পররাষ্ট্র সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার। রোববার (১০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. নাজমুল হক এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্যাডারের কর্মকর্তা মাসুদ মাহমুদ খোন্দকারকে সচিব/ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর/গ্রেড-এ, রাষ্ট্রদূত (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে তার পদোন্নতির আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পিআরএলে যাওয়া মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ থেকে আগেই নিঃশর্ত অব্যাহতি পান।
বিসিএস ১০তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে ফরেন সর্ভিসে যোগদান করেন মাসুদ মাহমুদ খন্দকার । পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী সচিব হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত লন্ডন ও ম্যানিলার বাংলাদেশ মিশনে প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব এবং কনস্যুলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার অনুবিভাগের ডেপুটি চিফ অব প্রটোকল এবং পররাষ্ট্র সচিবের দফতরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি উপ-হাইকমিশনার হিসেবে অটোয়া এবং ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ওই মিশনে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি দায়িত্ব পান ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে। ২০১১ সালের এপ্রিলে তাকে সার্ক ও বিমসটেক অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বিশ্রামের সুযোগ নেই। এরপরই বাংলাদেশ দল খেলতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ওই সফরে সাকিব আল হাসান দলে থাকবেন কীনা সেটিই ছিল প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল। রোববার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘোষিত দলে নেই সাকিব আল হাসান।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে না থাকলেও উইন্ডিজে যাচ্ছেন লিটন দাস। সাকিব না থাকায় ফের জায়গা মিলল হাসান মুরাদের। এই সিরিজেও অধিনায়ক থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ডেপুটি মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনজুরির কারণে দলে নেই মুশফিকুর রহিম।
আগামী ২২ নভেম্বর অ্যান্টিগায় শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৩০ নভেম্বর থেকে জ্যামাইকায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট ও শেষ টেস্ট। এরপরই ওয়ানডে সিরিজ। ৮, ১০ ও ১২ নভেম্বর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচই হবে সেন্ট কিটসে।
তারপরই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেন্ট ভিনসেন্টে ম্যাচ তিনটি হবে ১৫, ১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ টেস্ট দল-
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), শাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মাহিদুল ইসলাম অংকন, লিটন কুমার দাস (উইকেট কিপার), জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।
হারের বৃত্তে পেপ গার্দিওলা, জিততে ভুলে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি– কথাটা উদ্ভট শোনালেও সত্য এটাই। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পেপ গার্দিওলা বিশ্বের শীর্ষ এক কোচের নাম। ওদিকে শেষ এক যুগ ধরে ম্যানচেস্টার সিটি যেভাবে দাপট ধরে রেখেছে ইংলিশ ফুটবলে, তাতে কথাটা এখন বেমানান লাগে।
তবে চলতি মৌসুম গার্দিওলা আর সিটিকে নামিয়ে এনেছে মাটিতে। বিশেষ করে শেষ চার ম্যাচ। টটেনহ্যামের কাছে লিগ কাপের হার দিয়ে শুরু। এরপরও লিগে বোর্নমাউথ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিং লিসবনের কাছে হেরেছিল সিটিজেনরা।
সে বৃত্ত থেকে গত রাতেও বেরোনো হলো না। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের কাছে গত রাতে হেরেছে সিটি, সেটাও আবার প্রথমে গোল করে। ব্রাইটনের মাঠে ২৩ মিনিটে গোল করেন আর্লিং হালান্ড। বিরতিতে এই গোলের লিড নিয়েই গিয়েছিল সিটিজেনরা।
তবে শেষ ১৫ মিনিটে যত ভজকট পাকাল। ৭৮ আর ৮৩ মিনিটে জোয়াও পেদ্রো আর ম্যাট ও’রাইলির গোলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় সিটির।
তাতে অচেনা এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে সিটি। বর্তমান প্রজন্মের ম্যানসিটি সমর্থকরা এমন কিছু দেখেননি, তা নিশ্চিত। তারা দেখবেন কী করে? ২০০৮ সাল থেকে দলের মালিকানায় আসা এতিহাদ গ্রুপও তো এভাবে কখনও হারতে দেখেনি দলকে! টানা চার ম্যাচে হার, এমন কিছু দলটা যে সবশেষ দেখেছিল সেই ২০০৬ সালে!
ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও এমন কিছু তার কোচিং ক্যারিয়ারে দেখলেন প্রথম বারের মতো। ২০০৮ সাল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে কোচিং করাচ্ছেন তিনি, কখনও টানা চার ম্যাচে হারেনি তার কোনো দল।
সিটির এমন বাজে সময়ের ফায়দা ভালোভাবেই তুলছে লিভারপুল। দিনের অন্য ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। তাতে শীর্ষে তাদের সঙ্গে সিটির পয়েন্ট ব্যবধানটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৫ এ। লিভারপুলের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২৮। সিটি সমান ম্যাচে পেয়েছে ২৩ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল কোচ তিনি। তবে এবার যখন বিপিএল মাঠে গড়াবে, তখন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন থাকবেন না কোনো দলের ডাগআউটে, তার ভূমিকা বদলে গেছে এবার। তিনি এখন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ।
তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন বেশ কিছু দিন আগে। তার পরদিনই নেমে পড়েছেন কাজে। তবে তার পর থেকে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হননি। হয়েছেন আজ। এরপর তিনি কথা বলেছেন নিজের ভূমিকা, দলের পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে।
নতুন ভূমিকায় কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুভূতি একপাশে রেখে শতভাগেরও বেশি দিতে চান তিনি। বলেন, ‘আমার আসলে অনুভূতি খুব কম। অনুভূতি হয় না। কারণ এটা আমার পেশা। আমি যেই জার্সিতেই থাকি, সেটাতে পুরোটা দেওয়াই হচ্ছে আমার কাজ। আমি চাই যেন ১১০ পার্সেন্ট দিতে পারি।’
কোচ হওয়ার পর দেশের আপামর জনতার ভালোবাসাও টের পেয়েছেন সালাউদ্দিন। মানছেন, সে ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়াটা এখন তার ‘নৈতিক দায়িত্ব’। বললেন, ‘আমি যেহেতু পেশাদার কোচ, আমি যেখানে কাজ করবো, সেখানেই আমার পুরোটা দিতে হবে। অনূভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করবো যেন মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসছে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেওয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।’
সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে এবার কেমন হবে তার ভূমিকা? তার জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সহকারী কোচ, আর হেড কোচ আছে এখানে। সে কিভাবে দলটা চালাচ্ছে তাকে হেল্প করা সেই সাথে ক্রিকেটারদের যতটুকু পারি হেল্প করা। আমার রোলটা হয়তো একটু আলাদা হবে আগেরবারের তুলনায়। চেষ্টা করব ছেলেরা যেন আরো উন্নতি করে, বিদেশী কোচ আছে তাদের সঙ্গে ছেলেদের যোগাযোগটা যাতে আরো ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য থাকবে।’