সিকান্দার রাজাকেও ফেরালেন নাঈম

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মিরপুর থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নাঈম হাসানের উইকেট উদযাপন, ছবি: বিসিবি

নাঈম হাসানের উইকেট উদযাপন, ছবি: বিসিবি

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বল হাতে একাই ম্যাজিক দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সফরকারীদের প্রথম চার উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন নাঈম হাসান। উইকেটে টার্ন পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন এই স্পিনার। চা বিরতি থেকে এসেই তার শিকার সিকান্দার রাজা।

একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতির পর সফরকারীদের ১ম ইনিংসে সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৪ ওভারে ১৮১ রান। রাজা ফিরে গেলেন ১৮ রানে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মিরপুরের উইকেটে দাপুটে স্বাগতিক বোলারদের সামাল দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। রান তোলায় ধীরগতি থাকলেও সবুজ উইকেটে প্রথম দুটো সেশন মন্দ কাটেনি জিম্বাবুয়ের। শনিবার সকালে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যটা সঙ্গে ছিল না মুমিনুল হকের। শুরুতে বল করতে নেমে অবশ্য প্রথম সেশনেই মেলে উইকেট। পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন। আউট করেন কেভিন কাসুজাকে। রাহীর অফ স্টাম্পের বাইরের বল সুইং করে কাসুজার (২) ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে নাঈম হাসানের হাতে।

শুরুর সেই ধাক্কা সামলে উঠে জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ১ উইকেটে ৮০ রান তুলে তারা। প্রিন্স মাসভাউরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিলেন সবকিছু। দু'জন মিলে ৯৪ বলে জুটির ফিফটি তুলে নেন।

বিজ্ঞাপন

তারপর ১০৪ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন মাসভাউরে। অন্য প্রান্তে আরভিনও ছিলেন সাবলীল। স্পিন-পেসে রান আটকাতে পারলেও তাদের বিচলিত করতে পারছিলেন না এবাদত, রাহী, নাঈম আর তাইজুল ইসলামরা।

তবে প্রাণও দিয়েছেন ফিল্ডাররা। নাঈম হাসানের পরপর দুই ওভারে জীবন পান প্রিন্স মাসভাউরে। এই ওপেনারের তুলে দেওয়া ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর লিটন দাসও ফেলে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ভাসানো ক্যাচ।

শেষ অব্দি নাঈম হাসানেরই শিকার হলেন মাসভাউরে। শতরানের জুটি গড়ে ফিরেন এই ওপেনার। ১৫২ বলে ৬৪ রানে থামেন তিনি। আরভিনকে নিয়ে মাসভাউরের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৪১ বলে তুলেন ১১১ রান। এরপরই অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকেও (১০) ফিরিয়ে দেন স্পিনার নাঈম। তার জোড়া আঘাতে ম্যাচেও ফেরে টাইগাররা।

অন্যপ্রান্তে ফিফটি তুলে নেন আরভিন। ১১৭ বল এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। চা বিরতির সময় ১৪৪ বলে তার ব্যাটে ৬০ রান। সঙ্গে সিকান্দার রাজাও খেলতে থাকেন দেখে-শুনে। তবে এই জুটি জমে যেতেই ফের আঘাত হানেন নাঈম। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রাজা। করেন ৬২ বলে ১৮ রান।

আরভিনের (৭৩) একাই পথ দেখাচ্ছেন দলকে। সত্যিকারের অধিনায়কের মতোই খেলে যাচ্ছেন তিনি।