বন্যাদুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, সচল ১১৭৬ সাইট



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যাদুর্গত সিলেট , সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলায় সোমবার (২০জুন) পর্যন্ত ১১৭৬টি মোবাইল টাওয়ার সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

মঙ্গলবার (২১ জুন) বিটিআরসি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রবল ভারীবর্ষণ ও অতিবৃষ্টির ফলে সিলেট , সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা। উক্ত এলাকায় ৪টি মোবাইল অপারেটরের মোট ৩,৬১৭ সাইট রয়েছে। বন্যাপ্লাবিত এলাকার অনেক সাইট (বিটিএস) বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় ২০ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১,১৪৬টি সাইট পুনরায় সচল করা হয়। বর্তমানে সকল অপারেটরদের মোট ৯৭৬টি সাইট বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে নেটওয়ার্কের আওতাবহির্ভূত থাকায় তা সচল করার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আইএসপি

সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় ওইসব এলাকায় অবস্থিত ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) অপারেটরদের নেটওয়ার্ক অপারেশন্স সেন্টার, পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পিওপি) স্থাপনাসমূহ প্লাবিত ও বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এর মধ্যে যেসব পিওপিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেগুলোতে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে বর্তমানে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কিছু সংখ্যক পিওপিতে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আইএসপি অপারেটরগুলো তাদের টিম পৌঁছানোর ও নেটওয়ার্ক সচল রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আইআইজি

সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য এলাকার ১৫টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের মোট ৪৮টি পিওপি আছে, যার অধিকাংশই সচল রয়েছে। তবে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্তিতে সাময়িকভাবে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে।

এর মধ্যে, যেসব পিওপিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেগুলোতে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে বর্তমানে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সিলেটের কয়েকটি আইআইজি'র পিওপি ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব পিওপিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ডিজেল চালিত জেনারেটর ও পোর্টেবল জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে।

এনটিটিএন

নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মোট ২৬২টি পিওপি রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৭টি বর্তমানে সক্রিয় ও ১২৫টি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। বাহন লিমিটেডের ২৯টি পিওআই'র মধ্যে সবগুলোই সক্রিয় রয়েছে এবং ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেডের ছাতকেরটি (সুনামগঞ্জ) ছাড়া সবগুলো পিওআই সক্রিয় রয়েছে। বন্যাপ্লাবিত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এনটিটিএন সংযোগ প্রাপ্তিতে সাময়িকভাবে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। তবে, বর্তমানে সবগুলো এনটিটিএনেই নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ চালু আছে।

বিটিসিএল

রোববার (১৯ জুন) জেনারেটর রুমের পানি বের করে টেলিটকের জেনারেটর ব্যবহারের জন্য বিকল্প পাওয়ার ক্যাবল স্থাপন করা হয়। দুদিন সার্বক্ষণিক কাজ ও নিরলস প্রচেষ্ঠার ফলে ওই দিন দুপুর ২টায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকার টেলিযোগাযোগ আবারও চালু হয়।

বর্তমানে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিদুৎ না থাকায় টেলিযোগাযোগ বন্ধ আছে। এছাড়া বন্যায় জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় টেলিযোগাযোগ বন্ধ আছে যদিও জকিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নেটওয়ার্ক ডাউন রয়েছে। এছাড়া সিলেটের অন্যান্য উপজেলায় বিটিসিএলের টেলিযোগাযোগ চালু আছে। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা ছাড়া সবকটি উপজেলায় এ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে।

বন্যায় বিটিসিএলের ছাতক উপজেলার টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাটের অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বিটিসিএল মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিটিসিএলের একটি টিম পোর্টেবল জেনারেটর নিয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ওই টিম সফলভাবে কাজ করতে সক্ষম হলে, আজ (সোমবার) রাতের শেষভাগে কিংবা আগামীকাল সকাল নাগাদ সুনামগঞ্জে বিটিসিএলের নেটওয়ার্ক সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বিএসসিএল

