করিম বেনজামার ভ্যাকুয়াথেরাপি
মুটিয়ে যাওয়ার একটু ধাত আছে করিম বেনজামার দৈহিক গড়নে। লম্বা সময় ধরে ফিটনেস সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাকে। তাই নিজেকে সবসময় ফিট রাখতে ভীষণ তৎপর রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। ফিটনেস ঠিক রাখতেই আরেকবার ভ্যাকুয়েম থেরাপি নিয়েছেন। গেল বছরও এই থেরাপি নিয়েছিলেন একবার। ভীষণ কাজে দিয়েছিল সেটা তার। এবারো ফিটনেসের তাগিদে সেই থেরাপিই নিলেন।
ভ্যাকুয়েম থেরাপির এই তথ্য ও ছবি পোষ্ট করে করিম মোস্তফা বেনজামা লেখেন-‘আলহামদুলিল্লাহ!’ সকল প্রশংসা আল্লাহ’র। আলজেরিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান বেনজামার জন্ম ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের লিও শহরে।
ভ্যাকুয়েম থেরাপি একধরনের ম্যাসাজের পদ্ধতি। সাকসান কাপ ব্যবহার করে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে শরীরের চামড়ার উপরিভাগ ফুলিয়ে এই ম্যাসাজ করা হয়। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার জন্যও অনেকে এই ভ্যাকুয়াথেরাপি ব্যবহার করেন। শরীরে ছুরি-কাঁচির আঁচড় বা অস্ত্রোপচার যারা লাগাতে চান না, তাদের জন্য এই থেরাপি বেশ জনপ্রিয়। তবে এটি স্থায়ী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। তাছাড়া চামড়ার উপরিভাগ যখন সঙ্কুচিত হয় তখন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও সহ্য করতে হয়। তবে এই থেরাপি খুব বেশি ব্যয়বহুল কিছু নয়।
করিম বেনজামা তার পিঠে এই থেরাপি নিয়েছেন। এই থেরাপি নেয়ার পর তার ঘাড়ের পেছন থেকে একেবারে শিরদাঁড়ার নিচ পর্যন্ত এবং দুই পাশের পাঁজরের পেছনের অংশে চামড়া ফুলে উঠার পরিস্কার চিহ্ন ফুটে উঠেছে।
এটি থেরাপি মূলত চীনের চিকিৎসা পদ্ধতি। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল অনেক সহজ ও মুক্ত প্রক্রিয়া পায়।
লা লিগায় চলতি মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৭ গোল করেছেন করিম বেনজামা। ফ্রান্স জাতীয় দলে বেনজামার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্স দলে জায়গায় হয়নি তার। সেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স।