

জোহান ক্রুইফ, নেদারল্যান্ড

ইয়োহান ক্রুইফকে বলা হয় গেম মেকার। অাজকে বার্সোলানো হাতে হাতে গড়া দল। নেদারল্যান্ড ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপের পর ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে তার হাত ধরেই শিরোপার কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু ফাইনালে শেষ মিনিটে পশ্চিম জার্মানির কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয়।

ক্রিস্টিয়ানো রোলানদো, পর্তুগাল

৩২ বছর বয়সী ফুটবলের এ স্ট্রাইকারকে বিশ্বের প্রভাবশালী খেলোয়াড় বলা হয়। জীবনে নিজ দেশের হয়ে বিশ্বকাপ শিরোপার অতৃপ্তি ছাড়া না পাওয়ার কিছুই বাকি নেই। রাশিয়া বিশ্বকাপে হয়ত নামবেন, অধরা শিরোপা জয়ের মিশনে।

লিওনেল মেসি, অার্জেন্টিনা

অসাধারণ ক্যারিয়ারের সাফল্য যার হাতে মুঠোয়, অলিম্পিকে সোনা বিজয়ী ছাড়া দেশের হয়ে অার কোনো অান্তজার্তিক শিরোপা নেই। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ফিরতে হয় খালি হাতে। এবার অারেকটি মিশন, দেশ ও দেশের সমর্থকদের জন্য কিছু করার।

   

আতালান্তাকে হারিয়ে কোপা ইতালিয়া চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিয়ান শীর্ষ ক্লাব সেরি আ-তে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে টানা নয় আসরে লিগ চ্যাম্পিয়ন ছিল জুভেন্টাস। তবে ২০২০-২১ এ এসে তাদের রাজত্ব থামিয়ে লিগ শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। এরপর থেকে লিগ মৌসুমে থেকে শীর্ষ তিনেও জায়গা করতে পারেনি লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। এমনকি গত মৌসুমে দ্য লেডিরা ছিল শিরোপা শূন্য। সেই খরা কাটিয়ে তিন বছরে এই প্রথম শিরোপা জিতল জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচের একমাত্র গোলে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে আতালান্তাকে হারিয়েছে মাসসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলটি। 

সেরি আ-তে রেকর্ড ৩৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কোপা ইতালিয়া ইতিহাসেরও সবচেয়ে সফল দল। আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এই জয়ে রেকর্ড ১৫ বারের মতো কোপা ইতালিয়া জিতল জুভেন্টাস। 

রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আতালান্তার জালে বড় জড়ান ভ্লাহোভিচ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে পাস পেয়ে সেটি ধরে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে ডি-বক্সে চুকে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৭৩তম মিনিটে আরও একবার বল জালের জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভিএআরে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা হয়। 

এদিকে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠে ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপার দুয়ারে পৌঁছেছিল আতালান্তা। তবে শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও চলতি মৌসুমে আরও একটি সুযোগ থাকছে ক্লাবটির। উয়েফা ইউরোপা লিগেও ফাইনালে উঠেছে আতালান্তা। আগামী ২২ মে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে আরও একবার নামবে আতালান্তা। 

;

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রী 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলে অভিষেকটা প্রায় ১৯ বছর আগে। ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে গোলও করেছিলেন। সেখান থেকেই ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক নামের উত্থান, সুনীল ছেত্রী। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলের সোনালি এই অধ্যায়ের হতে চলেছে অবসান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ভারতের এই অধিনায়ক। 

ভারতের হয়ে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনন্য কীর্তি গড়েছেন সুনীল। এবং নিজের ১৫১তম ম্যাচ খেলেই অবসরে যাবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় নিজেই অবসরের ঘোষণা দেন সুনীল। 

আগামী ৬ জুন নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো নামবেন সুনীল। 

উপমহাদেশের কোনো ফুটবলারের বিশ্ব অঙ্গনেও কিংবদন্তি বনে যাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে সেটিই করে দেখিয়েছেন সুনীল। ১৫০ ম্যাচে করেছেন ৯৪ গোল। যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আলী দায়ই, লিওনেল মেসির পরের নামটাই সুনীলের। 