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) গত শনিবার ১২টি ভিস্যাট (খুব ছোট-অ্যাপারচার টার্মিনাল) সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর নিকট পাঠিয়েছে, যার মধ্যে হাইটেক পার্ক ক্যাম্পে একটি, ডিসির কার্যালয়ে একটি এবং সার্কিট হাউজে একটি করে চালু করা হয়েছে।

এছাড়াও গত রোববার সিলেট স্থানীয় প্রশাসনের নিকট ২৩টি ভিস্যাট পাঠানো হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি ভিস্যাট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুটি ভিস্যাট স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গ্রামীণফোন ও রবির বিশেষ প্যাকেজ

সিলেট বিভাগের বন্যাকবলিত এলাকায় গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ফ্রি ১০ মিনিট টকটাইম দিয়েছে। একইভাবে রবিও ফ্রি ১০ মিনিট ও ১০০ এমবি ইন্টারনেট দিয়েছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হতে বন্যাকবলিত স্থানসমূহের টেলিযোগাযোগ সেবার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের উদ্দেশ্যে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

উক্ত সেল সকল অপারেটরদের সাথে সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতিপূর্বে বিটিআরসি হতে ৪টি অপারটরের মোট ১৬টি টোল ফ্রি নম্বরের অনুমোদন প্রদান করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেটরদের নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রদত্ত সড়ক ও নৌ পথে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর ও বিটিসিএল তাদের সাইট দ্রুত সময়ে সচল করতে পেরেছে। পরিবহন ব্যবস্থা ছাড়াও দুর্গম এলাকায় পোর্টেবল জেনারেটর বহনের কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহায়তা করছে যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অপারেটরগণ উপকৃত হয়েছে।

   

ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ‘ওয়াই ২৭এস’এ গেমিংয়ে চমক



ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা দিতে ভিভো নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোন ‘কল অব ডিউটি’র মত গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা যেমন দিবে তেমনি কমিয়ে দিবে চার্জ নিয়ে দুর্ভাবনা।

দ্রুত চার্জের বিষয়টি মাথায় রেখে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো দেশে নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭ এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোনে আছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্ল্যাশচার্জার। যার মাধ্যমে স্মার্টফোনটি শতভাগ চার্জ হতে সময় নেবে এক ঘণ্টারও কম সময়। ভিভো ওয়াই২৭এস এর দাম রাখা হয়েছে ২২,৯৯৯ টাকা।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনের ফুলচার্জে একটানা গান শোনা যাবে ১৮ ঘণ্টা। ইউটিউবে ভিডিও দেখা যাবে টানা ২০ ঘণ্টা। ওয়াই ২৭এস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের রিল ভিডিওতে হারিয়ে যাওয়া যাবে। টানা ১২ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন রিল উপভোগ করা যাবে।

এ স্মার্টফোনে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। সাথে রয়েছে ফানটাচ ওএস১৩ অপারেটিং সিস্টেম। যা ‘কল অব ডিউটি’, ‘শ্যাডোগান’, ‘ব্রাউল স্টার’ এর মত গেমিং উপভোগের সুযোগ। মিডরেঞ্জের ফোনে এ ধরণের সুযোগ ভাবাই যায় না। গেমিং থামার কোনো সুযোগ নেই। এক চার্জে টানা ৬ ঘণ্টা মেতে থাকা যাবে গেমিংয়ে।

