টেনিস ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে শারাপোভা
ইউএস ওপেনের পর এই প্রথম টানা দুটি টুর্নামেন্টে খেললেন মারিয়া শারাপোভা। কাঁধের চোট কাটিয়ে কোনোমতে অংশ নিলেন ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। টুর্নামেন্ট দুটি হলেও ফল কিন্তু একই। প্রথম রাউন্ডেই বিদায়।
২০১০ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম ম্যাচ খেলেই বিদায় নিলেন শারাপোভা। বছরের এ প্রথম মেজর আসরের আগের তিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরেও প্রথম রাউন্ডেই হার মেনেছেন তিনি।
ফলই বলে দিচ্ছে রাশিয়ান এ সুন্দরীর কোর্টের লড়াইয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে র্যাঙ্কিংয়েও। এখন ১৪৫তম স্থানে থাকলেও খুব শিগগিরই র্যাঙ্কিংয়ের ৩৫০ জনের পিছনে চলে যাচ্ছেন সাবেক এ নাম্বার ওয়ান।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলবেন কিনা না সিদ্ধান্তটা এখনই নিয়ে উঠতে পারছেন না। কারণ চোটের সঙ্গে লড়ে পারফরম্যান্সটাই যে শারাপোভার ভালো হচ্ছে না।
তাহলে কি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবারই শেষবারের মতো খেললেন? কিন্তু প্রশ্নের উত্তরটা যে জানেন না শারাপোভা নিজেই, ‘আমি জানি না। আমি জানি না।’
শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই নয়, টেনিস ক্যারিয়ারটা ঠিক আর কত দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন সেটা নিয়েও সংশয়ে আছেন পাঁচবারের এ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী, ‘আগামী ১২ মাসে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা বলা আমার জন্য কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার জন্য ওয়াইল্ডকার্ড দেওয়ায় আয়োজকদের প্রতি কৃজ্ঞতা জানান ৩২ বছরের এই টেনিস গ্রেট। অনেক লড়াই শেষে মেলবোর্নের এ আসরে খেলেও জয় না পেয়ে যারপরনাই হতাশ তিনি।
প্রথম রাউন্ডে ডোনা ভেকিচের কাছে ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে হার মানেন শারাপোভা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভা, স্পেনের গার্বিন মুগুরুজা, রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ ও জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবার।
ছেলেদের এককে প্রথম রাউন্ডে জিতেছেন স্প্যানিশ সুপারস্টার রাফায়েল নাদাল ও সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ।