ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রোয়েশিয়া ২: ইংল্যান্ড ১

স্বপ্নের মতো এক শুরু। ম্যাচের ৫ মিনিটেই লিড। মনে হচ্ছিল, ১৯৬৬ সালের পর ফের বুঝি বিশ্বকাপ ট্রফি তার 'দেশে' ফিরছে! কিন্তু সেই ব্যবধানটা ধরে রাখতে পারল না ইংল্যান্ড। এরপর ক্রোয়েশিয়া ছন্দে ফিরতেই গ্যালারিতে চুপসে গেল ব্রিটিশ হুলিগানরা। ক্রোয়াটরা সমতা ফেরাল ম্যাচে। অল ইউরোপিয়ান এই সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে সমতা। কিন্তু কে জানতো, এরপর অতিরিক্ত সময়ে ঝড় তুলবে ক্রোয়েশিয়া? বুধবার রাতে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে যোগ্য দলটাই জিতেছে। ১০৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের অসাধারণ এক গোলে অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এই গোলই দেশটির সোনালী প্রজন্মের ফুটবলারদের সামনে খুলে দেয় স্বপ্নের দরজা। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া!

১-২ গোলের হারের আক্ষেপ নিয়েই ফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভাঙল ইংল্যান্ডের। আর ক্রোয়েশিয়া উঠে গেল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে! ইংল্যান্ড এখন তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বেলজিয়ামের। যারা প্রথম সেমিফাইনালে হেরেছে ফ্রান্সের কাছে।

/uploads/files/yqNAmja83ApTiA3N2UrUmql3pJu3sIT16S9vZVar.jpeg

১৫ জুলাই বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার হাতছানি লুকা মডরিচদের সামনে! সঙ্গে আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস। বুধবার পিছিয়ে পড়েও ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে দল হারাল ২-১ গোলে। বিশ্বকাপের সেমিতে প্রথমে গোল করে হারের সবশেষ রেকর্ড ইতালির। ১৯৯০ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এগিয়ে গিয়ে তারা হেরেছিল টাইব্রেকারে।

বুধবার ম্যাচের শুরুতে উড়ন্ত সূচনা হয় থ্রি লায়ন্সদের। সেমিফাইনালের পঞ্চম মিনিটেই গোল! কিয়েরন ট্রিপারের অসাধারণ ফিনিশিং! জেস লিনগার্ডের ফ্লিকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান ডেল আলি। তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন লুকা মডরিচ। ব্যস, বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ইংল্যান্ড। ২০ গজ দূর থেকে নেয়া বাঁকানো ফ্রি কিকে গোলকিপার দানিয়েল সুবাসিচকে পরাস্ত করে দেখার মতো গোল ট্রিপারের। যেন ২০০৬ সালে ডেভিড বেকহামের সেই গোলের কথা মনে করিয়ে দিলেন। ফ্রিকিক থেকে বেকহ্যামের পর এটাই সরাসরি প্রথম গোল ইংলিশদের।

এরপর ম্যাচের ২২তম মিনিটে ইভান স্ত্রিনিচের ভুল পাসে বল পেয়ে যান রাহিম স্টার্লিং। বল বাড়িয়েছিলেন হ্যারি কেইনের কাছে। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় বড় বাঁচা বেঁচে যায় ক্রোয়েশিয়া। না হলে ০-২ গোলেই পিছিয়ে পড়তে পারতো। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু ফিরেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে ক্রোয়াটরা। ৬৫তম মিনিটে গোলের সুযোগও এসে যায়। কিন্তু ডি-বক্স থেকে ইভান পেরিসিচের ইংলিশ রক্ষণভাগের দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি। তবে ৬৮ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় তারা। সিমে ভারসালকোর ক্রসে লাফিয়ে উঠে পা ছুঁইয়ে দেন ইভান পেরিসিচ (১-১)।

চার মিনিট পর এগিয়ে যেতেই পারতো ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচের শট পিকফোর্ডকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আক্ষেপে পুড়ে ক্রোয়েশিয়া। এরপর ৮৩তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের দুর্দান্ত শট আরো দুর্দান্তভাবে আটকে দেন ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।

/uploads/files/o9YpoyrzRFRN9c0DJQOPhA2aRDe49uGEctQEVxqT.jpeg

এভাবেই শেষ হয় ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট। ফলাফল ঠিক করতে নকআউটের এই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর মারিও মানজুকিচের সেই মহামূল্যবান গোল। যা ৪৫ লাখ মানুষের দেশটিকে নিয়ে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১০৯তম মিনিটে ইভান পেরিসিচের হেডে বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ-পায়ে শট মানজুকিচের, বল চলে যায় ইংল্যান্ডের জালে। ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপে ডেভর সুকাররা দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। আর এবার সোনালী প্রজন্মের ফুটবলারদের হাত ধরে দল উঠে গেল ফাইনালে!

অন্যপ্রান্তে ৫২ বছর আবারো ট্রফি জয়ের কাছাকাছি এসেও ফিরে যেতে হল ইংল্যান্ডকে। আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন হ্যারি কেইনরা। তিনি অবশ্য ৬ গোল করে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে গোল্ডেন বুট জেতার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন। কিন্তু আক্ষেপ নিয়েই দেশে ফিরবেন তিনি। ট্রফি যে সোনার হরিণ হয়েই থাকল!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;