এছাড়া এ ফোনে আছে এক্সটেন্ডেড র‌্যাম টেকনোলজি ৩.০। মিলবে ৮ জিবি র‌্যাম। তবে আরো ৮ জিবি র‌্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে। এই স্মার্টফোনে আছে ১২৮জিবি রম। যা বাড়ানো যাবে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনে ল্যাগিং দূর করে ২৫টিরও বেশি অ্যাপ ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। বারগেন্ডি ব্ল্যাক ও গার্ডেন গ্রিন রঙের ভি২৭এস এর ব্যাক সাইডে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা রিং ডিজাইন, ফ্যান্টাসি ফ্রেম। ২.৫ ডি ফ্ল্যাট ফ্রেমের স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৯২ গ্রাম এবং এর পুরুত্ব ৮.১৭ মিলিমিটার। হাতে নিলেই পাওয়া যাবে চমৎকার গ্রিপ।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ব্যাকসাইডে আছে ম্যাট সার্ফেসের গ্লিটার এজি গ্লাস। যার কারণে হাতের ছাপ বা স্ক্র্যাচ পড়ার ভয় থাকবে না। এ ফোনের ৬ দশমিক ৬৪ ইঞ্চি মাল্টি টাচ ক্যাপাসিটিভ এলসিডি ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকছে ২৩৮৮ x ১০৮০। এই ডিসপ্লে ফুল এইচ ডি প্লাস যাতে রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে ৯০ হার্টজ। এতে ভিডিও কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা হবে দারুণ। এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯৪ পিপিআই ও কালার স্যাচুরেশন ৯৯ শতাংশ এনটিএসসি। এতে ভিডিও কন্টেন্টে রংটা উপভোগ করা যাবে বেশ দারুণ ভাবে।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা দেবে নান্দনিক ফটোগ্রাফির আনন্দ। ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ দিবে সেলফি বা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফির দারুণ অভিজ্ঞতা।

;

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের (২৬ নভেম্বর) আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১২টার পর বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেন ইন্টারনেট সেবা। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।

বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।

;

ইনফিনিক্সের এক চার্জারেই চার্জ হবে সব গ্যাজেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের। কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে চলে এসেছে স্মার্ট সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস ।

মাঝারি বাজেটে এই প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন। ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এই কাজ করতে সক্ষম। টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে।

বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়।

মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে। ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে।

পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। এই যেমন, ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।

পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুইটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

;

এসটি পে চালু করল শেয়ারট্রিপ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এসটি পে চালু করল ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম শেয়ারট্রিপ। এতে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা ধরনের সুবিধাজনক ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এতে ভাউচার, শপ, মোবাইল রিচার্জ, পে বিল ও অন্যান্য নতুন ফিচার রয়েছে।

শেয়ারট্রিপের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রোববার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসটি পে চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে এয়ারলাইনস, হোটেল, পেমেন্ট পার্টনার, করপোরেট পার্টনার,থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রমণপিপাসুদের সব ধরনের প্রয়োজন পূরণে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শেয়ারট্রিপ। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে সম্প্রতি নতুন ফিচার সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট নিয়ে আসা হয়। এখন সকল ব্যবহারকারীর জন্য আরও বেশি সমন্বিত ফিচার নিয়ে এলো শেয়ারট্রিপ। যেখানে অ্যাপে মাত্র একটি ট্যাপ করেই এসটি পে, ভাউচার, শপ, মোবাইল রিচার্জ ও পে বিলের মতো প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপনের সময় এই ফিচারগুলো চালু করা হয়।

ভ্রমণ-সংক্রান্ত ব্র্যান্ড থেকে ভ্রমণ এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে এসটি পে ব্যবহারকারীর লেনদেনের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে বিস্তৃত পরিসরের ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নিয়ে হাজির হয়েছে। এতে অ্যাড মানি, সেন্ড মানি, মানি রিকোয়েস্ট, ব্যাংক ট্রান্সফার, ট্রানজেকশান হিস্ট্রি, মেক পেমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে, যা খুব সহজেই ভিন্ন ভিন্ন লেনদেন-সম্পর্কিত কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে।

কিউআর কোড, ফেসিয়াল রিকগনিশন ও বায়োমেট্রিক লগইনের মতো বিষয়গুলোর কারণে এর লেনদেন ও পেমেন্ট অনেক বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে। ব্যবহারকারীর স্বনির্ভরতা নিশ্চিতে এসটি পে’র আওতায় থাকা কন্ট্যাক্ট ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এখন লেনদেন হবে আরও বেশি সহজ ও ঝামেলামুক্ত।

৪র্থ বর্ষপূর্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের অসামান্য সহায়তাকে স্বীকৃতি দিতে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানায় শেয়ারট্রিপ। এ সময় এয়ারলাইনস, হোটেল, ব্যাংক, করপোরেট ও টেলকো সহ শেয়ারট্রিপের সকল অংশীদারদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৪৩টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

;