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সেই ভিডিও বার্তায় সুনীল বলেন, ‘একটা দিন জীবনে কোনো দিনও ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য সেই অনুভূতি। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিংহ) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না কেমন ছিল সেই অনুভূতি।’ 

বিদায় বেলায় এসে পুরো ক্যারিয়ারটা যেন চোখের সামনে ভাসছে ছেত্রীর। মনে করিয়ে দিচ্ছে নানা স্মৃতি।  ‘এটাই আমার শেষ ম্যাচ, এটা যখন নিজেকে বলি, তখন অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা অদ্ভুত। বিশেষ কিছু ম্যাচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। একাধিক কোচ, ভিন্ন ভিন্ন কিছু দলের কথা, বিভিন্ন মাঠের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার।’

জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল ছাড়াও সুনীলের খেতাবের তালিকাটাও বেশ চওড়া। তিনি ছয় বার জিতেছেন এআইএফএফ বর্ষসেরার পুরস্কার, ২০১১ সালে অর্জুনা পুরস্কার, ২০১৯ সালে জিতেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই ভারত পেয়েছে সাফ শিরোপা। এছাড়া  ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২ সালে নেহরু কাপ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ জিতেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। 

;

টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসরের শুরু নয় ম্যাচে হার কেবল একটি। নয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ছিল ১৬। সবার আগে শেষ চারীর টিকিট নিশ্চিতসহ অনায়াসেই শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়েই ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে আসরের গ্রুপপর্বের শেষ দিকে এসে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। গত মঙ্গলবার দিল্লির কাছে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পরই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থানের প্লে-অফের জায়গা। তবে এ নিয়ে টানা ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সঞ্জু স্যামসনের দলটি। 

প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অলরাউন্ড পারফর্মে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচ শেষের পয়েন্টটা আটকে থাকলো ১৬-তেই। এবং শেষ চারের টিকিট কনফার্ম থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে প্রথম কোয়ালিফায়ারের রাজস্থানের খেলা দাঁড়িয়েছে শঙ্কায়। 

এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। গত রাতের ম্যাচটি অধিনায়ক কারেনের ছিল এই আসরের শেষ ম্যাচ। কেননা জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হবে এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। আসরের শেষ ম্যাচে তাই খেলে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যাপ্টেনস নক। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন কারেন। 

গৌহাটির ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা। 

লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে আভেশ-বোল্টদের পেস তোপে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের জন্য। ৪৮ রানেওই হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আভেশ ও চাহাল, একটি পান বোল্ট। 

আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়। আগের দুটি ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলার ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না।  ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই। পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা। 

আসরের শুরু থেকে দাপুটে পারফর্মে লম্বা সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রাজস্থান। তবে একের পর এক হারে এবার শীর্ষে দুইয়ে জায়গা নিয়ে জেঁকেছে সংশয়।

;

মেসিবিহীন ম্যাচে মায়ামির হোঁচট 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর লিগ সকারের ইন্টার মায়ামির সবশেষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে মন্ট্রিয়েলের ডিফেন্ডার জর্জ ক্যাম্পবেল ফাউল করেছিলেন মেসিকে। তবে তখন প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি গতকালের লিগে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতেই এ ম্যাচে খেলেননি বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকা। 

এদিকে মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও যেন হাতছাড়া হলো মায়ামির। লিগে এর আগের টানা পাঁচ ম্যাচেই জিতেছিল তারা। তবে মেসিকে ছাড়া অরল্যান্ডোর বিপক্ষে ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লোরিডার দলটি। 

লিগে গতরাতের ম্যাচে জয়ের দেখা না পেলেও টানা ৮ ম্যাচে অপরাজিত আছে মায়ামি। এমএলএসের  ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে মেসি-সুয়ারেজদের দলই আছে শীর্ষে। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিনসিনাটি। 

এদিকে মেসিক না থাকলেও এদিন শুরু একাদশেই ছিলেন তার সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১১টি গোল করেছেন তিনি। যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এদিনও ম্যাচের শুরুতে পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সুয়ারেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন অরল্যান্ডো গোলরক্ষক। ম্যাচের বাকি সময়ে আধিপত্য সফরকারী মায়ামি দলের থাকেলও গোলের উদ্দেশ্যে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। 

;