শুরু ও শেষের ঝড়ে ঢাকা ১৭২
ঢাকা প্লাটুনের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের সময়েই খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিক রহিমের চোখে-মুখে চিন্তার ছায়া! মাত্র পাঁচ ওভারে ঢাকার স্কোরবোর্ডে জমা ৪৪ রান। ঠিক একই দুঃশ্চিন্তার রেখা দেখা গেল মুশফিকের কপালে ঢাকার ইনিংসের শেষভাগেও। তিন ওভারে ঢাকা তুলল ৫২ রান।
শুরু ও শেষের এই দাপুটে ব্যাটিংয়ে ঢাকা প্লাটুন ২০ ওভারে তুলল ১৭২ রানের সঞ্চয়। সিলেটের বৃষ্টিভেজা স্লো উইকেটে এই রান প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য নেহাৎ কম নয়। সেই ভাবনাই মুশফিকের চিন্তা আরো বাড়াল!
ঢাকার প্রথম তিন ব্যাটসম্যান শুরুটা ভালোই করেন। তামিম ইকবাল ২৩ বলে করলেন ২৫ রান। সঙ্গী ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ১ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে এলো ১৫ রান। ওয়ানডাউনে মুমিনুল হক খেললেন ৩৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
আর শেষের দিকে ব্যাট হাতে আরিফুল হক ও পাকিস্তানি আসিফ আলী ঝড় তুললেন। শেষ তিন ওভারে এই দুজনে মিলে খুলনা টাইগার্সের বোলিং তছনছ করে দিলেন! শহিদুল তার শেষ ওভারে দিলেন ১৮ রান। মোহাম্মদ আমির খরচা গুনলেন ১২ রানের। আর ইনিংসের এবং নিজের শেষ ওভারটা শফিউল ইসলাম দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন। তিন ছক্কায় সেই ওভারে শফিউলের ব্যয় হলো ২২ রান। শেষ তিন ওভারে ঢাকা প্লাটুন যোগাড় করল ৫২ রান।
১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১১০ রান থেকে চোখের পলকেই ঢাকার স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ১৭২ রানে। সিলেটের বৃষ্টিভেজা এবং স্লো উইকেটে এই রান নিয়ে ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ নেই!
আরিফুল ৩০ বলে ৩৭ রান করেন। আর আসিফ আলী ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখান। মাত্র ১৩ বলে এই পাকিস্তানি করেন অপরাজিত ৩৯ রান। যেখানে বাউন্ডারি দুটি এবং ছক্কা চারটি। শেষের ১০ ওভারে ঢাকা রান তুলে ১০৫ রান। তাতেই স্কোর ১৭৩ রানের সবল স্বাস্থ্য পায়।
৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট শিকারি এই ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের সেরা মোহাম্মদ আমির অবশ্য আশাবাদী-‘মানছি ঢাকার স্কোরটা একটু বেশি হয়ে গেছে। আসিফ আলী শেষের দিকে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমাদের দলেও বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান আছে। আশা করছি, আমরা ঢাকার এই স্কোর ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
তাই কি?
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা প্লাটুন: ১৭২/৪, ২০ ওভার (তামিম ২৫, এনামুল ১৫, মুমিনুল ৩৮, আরিফুল ৩৭* ও আসিফ ৩৯*; আমির ২/২৭, আমিনুল ১/১৫ ও শফিউল ১/৪৪)।