‘টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ও ইকোসিস্টেম ব্যবসাবান্ধব করুন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ও ইকোসিস্টেম ব্যবসা-বান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছে এই খাতের নীতি-নির্ধারক ও প্রতিনিধিরা। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ খাত সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে এমটব (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের) ও বিআইজিএফ (বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভরনেন্স ফোরাম) আয়োজিত টেলিকম ট্যাক্স পলিসি ও ইকোসিস্টেম নিয়ে এক পলিসি ডায়লগে বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিআইজিএফের চেয়ারপারসন ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু, এমপি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের তরুণরা এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা করছে। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির অনেক সুবিধা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি একমত যে উচ্চ কর দীর্ঘদিন ধরে একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এনবিআরের কাছে টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চ করের প্রভাবের বিষয়টি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। আমাদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে, যেখানে যৌক্তিক হারে কর নির্ধারণের দিকে নজর দেওয়া দরকার।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে টেলিকম খাতে কর খুব বেশি। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কোষাগারে অনেক অর্থ দিচ্ছে, তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কেন? ট্যাক্স কমানো হলে সরকারের কোন ক্ষতি নেই, কারণ এতে পরোক্ষভাবে সরকারের আয় বাড়ে। মোবাইল খাতে করপোরেট ও ন্যূনতম টার্নওভার কর কমিয়ে অন্যান্য শিল্প খাতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা উচিত।

হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, তামাক খাতের মতো ক্ষতিকর খাতে টার্নওভার ট্যাক্স যেখানে ১% সেখানে মোবাইল শিল্পে এই ট্যাক্স ২%, যা অবিবেচনাপ্রসূত। এটা ১% এর নিচে নামিয়ে আনা দরকার।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ওপর যে ভ্যাট রয়েছে তা তুলে দেওয়া দরকার। সরকার এ থেকে কতই বা আয় করে? আধুনিক জীবনে তথ্য সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি এবং মোবাইল খাত হলো এই তথ্য আদান প্রদানসহ সকল ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রধানতম বাহন। গ্রাহকদের সেবা প্রদানের কথা বিবেচনায় রেখে এই খাতকে আরও কীভাবে জনবান্ধব করা যায় তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।

পলিসি ডায়ালগে টেলিকম করনীতি ও টেলিকম ইকোসিস্টেম নিয়ে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম এবং এরিকসনের মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার হেড অব নেটওয়ার্ক সল্যুশন এবং এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, টেলিকম খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে আমাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি মনে করি, কিছু কর যৌক্তিক করা দরকার। ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে প্রান্তিক গ্রাহকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি এনবিআরের সাথে আলোচনা করব।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, দেশ বিদেশের সকল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যেন সঠিকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা অনুসরণ করেই তাদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। টেলিকম খাত শুধু সেবা প্রদানই নয়, দেশের প্রবৃদ্ধিতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তাই তাদের প্রতি আমাদের ইতিবাচক মনোভাব সবসময়ই বজায় থাকবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিএফও এম. রিয়াজ রাশিদ বলেন, মার্কেটে যত বেশি প্লেয়ার থাকবে অপারেটরদের কাজের দক্ষতা তত বেশি কমবে। আর শেষ পর্যন্ত এর প্রভাব গিয়ে পড়বে গ্রাহকদের উপর, কারণ এতে সেবা প্রদানের ব্যয় বেড়ে যায়। তিনি বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার জন্য নীতি নির্ধারকদের মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।

মূল প্রবন্ধে শাহেদ আলম বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোবাইল খাতের কর তুলনামূলকভাবে বেশি।তিনি আরও বলেন, অপারেটরদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন সন্তোষজনক নয়। একদিকে অপারেটরদের গ্রাহকপ্রতি গড় আয় কম অন্যদিকে মোবাইল ভয়েস ও মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। আমরা আরও নতুন ধরনের সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করতে চাই। কিন্তু সেবাদাতাদের যদি করের ভারে জর্জরিত করা হয় তাহলে তাদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যায়। আমরা এই খাতে যৌক্তিক হারে করারোপের দাবি জানাই। আমাদের মনে রাখা দরকার যে দেশের ৪৫ শতাংশ লোক নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও এখনও মোবাইল ব্যবহার করতে পারে না।

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় আবদুস সালাম বলেন, দেশের নেটওয়ার্ক ক্রমশই বিকশিত হচ্ছে, পাশাপাশি নানা রকম সেবাও আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। অটোমেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা মেশিন লার্নিং ইত্যাদি আমাদের এন্ড-টু-এন্ড সেবা প্রদানকে সহজ করে তুলছে। বাংলাদেশের টেলিকম ইকোসিস্টেমে অনেক বেশি সংখ্যক প্লেয়ার বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন নিয়ন্ত্রক, এমএনও, এনটিটিএন, টাওয়ারকো, গেটওয়ে প্রদানকারী, অ্যাকাডেমিয়া, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি ও আরও অনেকে। এদের যে কোন একটিকেও বাদ দিলে এই খাতের বিকাশ সম্ভব হবে না। ভবিষ্যৎ নেটওয়ার্ক ও সেবার জন্য সরকার এই শিল্পের সবার সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা বাংলাদেশে এই ইকোসিস্টেমের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপকল্প বাস্তবায়নে টেলিকম অপারেটররা প্রধানতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। করের ভার এবং অন্যান্য অনেক চ্যালেঞ্জে থাকা সত্ত্বেও আমরা কোটি কোটি গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছি। আমরা সরকারের ভ্যাকসিন এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এখনও অনেক পথ যেতে হবে, কিন্তু আমরা জেনে খুশি যে সরকার লং ডিসট্যান্স টেলিকম নীতি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি আমাদের আরও উৎকৃষ্ট সেবা দিতে সাহায্য করবে।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং সিসিএও হোসেন সাদাত বলেন, আমরা উচ্চ কর সমস্যা সমাধানের জন্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রতি বছর বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য, আমাদের খুব শিগগিরই টেলিকম খাতের ট্যাক্স ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের অযৌক্তিক করের বৈষম্য দূর করতে হবে। ভালো ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে করের পরিমাণ কম হওয়া উচিৎ।তৃণমূল স্তরে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য, আমাদের কর যৌক্তিকীকরণ করতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিএফও এম. রিয়াজ রাশিদ, ফাইবার এট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে শেষ করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এমটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.)।

   

বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো

বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যামেরা ও লুকে বৈচিত্র্যে বাংলাদেশে নজর কেড়েছে ভিভোর স্মার্টফোন। বাংলাদেশে নিজেদের যাত্রার ৬ বছর পূর্ণ করেছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। আজ ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ভিভোর পথ চলার নতুন বছরে পদার্পন করলো প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশে ভিভোর ‘ভি’ ও ‘ওয়াই’ সিরিজ বেশ জনপ্রিয়। ক্যামেরায় দারুণ প্রযুক্তি এনে বেশ নজর কেড়েছে ভিভোর এক্স সিরিজের স্মার্টফোন। তুলনামূলক কম দামের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী হওয়ায় গ্রাহক চাহিদায় রীতিমতো শীর্ষস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ক্যামেরা প্রযুক্তি, শক্তিশালী ব্যাটারি, স্টাইলিশ লুককে বরাবর গুরুত্ব দিয়েছে ভিভো। চলতি বছর দেশে এসেছে ভি সিরিজের ৪টি (ভি২৭, ভি২৭ই, ভি২৯ এবং ভি২৯ই) এবং ওয়াই সিরিজের ৬টি (ওয়াই ১৬, ওয়াই১৭এস, ওয়াই২২, ওয়াই ২৭, ওয়াই ৩৬ এবং সর্বশেষ ওয়াই২৭এস) স্মার্টফোন। মিড রেঞ্জের মধ্যে ভি সিরিজের স্মার্টফোন ক্যামেরায় এবার এসেছে বিশেষ চমক ‘অরা লাইট’। যা আরো স্মার্ট হয়েছে ভিভো ভি২৯ এবং ভি২৯ই স্মার্টফোনে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির অন্যতম বাঁধা আলোক স্বল্পতাকে ত্রিমাত্রিক লাইটিং ইফেক্টের মাধ্যমে দূর করেছে এই স্মার্ট অরা লাইট। স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়ালি-উভয়ভাবে কাজ করে। বিশেষ করে কালার টেম্পারেচার ক্যালভিনে পরিমাপ করতে পারে এই স্মার্ট প্রযুক্তিটি। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে কম বেশি কিংবা রঙবেরঙের যেমন আলোই থাকুক, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়।

ক্যামেরা প্রযুক্তিতে ভিভোর এক্স সিরিজ দারুণ সব স্মার্টফোন উপহার দিয়েছে। এক্স সিরিজের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে জার্মানির বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের লেন্স। যার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে মিলেছে নতুন অভিজ্ঞতা। আল্ট্রা-সেন্সিং গিম্বল ক্যামেরা ও গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ৩.০ প্রযুক্তি পেশাদার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিকে সহজ করেছে।

