প্রাপ্য সম্মানটুকু পাইনি- ক্রিস গেইল
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়েছেন ক্রিস গেইল। শুধু ঘুরে বেড়িয়েছেন। তা কিন্তু নয়। খেলার মাঠে তার অর্জনও কিন্তু কম নয়। কত-শত রেকর্ড যে তার সামনে মাথা নত করেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কিন্তু একটা আক্ষেপ এখনো পুড়িয়ে মারছে ক্যারিবিয়ান মারকুটে এ ওপেনারকে।
তা আক্ষেপটা কী? ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এতদিন ধরে খেলেও প্রাপ্ত সম্মানটা যে এখনো পাননি তিনি। এই কষ্টের আগুনই জ্বালিয়ে মারছে তাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ম্যানসি সুপার লিগের (এমএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি জোজি স্টার্স থেকে বিদায় নেওয়ার আগে এমন আক্ষেপটা ঝেড়েছেন গেইল।
চলতি আসরে জোজি স্টার্সের সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি এখনো পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে একটি জয়ের দেখাও পায়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০ বছরের এ তারকা ক্রিকেটার প্রোটিয়া এ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ছেড়েছেন ছয় ইনিংসে ১০১ রান সংগ্রহ করে। যার ৫৪ রান আসে গত রোববারের ম্যাচে।
ক্রিস গেইল মাঠে থাকলে তার প্রতি শুধু দল বা সতীর্থ নয়, ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রত্যাশাও থাকে বেশি। ধ্বংসাত্মক ইনিংসই সব সময় তার কাছে থাকে সবার চাওয়া। আর সেটা সম্ভব না হলেই হজম করতে হয় নানা গঞ্জনা। হতে হয় দলের গলগ্রহ।
তাসওয়ান স্পার্টানসের বিপক্ষে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত হার মেনে স্টার্সের এ সুপারস্টার সংবাদ সম্মেলনে করলেন তেমন বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘দুই-তিন ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারলে ক্রিস গেইল তখন দলের জন্য বোঝা হয়ে যায়।’
নিজে ব্যর্থ হলে তো কথাই নেই। দল ভালো করতে না পারলেও বলির পাঠা হতে হয় গেইলকেই। এটা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়। সব দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেরই সাধারণ চিত্র এটি। সেই দুঃখের কথাই জানালেন গেইল, ‘দুই, তিন, চার ম্যাচে রান না পেলেই ক্রিস গেইল সব সময় বোঝা। মনে হয় যেন নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি কেবল দলের জন্য বোঝা। এরপরই আপনি নানা কথা শুনবেন। আসলে আমি প্রাপ্য সম্মানটুকু পাচ্ছি না। লোকজন মনে রাখে না আপনি তাদের জন্য কী করেছেন। আমি কোনো সম্মানই পাইনি।’
খারাপ খেলতেই সমালোচনার বিষাক্ত তীর হজম করতে হয়। সেটা শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নয়। এটা চলে সব ধরনের ক্রিকেটেই। গেইলের কণ্ঠেই শোনা যাক ব্যাপারটা, ‘খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, হেড অব ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড মেম্বারস কারো কাছ থেকে ক্রিস গেইল কখনো সম্মান পায়নি। ক্রিস গেইল একবার ব্যর্থ হলেই শুনবেন, তার ক্যারিয়ার শেষ, সে ভালো নয়। সে সবচেয়ে খারাপ খেলোয়াড়। আরো অনেক কিছু। এসব বিষয় অতিক্রম করে এসেছি। এসবই আমি প্রত্যাশা করি। এসব নিয়েই বেঁচে আছি।’