মুশফিকের দেড়শ, রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মিরপুর হোম অব ক্রিকেট থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম, ছবি: সংগৃহীত

ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম, ছবি: সংগৃহীত

আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় দিন চা বিরতির পরই দেড়শ রানের মাইলফলক পেরোলেন এই ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটেই বড় লিডের পথে বাংলাদেশ দল।

ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির পর এ রিপোর্ট লেখার সময় ১ম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৫.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৬৫ রান। এর আগে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে টাইগার বোলাররা। ২০০ রানের লিড স্বাগতিকদের।

বিজ্ঞাপন

মুশফিক ১৫৭ ও লিটন দাস ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

সত্যিকার অর্থে প্রথম সেশনটা স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের। কোনো উইকেট পতন নেই। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ বিরতি থেকে ফিরেই ছন্দপতন। দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুমিনুল হক। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন দ্রুত অনুসরণ করলেন অধিনায়ককে। তারপরও ঠিক পথেই আছে দল। টেস্টে ২১বার চারশ স্পর্শ করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চমবার দল পেল এমন সংগ্রহ।

বিজ্ঞাপন

টেস্ট শুরুর আগে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুমিনুল হক। কথা রেখেছেন অধিনায়ক। তৃতীয় দিন সকালেই পা রাখেন তিন অঙ্কে। তবে শেষটা নিয়ে নিশ্চয়ই আক্ষেপ থাকবে তার। কারণ আইন্সলে এনডিলোভুকে এভাবে উড়িয়ে মারার চেষ্টা না করলেও পারতেন। কিন্তু বোলারের মাথার ওপর দিয়ে বল সীমানার বাইরে ফেলা হলো না। ক্যাচটা নিজেই নিলেন এনডিলোভু। মুমিনুলকে ফিরিয়ে এই বাঁহাতি নেন নিজের প্রথম উইকেট।

২৩৪ বলে ১৪ চারে ১৩২ রান তুলে ফেরেন মুমিনুল। তার আগে মুশফিক-মুমিনুল চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২২২ রানের জুটি। টেস্টে দশমবারের মতো দুইশ কিংবা এর বড় জুটি পায় বাংলাদেশ।

একইসঙ্গে এই জুটি উঠে যায় নতুন উচ্চতায়। এতো দিন টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এবং মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম জুটির। তাদের টপকে গেলেন মুমিনুল ও মুশফিক। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে- মুমিনুল-মুশফিক মিলে তিনটি দুইশ রানের জুটি গড়েছেন। এরমধ্যে ২০১৮ সালে মিরপুরেই চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬৬ রানের জুটি।

সোমবার লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল। লাঞ্চের পর মুশফিক পেয়ে যান সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ৩২ রানে সোমবার মিরপুরে টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে গড়ে তুলেন দারুণ একটা জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি আসে ১০০ বলে। একশ হয় ১৮০ বলে। ২৫১ বলে দেড়শ স্পর্শ করে তাদের জুটির রান। আর মুশফিক ৯৫ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৬০ বলে করেন সেঞ্চুরি। ২৫৪ বলে করেন দেড়শ রান।

মুমিনুল হক ৭৯ রানে শেষ করেন আগের দিন। দেশের মাটিতে নেতৃত্বের অভিষেকেই তুলে নেন শতরান। জিম্বাবুয়ের বোলার ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলেন শতক। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পেয়ে গেলেন তার নবম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯ সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে।

তবে মুমিনুলকে ছাড়িয়ে এখন আলোচনায় মুশফিক। তার ব্যাটেই রান পাহাড় গড়ার পথে টাইগাররা।