বিপিএল শুরুর আগেই ‘গেইল গন্ডগোল’!
প্রতিবারের আসরে তাকে দলে টানার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে টানাটানি চলে। এবার যেহেতু ড্রাফটের নামে লটারি পদ্ধতি, তাই লটারিতে বিদেশি ক্রিকেটার তালিকায় প্রথম সুযোগ পেতেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স টি-টোয়েন্টির স্বঘোষিত ‘দ্যা ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইলকে দলে টেনে নেয়। লটারির সেই মুহূর্তে বিজয়ীর হাসিতে ছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এবারের অধিপতিরা।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএল শুরুর আগেই তাদের সেই হাসি উড়ে গেছে। ক্রিস গেইল এখন তাদের জন্য আশ্বাস নয়; বরং দুঃশ্চিন্তার অন্য নাম!
বিপিএলে প্রতিবার পারফরম্যান্স দিয়ে ক্রিকেটামোদিদের চমকে দেন ক্রিস গেইল। তবে এবার খেলা শুরুর আগেই তিনি যে আরও বড় ‘খেল’ দেখালেন! বুধবার হঠাৎ করেই ক্রিস গেইল এক ঘোষণায় জানিয়েছেন- ‘আমি জানি না সামনের দিনে আমার সামনে কোন ক্রিকেট অপেক্ষা করছে। দেখলাম কিভাবে আমার নাম বিপিএলে চলে গেল! দেখা গেল আমি একটা দলের ড্রাফটেও চলে গেলাম, অথচ আমি কিছুই জানলাম না। কিভাবে এসব হলো!’
অর্থাৎ ক্রিস গেইল দাবি করছেন তার অনুমতি না নিয়েই তার নাম বিপিএলের লটারিতে তোলা হয়েছে। তাকে একটা দল ড্রাফটে রেখেও দিয়েছে!
দক্ষিণ আফ্রিকায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিতে টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর সামনের সময়টা গেইল কিভাবে কাটাবেন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বিপিএল নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
-তাহলে পরিস্থিতি কি দাঁড়ালো?
গেইলের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি না নিয়েই কি তার এজেন্ট এবারের বিপিএল ড্রাফটে নামটা পাঠিয়েছিল? এদিকে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গেইলকে দলে টানা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দলীয় পরিচালক ও বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস সাফ জানিয়েছেন- ‘আমরা ড্রাফটের প্রথম সুযোগেই গেইলকে দলে নিয়েছি। তাকে রেখেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছি। এখন সে যদি না আসে তাহলে তো আমরা বড় সমস্যায় পড়ব। তাকে দলে নেওয়ার পর আমরা তো তার সঙ্গে আর্থিক বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করেছি। কিন্তু পেছনের কয়েক দিন ধরে তার কোনো সাড়া শব্দ আমরা পাচ্ছি না। আর এখন শুনছি সে এসব বলছে! বুঝতে পারছি না সমস্যাটা কোথায়?’
গেইলের এই গোলমেলে মন্তব্য প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন সুজন সাংবাদিকদের জানান- ‘এসব ক্ষেত্রে আমরা মানসম্মত প্রক্রিয়াই গ্রহণ করে থাকি। যখন কোনো খেলোয়াড় বা তার এজেন্ট আগ্রহ দেখায় তখন তার নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়। এটা একটা সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যেই হয়ে থাকে। এখন গেইল সম্পর্কে এমন তথ্য জানার পর আমরা সেই প্রক্রিয়াটা পুনরায় পরীক্ষা করেছি। দেখা গেছে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই তার নাম ড্রাফটে তোলা হয়ে ছিল।’
যদি প্রক্রিয়াটা ঠিকই হয়ে থাকে তাহলে গেইল আকস্মিক কেন এমন মন্তব্য করলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিসিবিও। সিইও জানান-‘প্লেয়ার্স এজেন্টের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
বিসিবি সব ঠিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ক্রিস গেইলের এমন বেফাঁস মন্তব্য নিশ্চয়ই বিপিএলের সুনাম বাড়াচ্ছে না- সেটা নিশ্চিত!