নিজের মধ্যে থাকা চ্যালেঞ্জকেই  ‘সব’ বলছেন তামিম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শুধু ব্যাটিং নয়, চিন্তাভাবনার দিগন্তও তার একটু বেশি চওড়া। ক্রিকেট যে শুধু নিরেট ব্যাট-বলের খেলা নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক অনুষঙ্গও জড়িত। আর মাঠের ক্রিকেটে ভাল কিছু করতে হলে এমনসব উপাদানকে একসঙ্গে যোগ করতে হবে।

তবেই সাফল্য!

তামিমের ক্রিকেট দর্শন তাই।

এশিয়া কাপের জন্য দলের অনুশীলন এখনো শুরু হয়নি। সামনে কোরবানি ঈদের ছুটি শুরু হবে। তবে এরই মধ্যে নিজের ব্যাটিংকে সতেজ করতে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সকাল সকালই চলে এলেন তামিম ইকবাল। লম্বা সময় ধরে নেটে অনুশীলন সারলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দিলেন লম্বা এক আড্ডা। ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফর, নিজের ব্যাটিং, সাকিবের সঙ্গে জুটিতে ব্যাটিং, ওপেনিংয়ে সম্ভাব্য সঙ্গী, এশিয়া কাপসহ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ-ক্রিকেট গল্পে উঠে এল বিভিন্ন দিক।

তামিম যখন খেলেন তখন গ্যালারির দর্শক মোহিত তার ব্যাটিংয়ে। আর যখন কথা বলেন তখন সামনের শ্রোতা মুগ্ধ তার বচনে। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তামিমের ব্যাখা-বিশ্লেষণটা সত্যিকার অর্থেই বাঁধিয়ে রাখার মতোই। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চেয়ে ক্রিকেটারদের নিজেদের জোস, জেদ এবং জয়ী হওয়ার ব্যক্তিগত তাগিদ বাড়ানোকেই সবকিছু মানছেন তামিম-‘ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে। আপনি দুনিয়ার সব সুযোগ সুবিধা দিতে পারেন, কিন্তু খেলোয়াড়দের মধ্যে যদি চ্যালেঞ্জটা না থাকে তাহলে কোন লাভ নেই।

সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হলো নিজেদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকাটা। ভালো করার স্পৃহা থাকতে হবে। বোলিংয়ের কথা যদি বলি, বোলারদের লম্বা স্পেল বোলিং করার চেষ্টা করতে হবে। এটা নিজের সাথে নিজের চ্যালেঞ্জ, কি আমার পক্ষে আছে আর কি আমার পক্ষে নেই এইসব না ভেবে ভালো করার  চেষ্টা করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমাদের প্রথম  টেস্টের কথাই ধরুন, আমরা তো সেখানে গিয়ে তর্ক করতে পারি না যে আমাদের ফ্ল্যাট উইকেট দেন। কন্ডিশন যেটা ছিল সেটাকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া উচিত ছিল সেটা আমরা নিতে পারি নি। এমন অনেক টেস্ট সিরিজ আছে যেখানে আমরা ভালো করেছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ভালো করেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই কথা, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। ১০ জন গড়পড়তা যা চিন্তা করে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আপনাকে আলাদা চিন্তা করতে হবে। ভাবতে হবে, এই ফরম্যাটে এই উইকেটে আমি নিজেকে কিভাবে ভালো করতে পারি? ব্যক্তি যদি নিজে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় তাহলে সহজ হয়ে যাবে।

বোর্ডের তরফ থেকে যা দেয়া দরকার তারা দিচ্ছে। এরচেয়ে বেশি আর কি আশা করতে পারি। একটা ভালো মাঠ দিচ্ছে, উইকেট দিচ্ছে, সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এরচেয়ে বেশি তো আর তারা দিতে পারে না। তারা তো আমাদের হাত ধরে খেলিয়ে দিতে পারবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্ব হলো ওই অবস্থা থেকে আমাদের নিজেদের জন্য ভালো পারফর্মেন্সটা বের করে নিয়ে আসা।

সামনের মাসের এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশিদুরের চিন্তায় না গিয়ে তামিম শুধু শুরুর দুই ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবছেন। পরিকল্পনার পুরোটা জুড়েই এখন আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ। বললেন-প্রথম দুই ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে হবে। এখন শুধু সেই প্রস্ততিই নিচ্ছি আমরা। আমরা যদি এখনই ফাইনাল বা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চিন্তা করি তবে সেটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিততে হবে। প্রথম দুই প্রতিপক্ষ নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা করা উচিত।

এশিয়া কাপ এবং এশিয়া কাপের সব প্রতিপক্ষ-কোনকিছুই বাংলাদেশ দলের জন্য নতুন কিছু নয়। সেই কথা জানিয়ে তামিম বলছিলেন- আমরা এমন কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবো না, যাদের সঙ্গে আমরা এর আগে কখনো খেলিনি। আমরা সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলেছি। আর ভাল খেলে আমাদের দিনে ওদের হারিয়েছিও। এখন এই টুর্নামেন্টেও আমাদের কাজ ভাল ক্রিকেট খেলা। সেরা ক্রিকেট খেলা।

   

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;

আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবার বিদায় নিল প্লে-অফের আগেই। গতকালের প্লে-অফ নির্ধারণী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় চেন্নাই। তবে শেষ চারে পৌঁছাতে হলে ম্যাচটিতে ২০১ রান তুললেই হতো। তবে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থামল আরও ১০ রান আগে, ১৯১ রানে। এতে ২৭ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের পেসাররা ছিলেন বেশ খরুচে। পেসারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে কম ইকোনমি ছিল তুষার দেশপান্ডের, সেটিও ১২ দশমিক ২৫। এতেই আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আসরের শুরু থেকেই চোটের কারণে একাধিক ক্রিকেটারকে পায়নি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পেস বিভাগে। এতে এর আগেও নিজেদের পেস আক্রমণে মুস্তাফিজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুতুরাজ বলেন, ‘চোটের কারণে কনওয়ে নেই, পাশাপাশি - পাথিরানাও ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে আমরা ফিজকে বেশি মিস করেছি। কেননা, স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এই জিনিসগুলো স্বাভাবিক। আমার কাছে ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এখানে জিততে পারিনি, তাই আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এদিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। এদিকে সিমারজিত সিং ১ ওভার করেই দিয়েছেন ১৯ রান। তবে স্পিনাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। মিচেল সান্টনার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এদিকে মাহিশ থিকশানা কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৫ রান। এতে স্পিনারদের প্রশংসা করে রুতুরাজ আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। মৌসুমে ১৪ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ 

চেন্নাইয়ের হয়ে সবশেষ ১মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। যা এক আসরে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।  

;

‘নেভারলুজেন’ মৌসুম শেষ লেভারকুজেনের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাফিকার ৫৯ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে ইউরোপে কোনো ক্লাব হিসেবে টানা ৪৯ ম্যাচের রেকর্ডটি সপ্তাহখানেক আগেই গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। পরে বুন্দেসলিগায় এর আগের ম্যাচে বোখুমকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে অপরাজিত যাত্রা ফিফটি'র মাইলফলকটিও স্পর্শ করে তারা। রেকর্ড, কীর্তি, মাইলফলক। একের পর এক ম্যাচে এই তিনের কোনো একটি বিশেষণ যেন জুড়েই যাচ্ছে লেভারকুজেনের নামে। সেই যাত্রা বজায় থাকলো লিগের শেষ ম্যাচেও। গত রাতে অগসবুর্গকে ২–১ গোলে হারিয়েও অনন্য কীর্তিতে নিজেদের নাম তুলল ‘দ্য কোম্পানিস এলেভেন’ খ্যাত দলটি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্লাব লিগ শেষ করলো অপরাজিত থেকে। 

এ নিয়ে মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন। এতে তাদের সঙ্গে এই বিশেষণটা পুরোপুরি মানায়, বায়ার লেভারকুজেন এই মৌসুমে ‘নেভারলুজেন’। শব্দটির উৎপত্তি অবশ্য তাদের থেকেই। গত রাতে অপরাজিত মৌসুম শেষে করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের নতুন ডাকনাম দিয়েছেন ‘বায়ার জিরোফোর নেভারলুজেন’। 

অবিশ্বাস্য এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতল লেভারকুজেন। গত রাতে নিজেদের মাঠ বে অ্যারেনায় অগসবুর্গের ম্যাচটি লেভারকুজেনের শিরোপা উদযাপনের থাকেলও লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল জাভি আলোনসোর দলটি। বাকি ম্যাচগুলো ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচগুলোতেও নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেই মৌসুম শেষ করলো তারা। 

এই মৌসুমেই লেভারকুজেনের সম্ভাবনা আছে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ৫৩-তে নিয়ে যাওয়ার। যেটি হলে তাদের নামের পাশে বসে যাবে ট্রেবল খেতাব। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আতালান্তার বিপক্ষে নামবে লেভারকুজেনন। এর দুদিন পর ২৫ মে ডিএফবি-পোকালের (জার্মান কাপ) ফাইনালে কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে লড়বে তারা।

;

ফিরলেন মেসি, জয়ে ফিরল মায়ামিও 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও হাতাছাড়া হয়েছিল ইন্টার মায়ামির। লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর এর আগের ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ফ্লোরিডার দলটি। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকা দলে ফিরতেই জয়টাও ফিরে পেল তারা। মেসির ফেরার ম্যাচে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে একমাত্র গোলটি করে মায়ামিকে জয় এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা।

এ নিয়ে লিগে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকলো মায়ামি। এর আগে ১২ মে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে চোট পান মেসি। পরে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতে নিজেদের আগের ম্যাচে মেসিকে রাখা হয়েছিল দলের বাইরে। 

মেসির চোট যে গুরুতর ছিল না তা আগেই জানিয়েছিলেন মায়ামি কোচ মার্টিনো। তবে ঘন ঘন চোটে পড়ায় বাড়তি সতর্কতা বিবেচনায় এ ম্যাচের একাদশে মেসির ফেরা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। এবং ১-০ ব্যবধানের জয় পায় মায়ামি।  

এই জয়ে এমএলএসের (মেজর লিগ সকার) ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মায়ামি। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩১। এদিকে দুইয়ে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩০। 

;