করোনাকালেই ফুটবল মাঠে ফিরল
অন্তত একটা জয়ের খবর মিলল!
করোনাভাইরাসকে হারিয়েছে ফুটবল। দু’মাস স্থগিত থাকার পর মাঠের ফুটবল অ্যাকশনে ফিরেছে। জার্মানির ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগার খেলা দিয়েই করোনাভাইরাসের কালে মাঠে ফিরেছে ফুটবল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই বুন্দেসলিগা শুরু হয়েছে। শনিবার, ১৬ মে নতুন করে শুরু হওয়া লিগ ম্যাচে ডর্টমুন্ড ৪-০ গোলে হারিয়েছে শালকেকে।
পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দর্শকশূন্য গ্যালারিতে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দর্শকশূন্য গ্যালারিতেই বাকি ম্যাচগুলোও চলবে। খেলোয়াড়-কোচ-প্রশাসক সব মিলিয়ে ডর্টমুন্ডের বিশাল স্টেডিয়ামে মাত্র তিনশ লোকের উপস্থিতি ছিল।
ডাগআউটে বদলি খেলোয়াড়, কোচ ও সহকারী কোচ সবার মুখে মাস্ক ছিল। ম্যাচ শেষে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামের বিখ্যাত হলুদ দেয়ালের দিকে তাকিয়ে বার কয়েক হাত উঁচিয়ে আনন্দ করে। অন্য সময় হলে স্টেডিয়ামের হলুদ সেই দেয়ালের চারধার থেকে হাজারো সমর্থকদের উল্লাস ধ্বনি শোনা যেত। কিন্তু এদিন যে গ্যালারি দর্শকশূন্য!
এই ম্যাচেই ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল পাঁচজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামাল। ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে মাঠে ফুটবল ফেরার আনন্দক্ষণের জন্যই এই ম্যাচ বেশি আলোচিত হয়ে থাকবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কড়া প্রটোকল মেনে এই ম্যাচ শুরু হয়। মাত্র ১০ জন টেলিভিশন রিপোর্টার এই ম্যাচ কাভার করার অনুমতি পান। ক্যামেরার দায়িত্বে থাকা সবাইকে মুখে মাস্ক ও হাত গ্লাভস পরতে হয়েছে। প্লাস্টিকের তৈরি শিল্ডের অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে কোনো সংবাদ সম্মেলন বা মিক্সড জোনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। মাঠে কোনো মাসকট ছিল না। খেলোয়াড়দের হাত ধরে শিশুদের প্রবেশের বিধিতে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। ম্যাচ শুরুর আগে উভয় দলের খেলোয়াড় এবং রেফারির সঙ্গে হ্যান্ডশেকের সামাজিকতাও বাতিল করা হয়।
টিভি পর্দায় লম্বা সময় পরে দর্শকরা কোনো ম্যাচ সরাসরি উপভোগ করলেন।