ভিভো এক্স৭০ প্রো ফাইভজি দিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্ম ‘অ্যা হ্যাপি ম্যান।’ ভিভো এক্স ৮০ ফাইভজি দিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘চক্রাকার’। দুটি শর্টফিল্মই নজর কেড়েছে সবার।

বাংলাদেশে ভিভোর কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ বলেন, ‘মানুষের সাধ ও সাধ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে ভিভো। উদ্ভাবনগুলো ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই করা হয়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পছন্দমত স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করি। শুধু বিক্রিই নয়, বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করতেও কাজ করে যাচ্ছে ভিভো।’

;

ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ‘ওয়াই ২৭এস’এ গেমিংয়ে চমক



ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা দিতে ভিভো নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোন ‘কল অব ডিউটি’র মত গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা যেমন দিবে তেমনি কমিয়ে দিবে চার্জ নিয়ে দুর্ভাবনা।

দ্রুত চার্জের বিষয়টি মাথায় রেখে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো দেশে নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭ এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোনে আছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্ল্যাশচার্জার। যার মাধ্যমে স্মার্টফোনটি শতভাগ চার্জ হতে সময় নেবে এক ঘণ্টারও কম সময়। ভিভো ওয়াই২৭এস এর দাম রাখা হয়েছে ২২,৯৯৯ টাকা।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনের ফুলচার্জে একটানা গান শোনা যাবে ১৮ ঘণ্টা। ইউটিউবে ভিডিও দেখা যাবে টানা ২০ ঘণ্টা। ওয়াই ২৭এস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের রিল ভিডিওতে হারিয়ে যাওয়া যাবে। টানা ১২ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন রিল উপভোগ করা যাবে।

এ স্মার্টফোনে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। সাথে রয়েছে ফানটাচ ওএস১৩ অপারেটিং সিস্টেম। যা ‘কল অব ডিউটি’, ‘শ্যাডোগান’, ‘ব্রাউল স্টার’ এর মত গেমিং উপভোগের সুযোগ। মিডরেঞ্জের ফোনে এ ধরণের সুযোগ ভাবাই যায় না। গেমিং থামার কোনো সুযোগ নেই। এক চার্জে টানা ৬ ঘণ্টা মেতে থাকা যাবে গেমিংয়ে।

এছাড়া এ ফোনে আছে এক্সটেন্ডেড র‌্যাম টেকনোলজি ৩.০। মিলবে ৮ জিবি র‌্যাম। তবে আরো ৮ জিবি র‌্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে। এই স্মার্টফোনে আছে ১২৮জিবি রম। যা বাড়ানো যাবে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনে ল্যাগিং দূর করে ২৫টিরও বেশি অ্যাপ ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। বারগেন্ডি ব্ল্যাক ও গার্ডেন গ্রিন রঙের ভি২৭এস এর ব্যাক সাইডে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা রিং ডিজাইন, ফ্যান্টাসি ফ্রেম। ২.৫ ডি ফ্ল্যাট ফ্রেমের স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৯২ গ্রাম এবং এর পুরুত্ব ৮.১৭ মিলিমিটার। হাতে নিলেই পাওয়া যাবে চমৎকার গ্রিপ।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ব্যাকসাইডে আছে ম্যাট সার্ফেসের গ্লিটার এজি গ্লাস। যার কারণে হাতের ছাপ বা স্ক্র্যাচ পড়ার ভয় থাকবে না। এ ফোনের ৬ দশমিক ৬৪ ইঞ্চি মাল্টি টাচ ক্যাপাসিটিভ এলসিডি ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকছে ২৩৮৮ x ১০৮০। এই ডিসপ্লে ফুল এইচ ডি প্লাস যাতে রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে ৯০ হার্টজ। এতে ভিডিও কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা হবে দারুণ। এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯৪ পিপিআই ও কালার স্যাচুরেশন ৯৯ শতাংশ এনটিএসসি। এতে ভিডিও কন্টেন্টে রংটা উপভোগ করা যাবে বেশ দারুণ ভাবে।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা দেবে নান্দনিক ফটোগ্রাফির আনন্দ। ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ দিবে সেলফি বা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফির দারুণ অভিজ্ঞতা।

;

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের (২৬ নভেম্বর) আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১২টার পর বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেন ইন্টারনেট সেবা। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।

বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।

;

ইনফিনিক্সের এক চার্জারেই চার্জ হবে সব গ্যাজেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের। কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে চলে এসেছে স্মার্ট সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস ।

মাঝারি বাজেটে এই প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন। ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এই কাজ করতে সক্ষম। টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে।

বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়।

মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে। ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে।

পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। এই যেমন, ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।

পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুইটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

;