স্পোর্টস চ্যানেল আসছে- সুখবর দিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের কমতি নেই। প্রতিবছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন সব নাম। কিন্তু খেলাধুলার চ্যানেল নেই একটিও। অথচ দর্শক আগ্রহে সবচেয়ে এগিয়ে স্পোর্টস। ক্রিকেটের আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা তো আছেই। এবার খেলার চ্যানেলের অপ্রাপ্তি ঘুচবে। সুখবর দিয়েছেন খোদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
সরকার বেশ কয়েকটি স্পোর্টস চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানালেন তিনি। রাজধানীর কুষ্টিয়া ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনিয়ে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ স্পোর্টস কমেন্ট্রেটরস ফোরাম আয়োজিত নবীন ধারাভাষ্যকারদের নিয়ে রিফ্রেশারস কোর্সের সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে নেপথ্যে থেকে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন, 'ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারদের ভূমিকা অনবদ্য। ক্রীড়া ধারাভাষ্যকাররাই বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ক্রিকেটের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। সময় এসেছে তাদের কাজের স্বীকৃতি দেবার। তাদের যথার্থ মূল্যায়নের।'
জাহিদ আহসান রাসেল আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ সর্ব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি স্পোর্টস চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন। তাই স্পোর্টস কমেন্ট্রেটরদের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে।'
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ স্পোর্টস কমেন্ট্রেটরস ফোরামের নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দিয়েছেন। এছাড়া লিজেন্ড ধারাভাষ্যকারদের নামে কমেন্ট্রি বক্স নামকরণসহ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে ধারাভাষ্যকারদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। ধারাভাষ্যে বাংলা ভাষা ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্পোর্টস কমেন্ট্রেটরস ফোরামের সভাপতি আলফাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি শামীম আশরাফ চৌধুরী, সহ সভাপতি ড. অনুপম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. সাইদুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।