মুক্তার আলীর ৪ ছক্কায় চট্টগ্রাম ১৪৪
অন্তত তিনজন ব্যাটসম্যান উইকেটে সেট হলেন। কিন্তু স্কোর যে বড় করতে পারলেন না। সেই জটিলতায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের স্কোর কম রানে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে। কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুক্তার আলী। ৪ ছক্কায় মাত্র ১৪ বলে হার না মানা ২৯ রান করেন তিনি। সেই সুবাদেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৪৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলে।
মিরপুরের উইকেটে এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রান নেই-এমন অভিযোগ তোলার উপায় নেই। বল সহজেই ব্যাটে আসছে। কিন্তু রান তোলার জন্য ব্যাট হাতে দক্ষতাও যে দেখাতে হবে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা খুলনা টাইগার্সের বোলিংয়ের বিপক্ষে সেই দক্ষতা যে দেখাতে পারল না। তারপরও স্কোর যে ১৪৪ রানে পৌঁছাল, সেজন্য মুক্তার আলীকে একটা ধন্যবাদ দিতে পারে চট্টগ্রাম।
শফিউল ইসলামের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকে চট্টগ্রাম তুলে নেয় ১৬ রান। সেই ওভারের প্রথম দুটি বলই ওয়াইড করেন শফিউল। বৈধভাবে করা প্রথম বলেই মুক্তার আলী বিশাল ছক্কা হাঁকান। আর ঠিক ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কা। তাতেই জমা ১৬ রান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর পর মুক্তার আলী সজোরে প্যাডে নিজের ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন। আক্ষেপটা তার স্পষ্ট-‘আহ্ আমি যদি আরো কয়েকটা বল খেলতে পারতাম!’
ব্যাট হাতে ছোট্ট যে ঝড় তুলেন মুক্তার আলী, তাতে আরো খানিকটা আগে তিনি ব্যাটিংয়ে নামলে ১৪৪ রানের স্কোরকে চট্টগ্রাম ১৬০ এর ঘরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারতো।
সকালে বিমান থেকে নেমে সন্ধ্যায় এই ম্যাচে খেলতে নেমে পড়লেন লেন্ডল সিমন্স। ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ২৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৮ রান। ইমরুল কায়েস ১২ রান করে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন। আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা নাসির হোসেন এই ম্যাচে রান করার জেদ নিয়েই নামেন। ২৭ বলে ২৪ রান করেন নাসির হোসেন। পেসার শহিদুল ইসলামকে লং অফের উপর দিয়ে দুর্দান্ত একটা ছক্কা হাঁকান তিনি। ২৭ রানে তাকে থামিয়ে দেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ফলো থ্রুতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে নাসিরকে বিদায় করেন তিনি।
১৭ ওভারে ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারানো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসের শেষের কারিগর মুক্তার আলী। শেষের তিন ওভারে চট্টগ্রাম আদায় করে ৩৫ রান। যার ২৯ রানই আসে মুক্তার আলীর ব্যাটে।